শিরোনাম:
●   সচিবালয়ে আগুন ●   মহালছড়িতে আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেফতার ●   প্রফেসর কামাল উদ্দিন চৌধুরী কলেজের রজতজয়ন্তী উৎসব ●   শাহরাস্তিতে আন্তর্জাতিক ক্বেরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত ●   পানছড়ি ৩ বিজিবি’র পক্ষ থেকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সাথে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় ●   ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তরুণের আত্মহত্যা ●   দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণের ডাক দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ ●   ভোটকেন্দ্রে শূন্যভোটের মাধ্যমে পার্বত্যবাসী ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে ●   ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা নানা সুরতে আবির্ভুত হওয়ার পাঁয়তারা করছে ●   কাউখালীতে উইভ এনজিওর অবহিতকরণ সভা ●   খাগড়াছড়িতে ইত্তেফাকের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   বেগম রোকেয়া এ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক সাব্বির ●   বারইয়ারহাট ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফারুক,সম্পাদক ইউসুফ ●   দীঘিনালায় গলায় ফাঁস দেয়া যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ●   ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মা নিহত, ছেলে আহত ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা বোর্ড ২য় সভা অনুষ্ঠিত ●   রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ●   মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন ●   মানিকছড়িতে ট্রাকের নীচে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু ●   আল ফালাহ ইসলামি একাডেমীর সবক প্রদান অনুষ্ঠান ●   ১১ দফা অবহিতকরণে আত্রাইয়ে আলোচনা সভা ●   পার্বতীপুর রেলওয়ে ইর্য়াডের আম গাছে যুবকের আত্মহত্যা ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ গঠিত ●   কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা ●   পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত ●   বৈরী আবহাওয়ায় ও শীতের তীব্রতায় বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা ●   কোন হটকারিতায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা ●   তরফভাইখাঁ সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   মিরসরাইয়ে শীতার্তের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
রাঙামাটি, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বৃহস্পতিবার ● ১৪ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » পাবনা » চাটমোহরের মৃত্‍ শিল্প বিলুপ্তির পথে
প্রথম পাতা » পাবনা » চাটমোহরের মৃত্‍ শিল্প বিলুপ্তির পথে
বৃহস্পতিবার ● ১৪ জানুয়ারী ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

