রবিবার ● ৪ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি নির্মাণ এবং কৃষকদের বীজ ও সার বিনামূল্যে দেয়া হবে : পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি নির্মাণ এবং কৃষকদের বীজ ও সার বিনামূল্যে দেয়া হবে : পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি বলেছেন, সাম্প্রতিক বন্যায় বাঁধসহ বিভিন্ন অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আগামীতে বাঁধগুলো মজবুত করে নির্মাণ করা হবে যাতে ভাঙ্গনের হাত থেকে বাঁধ ও সম্পদ রক্ষা পায়। তিনি বলেন, এবারের বন্যায় গাইবান্ধায় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের ৩৭টি পয়েন্টে পানির স্রোতে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়া অংশে জরুরী পূনঃ সংস্কারের কাজের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে এসব ভাঙ্গন ক্লোজ করা হবে। তিনি বলেন, আগামীতে এই ধরণের কোন ভোগান্তি হবে না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দ্দেশনায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সকলকে ত্রাণ পৌছনো হয়েছে এসব ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকবে। যাদের ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদেরকে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হবে এবং কৃষকদের কৃষি পূর্নবাসনে আওতায় আমন চারাসহ বীজ ও সার বিনামূল্যে দেয়া হবে।
তিনি গতকাল শনিবার রাত ৮টায় গাইবান্ধা শহরের ঘাঘট নদীর গোদার হাট বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের পূনঃ সংস্কার কাজ ও বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে একথা বলেন। এসময় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহমুদুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. মোস্তাফিজার রহমান, প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রশাদ ঘোষ, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আলমগীর কবির, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান ও আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফরহাদ আব্দুল্যাহ হারুন বাবলু প্রমুখ।
তিনি বলেন, আগষ্ট মাসে আর একটি বন্যা দেখা দিতে পারে সে জন্যে সরকার প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আমি আশা করি আগামীতে এই ধরণের ভোগান্তি হবে না। এর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে ফুলছড়ি উপজেলার চন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
গাইবান্ধায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি অব্যাহত
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধায় ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। রোববার নতুন করে গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে আরও ৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ নিয়ে এ পর্যন্ত গাইবান্ধায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২৩ জন।
গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতালের সুত্রে জানায় গেছে, নতুন ডেঙ্গু রোগীরা হলো গাইবান্ধা সদর উপজেলার দক্ষিণ ধানঘড়ার ডাঃ মাশরুকা, শহরের পূর্বপাড়া এলাকার রিয়াদ হোসেন এবং পশ্চিমপাড়া এলাকার রাদ মিয়া। এছাড়া পলাশবাড়ি উপজেলার হরিরামপুরের জাহেদুল হক এবং গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শ্রীবাড়ি গ্রামের রিপন মিয়া। গোবিন্দগঞ্জের এই ডেঙ্গু রোগীকে বগুড়ার জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানা গেছে, স্থানীয় পর্যায়ে কেউ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার কোন খবর পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নতুন ৫ জনসহ সকল ডেঙ্গু রোগীরাই সম্প্রতি ঢাকা থেকে ঘুরে এসেছেন এবং সেখান থেকেই তারা ডেঙ্গুর জীবানু বহন করে গাইবান্ধায় এসে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন বলে জানা গেছে।