বৃহস্পতিবার ● ৮ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বাঁচতে চায় ব্লাড ক্যান্সার আক্রান্ত স্কুলছাত্রী মাসুমা
বাঁচতে চায় ব্লাড ক্যান্সার আক্রান্ত স্কুলছাত্রী মাসুমা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: মাসুমা আক্তার তামিমা। ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী। ৬ ভাইবোনের মধ্যে সবার বড়। বাবা সামান্য একজন রাজমিস্ত্রি। টানাপোড়েনের সংসার হলেও দশ বছর বয়সী মাসুমার শৈশবের দুরন্তপনায় ছিল না সেই ছাপ। অন্য শিশুদের মত সেও ছিল চঞ্চলা আর দুরন্ত। লেখাপড়ায়ও ছিল অসম্ভব ঝোঁক। সেই মাসুমারই আজ ঠাই হয়েছে হাসপাতালের বিছানায়। অনেকটা নিরব-নিথর পড়ে আছে সেখানে। চলছে চিকিৎসা। তাকে দেয়া হচ্ছে ক্যামেথেরাপী। কারণ সে যে মরণব্যাধী ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। এতে করে তার শৈশবে যেমন ঘটেছে ছন্দপতন, তেমনি অভাবের সংসারে নেমে এসেছে হতাশার অন্ধকার।
মাসুমার বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের বাওনপুর গ্রামে। স্থানীয় বাওনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ শিক্ষার্থীর পিতার নাম মজর আলী। পেশায় যিনি রাজমিস্ত্রি। মা-স্ত্রী ও ৬ সন্তান নিয়ে তার সংসার। মঙ্গলবার বিকেলে মুঠোফোনে এ প্রতিবেদক কথা বলেন মজর আলীর সাথে।
তিনি জানান, গেল রমজানে মাসুমার ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। প্রথমে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করি। চিকিৎসকের পরামর্শে সেখান থেকে তাকে মাউন্ড এডোরা হাসপাতালে নিয়ে আসি। বর্তমানে এখানেই তার চিকিৎসা চলছে। এই চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল হওয়াতে আমি একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। ইতিমধ্যে সমাজের বিত্তবানদের দেয়া অর্থে মাসুমাকে ৪টি ক্যামোথেরাপী দেয়া হয়েছে। পুরো চিকিৎসায় প্রয়োজন ২৫ লক্ষ টাকা। সমাজের বিত্তবানরা যদি সহযোগিতার হাত বাড়ান, তাহলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে আমার আদরের মেয়ে মাসুমা।
মজর আলী তার ০১৭৯২-৫৪৪৬৭০ (বিকাশ পার্সোনাল) ও মাসুমার মামা মনসুর আলীর ০১৭৩০-৬৬১১৬০ (বিকাশ পার্সোনাল) নাম্বারে সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের আর্থিক সহযোগিতার হাত প্রসারের জন্যে সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
বিশ্বনাথে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে বৃদ্ধাকে হত্যার অভিযোগে আটক-৩
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে লাখ টাকা আত্মসাৎ করতে আয়ফুল বেগম (৫৫) নামে চার সন্তানের জননীকে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের দোহাল গ্রামের মৃত ফজর আলীর স্ত্রী। গত ৩ আগস্ট শনিবার দিবাগত রাতে তিনি তার বসতঘরে মারা যান। আয়ফুলকে হত্যার অভিযোগ এনে বুধবার সন্ধ্যায় তার বড় মেয়ে নাসিমা বেগম থানা পুলিশের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে একই গ্রামের মনু মিয়ার পুত্র (আয়ফুলের মেয়ের জামাই) নুর উদ্দিন (৩৫), বড় ভাই মখলিছ আলী (৬৫) ও ইলিয়াস আলী (৫৮) আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বৃহষ্পতিবার বিকেলে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) সাইফুল ইসলাম ও থানার ওসি মো. শামীম মূসা ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন।
