বুধবার ● ৩১ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় মোটর সাইকেল চুরির হিড়িক
গাইবান্ধায় মোটর সাইকেল চুরির হিড়িক
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: গাইবান্ধায় মোটর সাইকেল চুরি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে দুমাসে দুজন সাংবাদিকের দুটিসহ ৫টি মোটর সাইকেল গায়েব হয়েছে। মঙ্গলবার একইদিনে দুটি মোটর সাইকেল চুরি যায়। এরমধ্যে জেলা প্রশাসক চত্বর থেকে একটি এবং সেটেলমেন্ট অফিস চত্বর থেকে অপর একটি মোটর সাইকেল চুরি যায়। এছাড়াও জেলা শহর এবং জেলার বিভিন্ন স্থান থেকেও মোটর সাইকেল চুরির খবর পাওয়া যাচ্ছে। চুরি যাওয়া মোটর সাইকেল উদ্ধারে পুলিশের তৎপরতার অভাবে অন্যান্য স্থান থেকেও মোটর সাইকেল চুরি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ৩০ জুলাই মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইন শৃংখলা মিটিং চলাকালিন সময়ে গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আবেদুর রহমান স্বপনের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মূল গেটের কাছে রাখা কালো রংয়ের বাজাজ ১২৫ সিসি প্লাটিনা মোটর সাইকেলটি চুরি যায়। এদিকে একই স্থান থেকে গত ২৬মে গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি দীপক কুমার পালের মোটর সাইকেলটি (বাজাজ ১০০ সিসি) চুরি যায়। দুটি চুরির ঘটনাই সাথে সাথে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করা হয় এবং গাইবান্ধা সদর থানায় এজাহার করা হয়। দ্বিতীয় মোটর সাইকেলটি চুরি যাওয়ার সময়ও জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইন শৃংখলা মিটিং চলছিল। একই স্থান থেকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাধারণ শাখার কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান মল্লিকের একটি মোটর সাইকেল চুরি যায়। এ ছাড়া গত মঙ্গলবার শহরের দক্ষিণ ধানঘড়া এলাকার আবু জাফর মো. জহির হাসানের ও সম্প্রতি শহরের ব্রিজ রোডের ঠিকাদার প্রদীপ সরকার বটুর মোটর সাইকেল চুরি যায়। চুরি যাওয়া এই মোটর সাইকেলগুলো আজও উদ্ধার হয়নি।
জেলা প্রশাসক অফিসের মূল গেটের সম্মুখে একটি সিসি ক্যামেরা বিদ্যমান থাকলেও রহস্যজনক কারণে সেই ক্যামেরায় সাংবাদিকদের মোটর সাইকেল দুটি চুরির সময়কার কোন সিসি ফুটেজ পাওয়া যায়নি। জেলা প্রশাসক অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইটি কর্মকর্তার গাফিলতির কারণেই এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। বরং বিষয়টি নিয়ে তিনি চরম অবহেলা প্রদর্শন করেন।
এদিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গমনকারি দায়িত্বপালনরত দুজন সাংবাদিকের মোটর সাইকেল চুরি যাওয়ায় এবং এখন পর্যন্ত তা উদ্ধার না হওয়ায় গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবের বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক জরুরী সভায় মিলিত হন। সভায় এ ব্যাপারে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে মোটর সাইকেল উদ্ধারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দাবি জানানো হয়। তদুপরি জেলা শহরের আইন শৃংখলা ও নিরাপত্তার স্বার্থে লাগানো নিম্নমানের সিসি ক্যামেরাগুলো অপসারণ করে অবিলম্বে নতুন সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং সিসি ক্যামেরাগুলোকে যথাযথ তত্ত্বাবধান করার জন্যও দাবি জানানো হয়।
গাইবান্ধা প্রেস ক্লাব সভাপতি কেএম রেজাউল হকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আবু জাফর সাবু, গোবিন্দলাল দাস, নুরুজ্জামান প্রধান, দীপক কুমার পাল, আবেদুর রহমান স্বপন, ইদ্রিসউজ্জামান মোনা, সিদ্দিক আলম দয়াল, রেজাউল হক মিতা, শাহাবুল শাহীন তোতা, আব্দুল মান্নান চৌধুরী, আরিফুল ইসলাম বাবু, কুদ্দুস আলম, রজতকান্তি বর্মন, খায়রুল ইসলাম, অলহাজ্ব মমতাজুল ইসলাম লিয়াকত, ফজলে রাব্বি মন্ডল, শেখ হুমায়ুন হক্কানী, শামসুজ্জোহা।
গাইবান্ধায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধা শহরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, খোলাহাটি ইউনিয়নের ফকিরপাড়া, পশ্চিম কোমরনই, মিয়াপাড়া, কুঠিপাড়া ও বোয়ালী ইউনিয়নের বাদিয়াখালি গ্রামে বন্যার্ত মানুষের জন্য ৬শ’ ৫০টি পরিবারকে গতকাল বুধবার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর পীর সাহেব চরমোনাইয়ের পক্ষ থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গাইবান্ধা জেলা শাখার ব্যবস্থাপনায় এইসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে। ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন।
ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিল ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, হাফ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি আলু, ৪ প্যাকেট স্যালাইন, ৫০০ গ্রাম চিনি ও ৫০০ গ্রাম চিড়া। পরে ফুলছড়ি উপজেলার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া, কেতকিরহাট, কালিরবাজার ও উড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ৩শ’ ৫০টি পরিবারকে ওই পরিমাণ ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
ত্রাণ বিতরণকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা লোকমান হুসাইন জাফরী, সংগঠনের জেলা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল মাজেদ, ছাত্র নেতা সাইফ মুহাম্মাদ সালমান, জেলা যুব আন্দোলন সভাপতি মুফতি সৈয়দ তৌহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি গাইবান্ধা জেলার সেক্রেটারি আলহাজ মাওলানা মাঈনুল হকসহ কমিটির নেতৃবৃন্দ। এছাড়া ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার সাঘাটা উপজেলার বিভিন্ন জায়গাতেও ত্রাণ বিতরণ করা হবে।