রবিবার ● ১৪ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » কৃষি » নওগাঁয় এখন উৎপাদন হচ্ছে ব্ল্যাক কুইন জাতের তরমুজ
নওগাঁয় এখন উৎপাদন হচ্ছে ব্ল্যাক কুইন জাতের তরমুজ
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি :: নওগাঁয এই প্রথম মাচায় ব্ল্যাক কুইন জাতের বারোমাসি তরমুজ চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে আল আমিন এগ্রো নামে একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। স্বাদ, রং ও উৎকৃষ্ট মানের হওয়ায় বাজারে চাহিদাও রয়েছে অধিক। সারা বছর পাওয়া যাবে এখানকার তরমুজ। অনেকেই বাগান দেখতে ও তরমুজ চাষে পরামর্শ নিয়ে যাচ্ছেন।
নওগাঁ কৃষি বিভাগ বলছে, নওগাঁ জেলা খরা ও বরেন্দ্র জেলা হওযায় পানি সাশ্রয়ের জন্য এই তরমুজ চাষ শুরু হয়েছে। এটি জেলায় প্রথম নতুন জাতের তরমুজ চাষ। আর তাই সফল হয়েছে আল আমিন এগ্রো। নওগাঁ শহরের কোমাইগাড়ী এলাকার জেলখানার পূর্ব দেয়াল ঘেঁষে দুই বিঘা জমি তিন বছরের জন্য লিজ নিয়ে হাইব্রিড ব্ল্যাক কুইন জাতের তরমুজ চাষ শুরু করেছে কৃষিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আল আমিন এগ্রো।
নওগাঁ জেলায় প্রথম এই তরমুজ চাষ হয়েছে। নওগাঁ বরেন্দ্র অঞ্চল। ভারত থেকে বীজ এনে চলতি বছর দুই বিঘা জমি তিন বছরের জন্য লিজ নেয় মাত্র ৪৫ হাজার টাকায়। আর ওই জমিতে মাচা তৈরি করে এপ্রিল মাসে সেখানে ব্ল্যাক কুইন নামে বারোমাসি তরমুজের চারা রোপণ করা হয়। রোপণের পর চলতি মাসে প্রথম তরমুজ তোলা হয়। প্রতিটি তরমুজের ওজন হয় আড়াই থেকে চার কেজি। তরমুজের বাহির অংশ কালো (ব্ল্যাক) হলেও ভিতরে টকটকে লাল ও মিষ্টি। প্রথমবার প্রায় দেড়শ’ মণ তরমুজ উৎপাদিত হয়।
স্থানীয় আমজাদ হোসেন, ফল ব্যবসায়ী কাশেম আকন্দ জানান, এখানকার তরমুজ খুবই সুস্বাদু ও মিষ্টি। অনেকেরই একবার কিনে ভালো লেগেছে, তাই আবার এসেছেন। আবার অনেকে লোকমুখে শুনে এসেছেন তরমুজ কিনতে। প্রতি কেজি তরমুজ কিনছেন ২৫-৩০ টাকা দরে। তবে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি।
স্থানীয় কুমাইগাড়ী ও বরুনকান্দি গ্রামের সুমন হোসেন ও সুকুমার রায় জানান, তাদের জমি আছে। সেই জামিতে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করে থাকি। কিন্তু তরমুজ চাষে সাফল্য শুনে পরামর্শ নিতে এলাম। আগামীতে পরিবার রাজি হলে এই বারোমাসি জাতের তরমুজ চাষ করবো।
আল আমিন এগ্রো’র ম্যানেজার আজিজুর রহমান বলেন, চারা ক্রয়, পরিচর্যা, মাচা তৈরি, কর্মচারীদের বেতনসহ মোট খরচ হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দুই মাসে তরমুজ চাষ করে প্রায় তিন লাখ টাকা লাভ করা সম্ভব। এতে বেকার সমস্যা দূর হবে এবং দেশও আর্থিকভাবে লাভবান হবে।
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আহসান শহীদ সরকার বলেন, খরা ও বরেন্দ্র জেলা হওয়ায় পানি সার জন্য এই তরমুজ চাষ শুরু করা হয়েছে এখানে। বারোমাসি হাই ব্রিড ব্ল্যাক কুইন জাতের তরমুজ চাষ অত্যন্ত লাভজনক। এক্ষেত্রে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব রকমের সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। এই নতুন জাতের তরমুজ জেলায় প্রথম চাষ শুরু করেছে আল আমিন এগ্রো।