নাসিমা বেগম স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, ‘আমার মা আয়ফুল বেগম গত ২৮ জুলাই দুলাভাই নুর উদ্দিনকে সাথে নিয়ে ঘর নির্মাণের জন্যে একটি এনজিও সংস্থা থেকে ১ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। এরপর থেকে এই টাকা আত্মসাৎ করতে সে আমার মাকে কৌশলে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে আসছিল। একইভাবে ৩ আগস্ট রবিবার রাতেও মাকে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে দেয় নুর উদ্দিন। ওই রাতেই কোনো এক সময়ে নিজের শয়ন কক্ষে তিনি মারা যান। পরদিন সকালে সবার আগে রহস্যজনকভাবে চা নিয়ে এসে আমার মাকে নুর উদ্দিন ডাকাডাকি করে। পরে লোকজন দরজা খুলে মাকে উদ্ধার করেন। এ সময় তার মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং তার বুক ফুলা ছিল। কক্ষের কার্পেটের নীচে ছিল ঘুমের ট্যাবলেটের খোসা। তাকে উদ্ধার করা হলেও তার পুরো শয়ন কক্ষ খুঁজে ১ লাখ টাকার কোনো হদিস মেলেনি। টাকার বিষয়ে কিছু জানো কিনা-এমন প্রশ্ন করলে নুর উদ্দিন সন্দেহজনক কথাবার্তা বলে। সে এলাকার একটা চিহ্নিত চোরও।’
ঘটনাস্থলে যাওয়া থানার এসআই দেবাশীষ শর্ম্মা বলেন, নুর উদ্দিনকে আসামী করে মামলার এজাহার প্রস্তুত করা হচ্ছে। বাকী আটকদেরকে তদন্তের স্বার্থে থানায় রাখা হয়েছে।
থানার ওসি মো. শামীম মূসা প্রতিবেদককে জানান, এ ঘটনায় একজনকে আসামী করে মামলা দেয়া হয়েছে।
বিশ্বনাথে বিএনপি নেতাসহ ৬জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বাড়ির জায়গা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্বনাথে জমির আলী (৬৫) নামের এক বিএনপি নেতাসহ ৬জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। জমির আলী উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও পালের চক গ্রামের মৃত ইর্শ্বাদ আলীর ছেলে। মামলায় বাকি ৫অভিযুক্তরা হলেন, পালের চক গ্রামের মৃত ইলিয়াছ আলীর ছেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী তফুর আলী ওরফে নেফুর আলী (৫৫), মৃত সমশের আলীর ছেলে বারিক মিয়া (৩৮), শফিক মিয়া (৩৫), আলমগীর হোসেন (২০) মৃত আবন আলীর ছেলে দিলোয়ার হোসেন (৪৫)। গত ২ আগষ্ট শুক্রবার সকালে বিশ্বনাথ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন জমির আলীর চাচাতো বোন ফুলতেরা বেগম। তিনি মৃত ইছাক আলীর মেয়ে ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী দাদুভাই ছইল মিয়ার বড়বোন।
এজাহার সূত্রে জানাগেছে, ৮৪৩/১১-১২ নং নামজারী মোকদ্দমায় তার ছোটভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী দাদুভাই ছইল মিয়া ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী মনসুর মিয়ার ছবি ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে অভিযুক্তরা জায়গার ভূয়া নামজারীর দলিলপত্র তৈরি করেছেন। প্রকৃতপক্ষে দাদুভাই ছইল মিয়ার ছবি ও স্বাক্ষর ওই নামজারিতে ব্যবহারই করা হয়নি। অন্যদিকে মনসুর মিয়াকে প্রবাসে রেখেই অভিযুক্তরা তার ছবি ব্যবহার করে নামজারির বৈধতা দেখিয়েছেন। যে কারণে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ এনে ৪২০/৪০৬/৪৬৮/৪৬৭/১০৯ পেনাল কোড ১৮৬০ ধারায় বিএনপি নেতা জমির আলী, প্রবাসী নেফুর আলীসহ ৬জনকে আসামি করে বিশ্বনাথ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন ছইল মিয়ার বড়বোন ফুলতেরা বেগম।
মামলার বাদি ফুলতেরা বেগম বলেন, আমার চাচাতোভাই প্রভাবশালী বিএনপি নেতা জমির আলী বাড়ির জায়গার বিরোধ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির রাস্তা বন্ধ করে হয়রানী করে আসছেন। বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আমার দুই ভাইর ছবি ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভূয়া নামজারী করে মিথ্যা মামলাও দিয়েছেন।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতা জমির আলীর মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।