শুক্রবার ● ২ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় বন্যায় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপন্ন
গাইবান্ধায় বন্যায় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপন্ন
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: বন্যার পানি কমে গেলেও গাইবান্ধায় দুদফা ভয়াবহ বন্যায় জেলা, উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ের সড়ক, ব্রীজ, কালভার্টের মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপন্ন হয়ে পড়ায় জনগণকে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গাইবান্ধা-সাঘাটা সড়কের কুকড়ারহাট এলাকায় বন্যার পানির তোড়ে ৬শ’ ফুট রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় রাস্তার মাটি সরে গেছে। ফলে গাইবান্ধা জেলার সাথে সাঘাটা উপজেলা শহরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। কবে বিধ্বস্ত সড়কটি মেরামত করে ওই পথে যাতায়াত ব্যবস্থা চালু তার কোন নিশ্চয়তা নেই। এতে ওই এলাকার জনগণকে বিকল্প ঘুর পথে বোনারপাড়া হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
এছাড়া গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ সড়কে কদমতলা সংলগ্ন সড়কের ব্রীজটির পশ্চিম অংশ বন্যার পানির তোড়ে দেবে গেছে। ফলে ওই সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পথচারী ও হালকা যানবাহন চলাচল করছে।
বন্যায় এ পর্যন্ত জেলার ৫শ’ ৯৩ কি.মি. কাঁচা রাস্তা এবং ২শ’ ৬৬ কি.মি. পাকা রাস্তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ৩৯টি কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গাইবান্ধা জেলা শহরের সড়কে সীমাহীন যানজট
গাইবান্ধা :: বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় এবং আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রতিদিন সীমাহীন যানজটের কবলে পড়ছে গাইবান্ধা জেলা শহরের সবকটি প্রধান প্রধান সড়ক। এতে যানবাহন চলাচল এবং পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
শহরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মুখ থেকে শুরু করে বাসটার্মিনাল থেকে শুরু করে পুরাতন বাজার পেরিয়ে ডিবি রোড, বালাসাঘাট সড়ক জুড়েই প্রতিনিয়ত দীর্ঘক্ষণ সীমাহীন যানজটে স্থবির হয়ে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এছাড়া পুরানা জেলখানার মোড় থেকে পূর্বকোমরনই বাঁধের মাথা, বড় মসজিদের মোড় থেকে বাংলা বাজার, ২নং ট্রাফিক মোড় থেকে গাইবান্ধা সরকারি কলেজ, দাসবেকারির মোড় থেকে ১নং ট্রাফিক মোড়, কাচারী বাজার মোড় এবং পার্ক রোড পর্যন্ত প্রতিনিয়ত দিন এবং রাতে যানজট লেগেই থাকে। এই যানজটের কারণে প্রতিদিন বাস-ট্রাক, অটোরিক্সা, অটোবাইক ও মোটরসাইকেলের সাথে দুর্ঘটনা ঘটছে। ফলে স্বল্প পরিসরের সড়কগুলো দিয়ে পথচারীদের চলাচল বিঘিœত হচ্ছে এবং জীবন ও সম্পদের ক্ষতি হচ্ছে।
এর মধ্যে বেআইনীভাবে সড়ক সংলগ্ন ফুটপাত দখল এবং সড়কের সাথে ব্যাপকহারে অবৈধভাবে দোকানপাট গড়ে তোলা হয়েছে। বিশেষ করে বাসটার্মিনাল সংলগ্ন এলাকায় বাস চলাচল শুরুর আগ মুহুর্তে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকায় ওই এলাকায় যানজট বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া ডিবি রোডের ব্যবসায়িরা রাস্তার পাশে ট্রাক দাড়িয়ে রেখেই মালামাল লোড আনলোড করে থাকে বলেও অধিকাংশ সময়ে সীমাহীন যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এই অবস্থাতেও নিয়ন্ত্রণহীন অটোরিক্সা, অটোবাইক, সিএনজি, মোটর সাইকেল, ট্রাক্টর, হ্যান্ড ট্রাক্টর, বাস-ট্রাক, ভটভটি ও গ্রামবাংলা মোটরযান অপরিসর সড়ক দিয়ে অবাধ চলাচলের মধ্য দিয়েই দুর্ঘটনার আশংকা নিয়ে শহরবাসীকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এমতাবস্থাতেও এই শহরে অটোরিক্সা ও অটোবাইকের সংখ্যা নিয়ন্ত্রনহীনভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে যানজটে স্থবির হয়ে পড়ছে গাইবান্ধা শহর।
নারকেল গাছ পরিস্কার করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গাছীর মৃত্যু
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে নারকেল গাছ পরিস্কার করতে গিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঞ্চালন তার স্পর্শে গাছী নুরুল ইসলামের (৬৫) মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের আন্দুয়া গ্রামের মৃত নছির উদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলাম নুরুন্নবী অন্যান্য দিনের মতো বৃহস্পতিবার (০১ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের সাতআনা নওদা গ্রামের সাজু মিয়ার ছেলে সাইফুল মিয়ার নারকেল গাছ পরিস্কার করতে তার বাড়ীতে যায়। বেলা ১২টার দিকে গাছ পরিস্কারকালে অসাবধানতাবশতঃ গাছ ঘেঁষে পল্লী বিদ্যুতের বৈদ্যুতিক খুঁটির বিদ্যুৎ সঞ্চালন তারের সাথে কর্তনকৃত নারকেল গাছের কাচা ডাল স্পর্শ করায় বিদ্যুতায়িত হয়ে নুরুল ইসলাম গাছে আটকে থাকে।
পরে গাইবান্ধা সদর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সকে খবর দেয়া হলে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা মরদেহ নিচে নামায়। পরিবার ও এলাকার পরিচিতজনদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে।