রবিবার ● ১৪ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » কালীগঞ্জে প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষার খাতায় ভুল ফলাফল প্রকাশে বিপাকে শিক্ষার্থীরা
কালীগঞ্জে প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষার খাতায় ভুল ফলাফল প্রকাশে বিপাকে শিক্ষার্থীরা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ছ্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষার খাতায় ভুল ফলাফল প্রকাশে জিপিএ-৫ থেকে বঞ্চিত হয়েছে এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনার পর ওই শিক্ষার্থীর বাবা ফলাফল সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন সুরাহা হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত এই শিক্ষার্থীর নাম আরাফাত সিদ্দিকী অহন। সে ২০১৮ সালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের ফয়লা বোর্ড স্কুল থেকে প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
ফলাফল সংশোধন চেয়ে বার বার জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দ্বারে ঘুরলেও কেউই তোয়াক্কা করছেনা। উল্টো নানা প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে। এদিকে কাঙ্খিত ফলাফল না পাওয়ায় মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে শিক্ষার্থী ও তার পরিবার। আরাফাত সিদ্দিকী অহনের বাবা আহসান সিদ্দিকী জানায়, তার ছেলে কালীগঞ্জ শহরের ফয়লা বোর্ড স্কুল থেকে ২০১৮ সালে প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষায় অংশ নেয়। ওই ছাত্রের ফলাফল শীটে দেখা যায় সে বাংলাতে-৯৩, ইংরেজী-৯৬, গনিত-৯৪, বাংলাদেশ ও বিশ^ পরিচয়- ৯৪, প্রাথমিক বিজ্ঞান-৯৮ ও ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষায়-৭৬ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।। ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষায় কাঙ্খিত রেজাল্ট না আসায় ওই খাতা পূর্ণমূল্যায়ন করে দেখা যায় নিরীক্ষকদের ভুলে ৯৬ এর স্থলে ৭৬ লেখা হয়ছে। যে কারণে ওই শিক্ষার্থীর ফলাফলে জিপিএ-৫ পায়নি। এমনকি বৃত্তি থেকেও বঞ্চিত হয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগে আরো জানা গেছে, প্রবেশপত্রে রোল অনুয়ায়ী তার আইডি নং ১১২০১৮২০৪০১০৩৯৩০। কিন্তু কালীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিস কর্তৃপক্ষের দ্বায়িত্বে অবহেলায় লেখা হয়েছে ১১২০১৮২০৪০১০৩৮৭৪। এছাড়া পৌর ওয়ার্ড নং ৩ এর স্থলে ২ উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সাথে ওই ছাত্রের প্রবেশপত্রে নামের বানানও ভুল লেখা হয়েছে। এ বিষয়ে ওই ছাত্রের ধর্ম খাতায় ভুল যোগ করা নিরীক্ষকের দ্বায়িত্বে থাকা শিক্ষিকা পাপিয়া খাতুন ভুল হয়েছে স্বীকার করে জানান, সংশোধনীর জন্য উপজেলা প্রাথমিক অফিস ছাড়া তার কিছুই করার নেই। অপর নিরীক্ষক ফয়লা বোর্ড স্কুলের শিক্ষিকা রুবিনা খাতুনও একই কথা বলে দ্বায় এড়িয়ে যান। কিন্তু এভুল নিরিক্ষক দের এখন তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা দরকার। এদিকে ওই ছাত্রের পরিক্ষার প্রবেশপত্রে আইডি, রোল ও নাম সহ একাধিক ভুলের বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসের কম্পিউটার অপারেটর কবির হোসেন ত্রুটির কথা স্বীকার করে জানান, এমন ভুল হলেও তা পরেও সংশোধন করে দেওয়া হয়। কিন্তু ফলাপল প্রকাশের পর আর কিছু করার থাকে না। ওই ছাত্রের ফলাফল সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূবর্ণা রানী সাহা বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য তিনি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দ্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা আক্তার বানু জানান, অভিযোগের বিষয়টি তিনি জেনেছেন। যেহেতু সমাপনি পরীক্ষার গেজেট প্রকাশ হয়ে গেছে, তাই এখন সংশোধনী করার সুযোগ নেই। তবে খাতা নিরীক্ষকদের অবহেলার জন্য তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়ে বলে যোগ করেন।
