বুধবার ● ২৪ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় পানি কমছে ধীরগতিতে : ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমনব্যাধি
গাইবান্ধায় পানি কমছে ধীরগতিতে : ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমনব্যাধি
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: গাইবান্ধায় এখনো পানিবন্দি গ্রামের পর গ্রাম। পানি কমছে ধীরগতিতে। সেই সঙ্গে স্পষ্ট হয়ে উঠছে বন্যার ক্ষত। উজানের ঢল কেড়ে নিয়েছে কৃষকের ফসল। হাজার হাজার পুকুর তলিয়ে দিশেহারা মাছ চাষিরা। সড়ক, সেতু ও কালভার্ট বিধ্বস্ত হওয়ায় বিপর্যস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করতে না পারলে বানভাসিরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন না বলে মনে করেন সচেতন মহল।
বন্যা দুর্গত এলাকায় পানিবন্দী পরিবারগুলোর মধ্যে বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন এবং জ্বালানি সংকট বিরাজ করছে। এদিকে পানিবন্দী মানুষদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে বন্যায় নানাবিধ সংক্রমনব্যাধি। অনেকে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে পানিবাহিত নানা রোগে। ঘরবাড়ি ছেড়ে যাওযা পরিবারগুলো নৌ-ডাকাতির শঙ্কায় রয়েছে। অনেক চরবাসী রাত জেগে বাড়ি পাহাড়া দিচ্ছে। স্মরণকালের ভয়াবহ এবারের বন্যায় ১৪ হাজার হেক্টর ফসলের ক্ষেত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার বাড়িঘর পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, বুধবার ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বিপদসীমার ৯০ সে.মি., ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৪৯ সে.মি. এবং করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমার ১ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আমনের বীজতলা, ধান, পাট, শাক-সবজি। বন্যার পানি ধ্বংস করেছে সব ফসলের ক্ষেত। এ পর্যন্ত গাইবান্ধায় ৩০ হাজার পুকুর তলিয়ে টাকার অঙ্কে চাষির ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০ কোটিতে। বানের তান্ডবে ল-ভ- বাড়িঘর। আয় রোজগারের পথও বন্ধ। বানভাসি মানুষগুলোর চোখে এখন শুধুই অন্ধকার।
কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, বন্যায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১২ হাজার ৮০৩ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত রয়েছে। এসব ফসলের মধ্যে রয়েছে আউশ, আমন বীজতলা, রোপিত আমন, পাট ও শাকসবজি।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, বন্যা কবলিত এলাকায় সরকারি ত্রাণ সহায়তা হিসেবে সাড়ে ৯শ’ মে. টন চাল, ১৫ লাখ টাকা এবং ৫ হাজার ৬শ’ শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া বন্যা পরবর্তী কৃষি পুনর্বাসন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি নির্মাণে সহায়তা দেয়া হবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদেরও প্রয়োজনীয় সহায়তা দান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।