বুধবার ● ২৪ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ » রোয়াংছড়ির পর এবার লামায় আ’লীগ নেতা আলমগীরকে কুপিয়ে হত্যা
রোয়াংছড়ির পর এবার লামায় আ’লীগ নেতা আলমগীরকে কুপিয়ে হত্যা
বান্দরবান প্রতিনিধি :: বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর সিকদার (৩৮)কে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত আলমগীর সিকদার সরই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো.আলীর বড় ছেলে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাত ১১টার দিকে লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের পূর্ব হাসনাভিটা এলাকার ফাতেমা দরগাহ নামক স্থানে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানান, মঙ্গলবার রাত ১১দিকে লামার সড়ই ইউনিয়নের হাসনাভিটা এলাকার বাগানে যাওয়ার সময় ১২ থেকে ১৫জন শসস্ত্র সন্ত্রাসী তার মোটর সাইকেলটি ঘেরাও করে। পরে মোটর সাইকেলের উপর তাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে।
লামার সরই ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফরিদ উল আলম জানান, দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত আওয়ামীলীগ নেতা আলমগীর তার আমির হামজা পাড়াস্থ মাছের প্রজেক্ট ও বাগান থেকে ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনাস্থলে আমরা ২টি মোটর সাইকেল পড়ে থাকতে দেখেছি মোটরসাইকেলটি হত্যাকারীদের হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অপ্পেলা রাজু নাহা সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, মঙ্গলবার রাত ১১দিকে সড়ই ইউনিয়নের হাসনাভিটা এলাকায় বাগানে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলমগীরকে মোটরসাইকেল আটকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করেছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে ও তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার দুপুরে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মং প্রু থোয়াই মার্মাকে বান্দরবান-রোয়াংছড়ি সড়কে গুলি করে হত্যা করে পাহাড়ের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফের লামা উপজেলার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর (৩৮)কে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। গত দুই মাসে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে আওয়ামী লীগ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-মুল) এর ৮ নেতাকর্মী হত্যার শিকার হয়েছেন।