সোমবার ● ৫ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ব্যবসায়ী জামিরুল হত্যা মামলায় আরও ২ জন গ্রেফতার
ব্যবসায়ী জামিরুল হত্যা মামলায় আরও ২ জন গ্রেফতার
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের কুবিরখালী গ্রামে ব্যবসায়ী জামিরুল ইসলাম হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বন্দুক ও ছিনাইতাইকৃত মোটর সাইকেল উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। সেই সাথে গ্রেফতার করেছে আরও দুই জনকে। গ্রেফতারকৃত হলো-চুয়াডাঙ্গার নবীনগর গ্রামের মৃত. সামাদ মালিথার ছেলে নাসির উদ্দিন (৪০) ও ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আওলাদ আলীর ছেলে আজিজুল ইসলাম। রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আজ সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান প্রেস কনফারেন্সে জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১৯ এপ্রিল রাতে সদর উপজেলার কুবিরখালী গ্রামে জামিরুলকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের মামা মোশাররফ হোসেন মুছা অজ্ঞাতদের আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ তদন্ত শেষে এ ঘটনার মুল পরিকল্পনাকারী গোলাপ মেম্বরসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। তারা হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধি দিয়েছে। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ডিবি পুলিশ রোববার রাতে চুয়াডাঙ্গার নবীনগর গ্রামের নাসির উদ্দিনের বাড়ি থেকে মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা নাসির উদ্দিনকে। একই রাতে ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের আজিজুল ইলামের বাড়ি থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বন্দুক ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয় ও গ্রেফতার করা হয় তাকে। এ মামলায় প্রধান আসামী বোরহান এখনও পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঝিনাইদহে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে খাদ্য বিভাগ
ঝিনাইদহ :: অভ্যন্তরীন চাল সংগ্রহে মিলারদের কাছ থেকে টনপ্রতি ৫’শ ও ৬’শ টাকা ঘুষ নেওয়া ঝিনাইদহ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নকীব সাদ সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে খাদ্য বিভাগ। সোমবার দুপুরে খাদ্য অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীন নিরীক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক আমজাদ হোসেন এ তদন্ত করেন। তিনি জেলা খাদ্য বিভাগের অফিসে গিয়ে মিলারদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের অভিযোগ শোনেন। তিনি বলেন, ১ সদস্য বিশিষ্ট এই তদন্ত কমিটি। মিলারদের সাথে কথা বলা হয়েছে। তদন্তের বিষয়ে বিভিন্ন উপজেলার মিলারদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। দ্রুত এই তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল থেকে অভ্যন্তরীন চাল সংগ্রহ শুরু হওয়ার পর থেকে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিলারদের কাছ থেকে সদর উপজেলায় ৫’শ টাকা ও অন্যান্য উপজেলায় ৬’শ টাকা করে ঘুষ গ্রহণ করে।
কালীগঞ্জে পরীক্ষার খাতা নিরীক্ষণে অবহেলার দায়ে ২ শিক্ষিকা বরখাস্ত
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন ও নিরীক্ষণে অবহেলা করায় তাদের বহিষ্কার করেছে ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। গত ৩১ জুলাই এক অফিস আদেশে কালীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রুবিনা খাতুন ও পাপিয়া খাতুনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। ১ আগস্ট থেকে তাদের এই বহিষ্কার আদেশ কার্যকর করা হয়েছে। তবে পাপিয়া খাতুন বর্তমানে হাটবাকুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন। বহিষ্কারের বিষয়ে বলা হয়, ২০১৮ সালে সমাপনী পরীক্ষায় বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়নের দায়িত্বে ছিলেন রুবিনা খাতুন এবং নিরীক্ষক ছিলেন পাপিয়া খাতুন। তারা উভয়ে পরীক্ষার্থী আরাফাত সিদ্দিক অহনের (রোল নম্বর ৩৯৩০) বালাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও নিরীক্ষণের দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু ওই বিষয়ের মোট নম্বরের ঘরে যোগফল ৯৬ এর স্থলে ৭৬ লেখা হয়েছে। পরে দু’জনের কেউ তা সংশোধন করে নাই। ফলে ওই শিক্ষার্থীর ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে। আরও বলা হয়, তাদের এরূপ কার্যকলাপ সরকারি দায়-দায়িত্ব পালনে অবহেলা জনিত অসাদাচরণের সামিল এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ বিধায় আপনাকে সরকারি কর্মচারী শৃংখলা ও আপীল বিধি ২০১৮ এর ২(আ) এবং ৩(খ) অনুযায়ী দায়িত্বে অবহেলা জনিত অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত করা হল এবং একই বিধিমালার ১২এর উপবিধি(১) মোতাবেক সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হল। অফিস আদেশে বলা হয়, সাময়িক ভাবে বরখাস্তকালীন সময়ে তারা কর্মস্থলেই অবস্থান করবেন এবং কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ব্যতীত অন্যত্র যেতে পারবেন না। অন্য কোন চাকুরি বা পেশা গ্রহন করতে পারবেন না। তবে তারা বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। তাদের বহিষ্কার আদেশ ১ অগাস্ট হতে কার্যকর হয়েছে। ছাত্র অহনের পিতা পরীক্ষার নম্বর ফর্দ ভুল দেখে বিভিন্ন দপ্তরে ছুটাছুটি করেন। কিন্তু তাতে কোন লাভ না হওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত ঘটনাটি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হলে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের টনকনড়ে। ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মো. আক্তারুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।