বৃহস্পতিবার ● ১৮ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » বিলাইছড়িতে জলবায়ু বিপদাপন্নতা নিরূপন স্থানীয় আপদ সহনশীল পরিকল্পনা প্রশিক্ষন উদ্বোধন
বিলাইছড়িতে জলবায়ু বিপদাপন্নতা নিরূপন স্থানীয় আপদ সহনশীল পরিকল্পনা প্রশিক্ষন উদ্বোধন
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সিএইচটি ক্লাইমেট রিজিলিয়েন্স প্রজেক্ট (সিসিআরপি) ও এসআইডি-সিইচটি, ইউএনডিপির সহযোগীতায় দূর্গম বিলাইছড়িতে জনগোষ্ঠীর জলবায়ু বিপদাপন্নতা নিরূপন এবং স্থানীয় আপদ সহনশীল পরিকল্পনা প্রনয়ন বিষয়ক দু’দিন ব্যাপী প্রশিক্ষন শুরু হয়েছে।
গতকাল বুধবার ১৭ জুলাই সকালে বিলাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত দুদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষনের করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া।
এ সময় অতিথি হিসেবে বিলাইছড়ি ১নং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনিল কান্তি দেওয়ান, বিলাইছড়ি ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার ভদ্রসেন চাকমা, এসআইডি-সিইচটি, ইউএনডিপির জেলা কর্মকর্তা মো. আজাদ রহমান, সিএইটি ক্লাইমেট রিজিলিয়েন্স প্রজেক্টের টেকনিক্যান কর্মকর্তা কর্মকর্তা পলাশ খীসা উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণ উদ্বোকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া বলেন, পার্বত্যঞ্চলে প্রকৃতি, পরিবেশ ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য বনজ সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম। অতীতে এখানকার বন, পাহাড়, ছড়া, ঝিরি-ঝর্না প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘেরা সৌন্দয্যে ভরপুর থাকলেও এখন আর সে রকমটি নেই। তিনি বলেন, একশ্রেণীর অসাধু কাঠ ব্যবসায়ীদের যোগসাজসে পাহাড়ের সংরক্ষিত বনে হাজার হাজার অবৈধ করাতকল বসিয়ে সংরক্ষিত বনাঞ্চল গাছ কেটে সাবাড় করা হচ্ছে অবাধে। এতে উজাড় হচ্ছে দেশের বনাঞ্চল। ফলে কালে ক্রমে বন-জঙ্গল উজাড়ে হারিয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। তিনি বলেন, বন-জঙ্গল উজাড় ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য বিনষ্টের ফলে জলবায়ু পরির্বতনে বাড়ছে বন্যা, ভারিবৃষ্টি, ভুমিধ্বস’সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এ সকল দূর্যোগ থেকে রক্ষা ও ক্ষতির পরিমান কমিয়ে আনতে সরকার এবং বিভিন্ন দাতা সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সরকার এবং দাতা সংস্থার ন্যয় পরিবেশ রক্ষায় আমাদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে। না হলে এ ধরনের দূর্যোগ ভবিষ্যতে আরো ভয়াবহ রুপ নেবে। কষ্টসাধ্য হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুষ্ঠ পরিবেশে গড়ে তোলা। তাই সকলকে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে বন, ছড়া, ঝিড়ি-ঝর্না এক কথায় প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় সচেতন ও স্বৈচ্চার হতে হবে।