ঝিনাইদহে কাচাঁ বাজারে আগুন : বিপাকে সাধারন ক্রেতারা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ পৌর কর্তৃপক্ষের নিত্য পন্য ক্রয় বিক্রয়ে নেই কোন নিয়ন্ত্রন। নেই নিত্য পন্য তালিকার কোন রেট বোর্ড। সে কারণে গেল মাহে রমজানের পর থেকে ঝিনাইদহ বানিজ্যিক শহর পৌর এলাকায় ৬/৭টি কাচাঁ বাজারে সকল প্রকার তারতরকারি সবজি সহ পেয়াজ রসুন ও কাঁচা ঝালের দাম দফায় দফায় বেড়েই চলেছে। রোববার পৌরসভার অধীনে শহরের বিভিন্ন বাজারে খোঁজ খবর নিয়ে এবং দোকান ব্যবসায়িদের সাথে বাজারের মুল্য জানতে চাইলে তারা বলেন, গত এক সপ্তায় সব চেয়ে বেশি দাম বেড়েছে রসুন, কাঁচা ঝালের। এর সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে পিয়াজ নিত্যপন্য সকল প্রকার সবজির মূল্য। দিনে দিনে বিপাকে পড়েছে দিন মজুর খেটে খাওয়া গরীব মানুষ গুলো। অথচ নিয়ম থাকলেও বাজার তদারকি দায়িত্বরত পৌরসভার কোন ভুমিকাই নেই। ভুক্তভোগি ক্রেতাদের অভিযোগ ঝিনাইদহ শহরের ‘ট’ বাজার হাটের রাস্তা সহ পাইকারি কাচাঁ বাজার সহ নানা প্রকার সবজির মূল্য খুচরা দোকানীরা কমে কিনলেও এরা সিন্ডিকেট গড়ে তুলে নিজ নিজ দোকানে বসে ক্রেতাদের কাছ থেকে দাম হাকিয়ে নিচ্ছে দ্বিগুনের ও বেশি। এ নিয়ে খুচরা দোকানি ও ক্রেতাদের সাথে মাঝে মধ্যে বাকবিতান্ডা হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি কাচাঁ ঝাল পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। বর্তমানে কাঁচা ঝাল খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি। আবার রসুনের দাম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা প্রতি কেজি দরে। রসুনের দাম গত ৭ দিনে বেড়েছে ৬০ টাকা কেজিতে। সে তুলনায় পেয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ২৫ টাকা। বর্তমানে প্রতি কেজি পিয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। গত ৭ দিনে পেয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ২০ টাকা। আদা প্রতি কেজি ২৮০ টাকা। বেগুন ৫০ টাকা। মুখি কচু ৬০ টাকা প্রতি কেজি। এভাবে দাম বেড়ে থাকার কারণে বেশি বিপাকে পড়েছে নি¤œ আয়ের মানুষ সহ দিন মজুর শ্রেনীর মানুষ। হঠাৎ করে প্রতিটি পন্য অগ্নিমূল্যের কারণ জানতে কলেজরোডের পাইকারি ব্যবসায়িরা জানায়, পিয়াজ, রসুন, কাচাঁঝাল ও আদার সরবরাহ কম হওয়ার কারণে দাম সামান্য বেড়েছে। তবে বাজারের খুচরা ব্যবসায়িরা সিন্ডিকেট করে অতি মুনাফার লোভে ক্রেতাদের নিকট থেকে বেশি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কাচাঁবাজার ব্যবসায়ি সমিতির অভিমত সরকারি ভাবে বাজার নিয়ন্ত্রন দেখার দায়িত্বে যারা রয়েছে সেই পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসন চোখ বন্ধ করে ঘুমাচ্ছে। এদিকে মুরগি, গরু, খাশি সহ মাছ ও মাংশের দাম স্বাভাবিক থাকলে ও মৌসুমি ফল আম ও কাঠালের দাম হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। আর ধাপে ধাপে বাড়ছে দেশি মুরগির দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি দেশিমুরগি ৪,শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঝিনাইদহ বাসির দাবি বাজার নিয়ন্ত্রনের দায়িত্বে যারা রয়েছে তারা নজর দারি বাড়ালে ক্রেতারা উপকৃত হতে পারে।
খুলনা বিভাগীয় মহাসমাবেশ সফল করতে কালীগঞ্জে বিএনপির প্রস্তুতি সভা
ঝিনাইদহ :: আগামী ২৫ জুলাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেল ৬টার দিকে শহরের থানা রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় কালীগঞ্জ থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহবুবার রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মসিউর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ফিরোজ। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হাসান, থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তবিবর রহমান মিনি, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম তোতা, পৌর কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, থানা যুবদলের সভাপতি সাইদুল ইসলামসহ বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবকদল, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মসিউর রহমান বলেন, আর ঘরে বসে থাকলে হবে না। আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে। আন্দোলন ছাড়া আমাদের নেত্রীর মুক্তি হবে না। আগামি ২৫ জুলাই বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে সকল নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।