বৃহস্পতিবার ● ২৫ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ক্ষমতাসীন দলের নেতা গ্রেফতার
গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ক্ষমতাসীন দলের নেতা গ্রেফতার
ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রথম মামলায় গ্রেফতার হলেন সরকার দলের সমর্থক শহর যুবলীগ সদস্য রিয়াজ তালুকদার(৪০)। ফেসবুকে ছেলেধরার গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ঝালকাঠি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় আজ বৃহস্পতিবার আটক যুবলীগ সদদস্য রিয়াজুল মোর্শেদ তালুকদার রিয়াজকে কারাগারে পাঠানো হয়। বুধবার সন্ধ্যায় শহরতলীর গাবখান সেতু এলাকা থেকে তাকে আটক করে থানা পুলিশ। রিয়াজ শহরের কালিবাড়ি সড়কের ধোপারচক এলাকার অ্যাডভোকেট মরহুম হাবিবুর রহমান তালুকদারের ছেলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হলে রিয়াজের পক্ষে আদালতে জামিন আবেদন করেন এ্যাড. নাসির উদ্দিন কবীর। বিচারক সানিয়া আক্তার আগামী রোববার জামিন শুনানীর তারিখ ধার্য্য করে রিয়াজ তালুকদারকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ঝালকাঠি থানার ওসি শোািনত কুমার গায়েন জানান, জানায় রিয়াজ তাঁর ফেসবুক আইডিতে ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় পুলিশ তাকে বুধবার সন্ধ্যায় গাবখান সেতু এলাকা থেকে আটক করে। রাতে তাকে পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(২) ও ৩১(২) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন এসআই আনোয়ার হোসেন খান। এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়। রিয়াজের মোবাইল ফোন সিমসহ জব্দ করা হয়েছে। যে কথা ছিল রিয়াজের পোস্টে: দুঃসংবাদ, বিভাগ, জেলা ও গ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন স্থান থেকে ছোট ছোট বাচ্চা নিখোঁজ হহচ্ছে। তাই আপনার সন্তানকে নিরাপদে রাখুন। গত ৭ জুলাই রাত ৯ টা নয় মিনিটে রিয়াজ তালুকদার তার নিজ নামের (জরধু ঞধষঁশফবৎ) আইডি থেকে এ পোস্ট দেন। ২৪ জুলাই পর্যন্ত এ পোস্ট চারজনে শেয়ার করেন। ১৫৭ জন লাইক দেন এবং অসংখ্য লোক কমেন্ট করেন। যা আছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেঃ গত ৮ অক্টৈাবর ২০১৮ জাতীয় সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হয়। এটি ২০১৮ সালের ৪৬নং আইন। এ আইনে নয়টি অধ্যায়ে ৬০ টি ধারা রয়েছে। ৬০টি ধারার মধ্যে ১৭, ১৯, ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৬, ২৭, ২৮, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩ ও ৩৪ এই ১৪ ধারা আমলযোগ্য এবং অ-জামিন যোগ্য। অর্থাৎ এর যে কোন একটি ধারায় থানায় মামলঅ হলে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় আসামীকে গ্রেফতার করতে পারবে। আইনের ২০,২৫,২৯ ও ৪৭ ধারা অ-আমলযোগ্য ও জামিনযোগ্য। অর্থাৎ এ ধারায় মামলা হলে পুলিশ আদালতের গ্রেফততারী পরোয়ানা ছাড়া আসামীকে গ্রেফতার করতে পারবে না। এ আইনে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা হলে মামলার অভিযোগ আমলে নেয়ার পর আদালত আসামীর বিরুদ্ধে প্রথমে সমন ইস্যু করবেন এবং সমনে আসামী আদালতে হাজির না হলে আদালত সংশ্লিস্ট আদালতে গ্রেফতারী পরোয়না জারি করবে। রিয়াজ তালুকদারের বিরুদ্ধে যে দুইটি ধারায় মামলা হয়েছে তার একটি ধারা জামিনযোগ্য অপরটি অ-জামিন যোগ্য। ২৫(২) ধারায় শাস্তি অনধিক ৩(তিন) বৎসর কারাদ- এবং অনধিক তিন লক্ষ টাকা জরিমানা। ৩১(২) ধারায় সাজা সাত বছর কারাদ- এবং পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা। রিয়াজ তালুকদারের পক্ষের আইনজীবীরা জানান আগামী রোববার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে রিয়াজের জামিনের সম্ভাবনা খুবই কম, তবে আগামী বুধ/বৃহস্পতিবার জজ কোর্ট থেকে মিমস কেসের মমাধ্যমে তার জামিন হতে পারে।
ঝালকাঠি পৌরসভা এলাকায় পাবলিক টয়লেট নির্মাণ বিষয়ক মতবিনিময় সভা
ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠিতে পৌরসভা এলাকায় ‘পাবলিক টয়লেট নির্মাণ’ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালে অ্যাডভোকেসি টিম বৃহস্পতিবার ঝালকাঠি প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। জেলা প্রশাসক মোঃ জোহর আলী এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন পৌরমেয়র মোহাম্মদ লিয়াকত আলী তালুকদার। সংশিষ্ট বিষয়ে তথ্যপত্র উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেসি টিমের আহ্বায়ক সাংবাদিক হেমায়েত উদ্দিন হিমু। সভায় প্রেস ক্লাব সভাপতি কাজী খলিলুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তরুন কর্মকার ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান বাপ্পী ছিলেন বিশেষ আলোচক। ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের রাজনৈতিক ফেলো ইসরাত জাহান সোনালীর সঞ্চালনায় রাজনৈতিক ফেলো অ্যাডভোকেট সাকিনা আলম লিজা ও আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক দিপু হাফিজুর রহমান বক্তৃতা করেন। এছাড়া অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন খান, দৈনিক ঝালকাঠি বার্তা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দত্ত, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার দুলাল সাহা, আওয়ামী শিল্পী গোষ্ঠীর আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান সালাম, জেলা আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিল, টিআইবির এরিয়া ম্যানেজার মোঃ রোকনুজ্জামান, আওয়ামী লীগ সদস্য ডালিয়া নাসরিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসম্পাদক বাচ্চু হাসান খান প্রমুখ মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন। সভায় অ্যাডভোকেসি টিম চিহ্নিত স্থানসহ ১০-১২ স্থানে পাবলিক টয়লেট নির্মাণের পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চিহ্নিত স্থানগুলো হচ্ছে- জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের পাশে, প্রেস ক্লাব সংলগ্ন খালের পাশে, উদ্বোধন স্কুলের পাশে এবং সরকারি কলেজ মোড়। এছাড়া সভায় পৌরএলাকার অন্য নাগরিক সমস্যা নিয়ে আলোচনার পর পর্যায়ক্রমে সে সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য কাজ করারও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
কাঁঠালিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা
ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম ফোরকান সিকদারকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাত ১০টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে আমুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে তাকে কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ ও আহতর পরিবার জানায়, বুধবার রাত ১০টার দিকে আমুয়া ইউনিয়ন পরিষদের কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন আমিরুল ইসলাম ফোরকান সিকদার। স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে আসলে দুর্বৃত্তরা তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় তাঁর চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
আহত ফোরকান সিকদারের জামাতা মো.জাকির হোসেন গোলদার বলেন, ধারনা করা হচ্ছে স্থানীয় সন্ত্রাসী ও মাদকসেবীদের একটি চক্র আমার শ্বশুরের ওপর হামলা করেছে। তাকে হত্যা করতে চেয়েছিল সন্ত্রাসীরা। লোকজন ছুঁটে আসায় তারা পালিয়ে যায়। শ্বশুরের বা হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
কাঠালিয়া থানার ওসি মো. এনামুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আহত চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামের ওপর হামলার তাৎক্ষণিকভাবে সঠিক কোন কারণ জানা যায়নি। চেয়ারম্যান সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্ছার থাকার কারনে এ হামলা হতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।