রবিবার ● ২৮ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাউজানে ছেলেধরা সন্দেহে মহিলাকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ
রাউজানে ছেলেধরা সন্দেহে মহিলাকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ
রাউজান (দক্ষিণ) প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের রাউজানে ছেলে ধরা সন্দেহ হওয়ায় এক মহিলাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। ওই মহিলার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করেছে রাউজান থানা পুলিশ। ছেলে ধরা সন্দেহ হওয়ার পরও অপ্রীতিকর কোনো রকম ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া ওই মহিলার নাম রওশন আরা বেগম (৪০)। তিনি রাউজান উপজেলার চিকদাইর ইউনিয়নের ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের দক্ষিণ সর্তা গ্রামের হযরত শাহজাহান (রা.) এর বাড়ির মৃত মো. মিয়ার কন্যা। তিনি গত দুই বছর আগে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়লে দুই ছেলেকে পটিয়া শিশু পরিবারে দিয়ে দেন স্বজনরা। এরপর থেকে ছেলেদের সন্ধানে প্রায়ই ঘর থেকে বের হয়ে যান তিনি। সর্বশেষ শনিবার রাত ৯টায় রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাদল মাস্টার বাড়িতে তার দুই ছেলের সন্ধানে যান তিনি। সেখানে এলাকাবাসীর সন্দেহ হওয়ায় ৯৯৯ নাম্বারে রাউজান থানায় ফোন করে খবর দেয়। খবর পেয়ে রাউজান থানার এসআই ইব্রাহিম খলিলসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার রওশন আরা বেগমের স্বজনদের খবর দিলে ভগ্নিপতি রমজান আলী, ভাগনে আরিফুল ইসলাম, ভাবি রুবি আকতার ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোদাসসের হায়দার থানায় যান। শনিবার রাত ১২টা ১৫ মিনিটের সময় রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেপায়েত উল্লাহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন। ওসি বলেন, ছেলে ধরা সন্দেহ হওয়ার পরও মারধর না করে থানায় খবর দিয়ে বাদল মাস্টার বাড়ির লোকজন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। গুজবে কান না দিয়ে ছেলে ধরা সন্দেহ হলে থানায় খবর দেওয়ার আহবান জানান তিনি।
৫শত লিটার ছোলাই মদসহ রাউজানে আটক-২
রাউজান :: চট্টগ্রামের রাউজানে মিনিবাসে করে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা মূল্যের ৫’শ ৫০ লিটার ছোলাই মদসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাত ৯টা ৫৫ মিনিটের সময় শেখ কামাল কমপ্লেক্সের সামনে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে তল্লাসী চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, কর্ণফুলি থানার বড় উঠান ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মীর পাড়া এলাকার মোজাম্মেল ডাক্তারের বাড়ির মৃত জালাল আহমেদের পুত্র মো. এরশাদ (৩৫) ও আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের আলী চান মিস্ত্রির বাড়ির মৃত আহম্মদ ছাফার পুত্র বাস চালক আব্দুল মালেক
ওরফে মানিক (৩২)।
রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেপায়েত উল্লাহ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নোয়াপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ শেখ জাবেদ মিয়া একটি মিনি বাসে (কক্সবাজার-জ-১১০০৩২) তল্লাসি চালিয়ে ১১টি বস্তায় ৫৫০টি স্যালাইনের প্যাকেটসহ দুইজনকে আটক করা হয়।
এসময় মাদক ব্যবসাীয় মুছা পালিয়ে যায়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কাগারাগারে পাঠানো খবর নিশ্চিত করেন ওসি।