বুধবার ● ৭ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » লামায় জীপ উল্টে আহত-১১
লামায় জীপ উল্টে আহত-১১
বান্দরবান প্রতিনিধি :: বান্দরবানের লামায় যাত্রীবাহী জীপ গাড়ি উল্টে ১১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৮ জনকে লামা সরকারি হাসপাতালে ও ৩ জনকে চকরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ বুধবার ৭ আগস্ট সকালে লামা-আলীকদম সড়কের শিলেরতুয়া এলাকায় যাত্রীবাহী জীপ গাড়ি আলীকদম যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন : মনির আহাম্মদ, রবীন্দ্র লাল, মেনতন ম্রো, তিংলক ম্রো, রেজাউল করিম, সাহাব উদ্দিন, জাহেদুল ইসলাম ও মো. পারভেজ।
পুলিশ ও স্থানিয়রা জানান, যাত্রীবাহী জীপটি চকরিয়া হতে আলীকদম যায়ার পথে গাড়িটির ড্রাইভার বেপরোয়া গতিতে জীপ চালাচ্ছিল। গাড়িটি পথে লামা পৌরসভার শিলেরতুয়া এলাকায় আসলে একটি টমটমকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের বড় একটি গাছের সাথে ধাক্কা দিলে জীপটি রাস্তার উপরে উল্টে যায়। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানিয়রা দুর্ঘটনার খবরপেয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানার পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অপ্পেলা রাজু নাহা দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, লামা-আলীকদম সড়কের শিলেরতুয়া এলাকায় যাত্রীবাহী একটি জীপ গাড়ি আলীকদম যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে উল্টে গিয়ে ১১ জন আহত হয়েছে। আহতদের লামা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
নাইক্ষ্যংছড়িতে বেতন ভাতা পাচ্ছেন না ১৭ শিক্ষক-কর্মচারী
মোহাম্মদ আব্দুর রহিম,বান্দরবান প্রতিনিধি :: প্রতিটি ক্রিয়ার একটি সমান প্রতিক্রিয়া আছে। নিজের সেই পরিণতি ভোগ করছে নানা কারনে আলোচনায় থাকা অধ্যক্ষ সৈয়দ হোসাইন। যে কাজেই হাত দিচ্ছেন সেখানেই বির্তকের জন্ম দিচ্ছেন তিনি। এই অধ্যক্ষের জালিয়াতির কারনে (জুন-জুলাই) মাসের বেতন ভাতা ও ঈদ বোনাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নাইক্ষ্যংছড়ি মদিনাতুল উলুম মডেল ইনষ্টিটিউট আলীম মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা।
এদিকে মাদরাসা সভাপতি ও অধ্যক্ষের যৌথ স্বাক্ষরে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতার বিল ছাড় দিতে আদালতে আশ্রয় নিয়েছেন অধ্যক্ষ সৈয়দ হোসাইন। গত ২৫ আগষ্ট বান্দরবান যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি আবেদন করেন তিনি। তবে সেই আবেদনের বিরুদ্ধে সদর ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী ও মাদরাসার শিক্ষানুরাগী সদস্য মোহাম্মদ উল্লাহ পক্ষভুক্ত বিবাদী হওয়ার জন্য আরেকটি আবেদন করেছেন। আদালত দুটি আবেদন আমলে নিয়ে আগামী ২৫আগষ্ট পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য্য করেছেন।
এই অবস্থায় অধ্যক্ষ সৈয়দ হোসাইন ‘ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে’ অবস্থা দাড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মাদরাসা, কমিটির সদস্য, শিক্ষক-কর্মচারীরা। এই প্রসঙ্গে, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও মাদরাসা কমিটির শিক্ষানুরাগী সদস্য মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন- অবৈধ কমিটিকে বৈধ করার জন্য এবং জেলা প্রশাসক মহোদয়ের পত্র জালিয়াতির তথ্য ঢাকতে অধ্যক্ষ কৌশল চালাচ্ছে। মাদরাসার বৃহৎ স্বার্থ ও সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের অধিকার আদায়ের জন্য বির্তকিত অধ্যক্ষের অপসারণ চান তাঁরা।
মদিনাতুল উলুম মডেল ইনষ্টিটিউট আলীম মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা আবু বক্কর, মাওলানা হাবিবুল্লাহ, তাজিম উদ্দিন, মো: ইছহাক, ছৈয়দুল বাশার, মাওলানা আবু বক্কর ছিদ্দিক, মোক্তার আহমদ, রোখসানা আক্তার বেগম, ইজ্জল আলী, গিয়াস উদ্দিন, সাখাওয়াত হোসেন বলেন- ‘ ব্যংকে অধ্যক্ষ জালিয়াতি পত্র জমা দেওয়ার কারনে অপরাধের দায় ভোগ করছে শিক্ষক-কর্মচারীরা’। জেলা প্রশাসকের ওই পত্রটি জালিয়াতির কারনে ঈদ মৌসুমে আমরা বেতন ভাতা পাচ্ছি না এটি সাময়িক সমস্যা। তবে বির্তকিত ও দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের জালিয়াতির বিষয়ে আদালত সঠিক সিদ্ধান্ত দিবেন বলে মনে করেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের একটি পত্র জালিয়াতি করে নাইক্ষ্যংছড়ি জনতা ব্যংক শাখায় জমা দেন অধ্যক্ষ সৈয়দ হোসাইন। পরে ওই পত্রের সাথে মাদরাসা বোর্ডের ওয়েবসাইটে থাকা পত্রে ‘কমিটি জালিয়াতি’র বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতার চেক বিতরণ বন্ধ রেখেছে ব্যংক কর্তৃপক্ষ।