চাটমোহরের মৃত্‍ শিল্প বিলুপ্তির পথে

---
ইকবাল কবীর রনজু :: সভ্যতার উষালগ্ন থেকে পুরাতন সভ্যতাকে পরাজিত করে নতুন নতুন সভ্যতা এসেছে৷ নতুন নতুন প্রযুক্তি মানুষের জীবন জীবিকায় পরিবর্তন এনেছে৷ কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প, সাহিত্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে৷ নিরবে নিভৃতে নতুন প্রযুক্তির কাছে হার মানতে মানতে চাটমোহরের প্রাচীন ঐতিহ্য মৃৎশিল্প আজ বিলুপ্তির পথে৷ প্রাচীন ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে পাবনার চাটমোহরের নিমাইচড়া ইউনিয়নের পাল পাড়া গ্রামের পাল সমপ্রদায়ের কিছু অভাবী মানুষ এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ সনাতনী পদ্ধতি আকড়ে ধরে, প্রাচীন ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা৷ এভাবে তারা বেঁচে থাকার পাশাপাশি মৃত প্রায় এ শিল্পটিকেও কোন মতে বাঁচিয়ে রাখছেন৷ তাই সৃষ্টির উল্লাসে খেয়ে না খেয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি কাদা মাটি দিয়ে তৈরী করে থাকেন হাড়ি, পাতিল, কলস, খাদা, চাড়ি, সড়া, মুছি, কড়াই, মুড়ি ভাজার পাতিল, তবাক, মাটির কোলা, জালা, চাড়ি, ঝাঁঝুড়, মাটির খেলনা, ব্যাংকসহ বিভিন্ন রকমের গৃহস্থালী সামগ্রী৷ চাটমোহর পৌর এলাকা থেকে প্রায় ৮ কিলমিটার দূরে করতোয়া নদীর পাড়ে পাল পাড়া গ্রামটির অবস্থান৷ কবে এ গ্রামের উত্‍পত্তি তা বলতে পারেন না কেউই৷ ২০/২৫ বছর আগে এ গ্রামে শতাধিক পাল পরিবারের বসতি থাকলেও এখন টিকে আছেন ৩৩ পরিবার৷ বাড়ি ছাড়া তাদের মাঠে কোন ফসলী জমি নেই৷ এ গ্রামের আকালু পালের ছেলে জীবন কুমার পাল (৪০) জানান, জ্ঞান হবার পর থেকে পৈত্রিক পেশা হিসেবে মৃৎশিল্পের কাজের সাথে সম্পৃক্ত তিনি৷ এ কাজে তার স্ত্রী অর্চণা রাণী (৩৫) তাকে সহায়তা করে থাকেন৷ বড় ছেলে কার্তিক উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে এবং ছোট ছেলে রাজকুমার স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ছে৷ ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পের প্রতিকূল অবস্থা সম্পর্কে তিনি জানান, এ শিল্পের অন্যতম প্রধান উপকরণ এঁটেল মাটি৷ কয়েক বছর আগেও ২০/২৫ ডালি এঁটেল মাটির দাম ছিল ৬০/৭০ টাকা৷ এখন তা কিনতে হয় প্রায় হাজার টাকায়৷ জ্বালানীর দাম ও বেড়েছে অপ্রত্যাশিত ভাবে৷ মানুষ এখন মাটির তৈরী পাত্রের বদলে সিলভারের হাড়ি পাতিল কিনতে ও ব্যবহার করতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করছে৷ তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমরা এ শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে পারছি না৷ নরেশ কুমার পাল জানান, এ এলাকায় মাটির তৈরী বাসন পত্রের কদর নেই৷ ঢাকা, শাহজাদপুর, নগরবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এসে বাসনপত্র কিনে নিয়ে যায়৷ বিভিন্ন ফসলের মৌসুমে আমরা গ্রামে গ্রামে গাওয়াল করি৷ পরেশ চন্দ্র পাল (৬৫) জানান, মৃৎশিল্পের কাজ করে কোন মতে খেয়ে পরে জীবন পরিচালনা করছি৷ এ পেশায় ধ্বস নামায় পাল সমপ্রদায়ের অনেকে এখন পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় চলে গেছেন৷ রনজিত্‍ পাল (৪৬) জানান, জ্ঞান হবার পর থেকে এ কাজে সম্পৃক্ত আছি৷ ২৫ থেকে ৩০ রকমের জিনিষ পত্র তৈরী করি৷ একটি ভাটা পোড়াতে প্রায় ২ হাজার টাকার জ্বালানী প্রয়োজন হয়৷ উত্‍পাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবং ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পটি জৌলুশ হারিয়ে ফেলায় কেবল পালপাড়া নয় চাটমোহরের বেলগাছি, হরিপুরসহ অন্যান্য এলাকার পালেদেরও মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে৷ সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি বজায় থাকলেও পেশায় সুবিধা করতে না পারায় অনেকে রাতের আঁধারে দেশ ত্যাগ করছেন৷ গত কয়েক বছরে পালপাড়া ও বেলগাছির অনত্মত ৫০ পরিবার দেশ ত্যাগ করেছেন৷ তিনি আরো জানান, ৩০/৪০ বছর পূর্বে চাটমোহরে প্রায় সহস্রাধিক পরিবার এ পেশায় ছিল৷ এখন এ সংখ্যা কমে এক পঞ্চমাংশে নেমে এসেছে৷ আমাদের ছেলেরা এখন পড়া লেখা করছে৷





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)