বুধবার ● ৭ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » গাইবান্ধায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট
গাইবান্ধায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: বন্যা কবলিত গাইবান্ধার সাত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। বিক্রি কম হলেও হাটে কোরবানির গরু উঠেছে প্রচুর। তবে প্রতি বছরের মত ভালো দাম না থাকায় হতাশ সাধারণ বিক্রেতা ও ব্যবসায়িরা।
বন্যার ধকল কেটে উঠতে না উঠতেই ঘরের দরজায় কড়া নাড়ছে কোরবানি ঈদ। জেলার ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্যাপুর, পলাশাড়ি, গোবিন্দগঞ্জ ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় ৩১টি কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। হাটগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৮টি স্থায়ী ও ১৩টি অস্থায়ী। ইতিমধ্যেই এসব কোরবানির পশুর হাটে ব্যাপকভাবে উঠতে শুরু করেছে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেঁড়া। জেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট সাঘাটার ভরতখালী, সদর উপজেলার মাঠেরহাট, দারিয়াপুর, গোবিন্দগঞ্জের নাকাইহাট, ফাঁসিতলাসহ বিভিন্ন হাটে এবার দেশী গরু, ছাগলের আনাগোনা বেশী। ভারতীয় গরু হাটে দেখা না গেলেও গরুর দাম অন্যান্য বারের তুলনায় কম হওয়ায় ন্যায্য দাম পাচ্ছে না সাধারণ বিক্রেতা ও ব্যবসায়িরা।
দারিয়াপুর হাটে গরু বিক্রি করতে আসা কুপতলা ইউনিয়নের চাপাদহ গ্রামের নুরুল আলম জানান, আমার একটা গরু লালন পালন করতে মোট ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। হাটে ক্রেতারা দাম হাকছে ৯০ থেকে ৯৫ হাজার টাকা। লাভ তো দুরের কথা, আসল টাকাই নেই। সর্বশেষ তিনি ১ লাখ ১০ হাজার টাকা হলে গরু বিক্রি করবেন। নয়তো বাড়িতে ফেরত নিয়ে যাবেন। আরেক গরু বিক্রেতা আব্দুল জলিল বলেন, কষ্ট করে গরু পালন করে বাজারে এসে যদি দাম পাওয়া না যায়। তাহলে কষ্ট ছাড়া আর কিছুই না। ক্রেতারা মনে করছে এবারের বন্যার কারণে গরুর দাম কম হবে। কিন্তু বন্যার কারণে গরুকে বেশী দামে খাদ্য কিনে খাওয়ানো হয়েছে।
দারিয়াপুর হাট ইজারাদার আয়েন উদ্দিন জানান, এ হাটে ক্রেতা এবং বিক্রেতারা যাতে টাকা-পয়সা নিয়ে নির্বিঘেœ গরু বেচা-কেনা করতে পারে সেজন্য পুলিশি টহল ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দুরের ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা আছে। এছাড়া জাল টাকা সনাক্তকরণ ব্যবস্থাসহ আমাদের স্বেচ্ছাশ্রমে হাটের চারপাশে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য লোকজন রয়েছে।
গাইবান্ধায় ডেঙ্গু বিরোধী ক্রাশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান
গাইবান্ধা :: ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্রাশ কর্মসূচি উপলক্ষে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, বাসভবনে আজ বুধবার পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়। কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন।
এসময় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহিরুল হক, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোছা. রোখছানা বেগম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর কবিরসহ সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান এবং ডেঙ্গু বিরোধী প্রচার কার্যক্রম চালানো হয়। এ উপলক্ষে খাদ্য বিভাগের কার্যালয় চত্বর এবং বিভিন্ন গুদাম এলাকায় পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়।
কর্মসূচির উদ্বোধনে জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কোন বিকল্প নেই। তাই সকলকে নিজ নিজ বসতবাড়ি ও উন্মুক্ত জলাশয় এবং পরিত্যক্ত ভবনসহ আশেপাশের ঝোপ-জঙ্গল পরিস্কার রাখতে হবে।