বৃহস্পতিবার ● ৮ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » আত্রাইয়ে কোরবানির জন্য ১৭ হাজার পশু প্রস্তুত
আত্রাইয়ে কোরবানির জন্য ১৭ হাজার পশু প্রস্তুত
আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: আসন্ন পবিত্র ঈদুল আয্হা উপলক্ষে নওগাঁর আত্রাইয়ে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার ও কোন রকম ক্ষতিকর রাসায়নিক প্রক্রিয়া ছাড়াই পারিবারিক ভাবে ছোট-বড় ও মাঝারি খামারে প্রায় ১৭ হাজার পশু কোরবানি বাজারের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। আর এসব কোরবানির পশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন স্থাণীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
চলতি বছর আত্রাইয়ের খামারীরা কোরবানির পশু প্রস্তুতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছেন। এখাকার দেশী জাতের ষাঁড় অন্য এলাকার চাহিদা মেটাতে সরবরাহ করা হবে বলে খামারীরা জানিয়েছেন।
আত্রাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় পারিবারিক পর্যায় ও ছোট-বড় খামারে কোরবানির মৌসুমে পুষ্টিকর প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমে গরু মোটাতাজা করণ করা হয়। বিশেষ করে দেশী জাতের ষাঁড় গরুর প্রতি বিশেষ নজর দেয়া হয়। এছাড়াও গাভী (ফুল বকনা), বলদ, মহিষের চাহিদা মোতাবেক পালন করা হয়। একই সাথে রয়েছে পারিবারিক ও ব্যক্তি পর্যায়ে গরু, ছাগল ও ভেড়া পালন। কোন প্রকার ক্ষতিকারক রাসায়নিক প্রক্রিয়া ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমে আত্রাইয়ের প্রায় ২’ শ ৯০ জন পারিবারিক ভাবে ছোট-বড় ও মাঝারি খামারে প্রায় ১৭ হাজার পশু কোরবানি বাজারের জন্য প্রস্তুত করেছেন। তবে গ্রামীণ জনপদের বিভিন্ন বাড়িতে উপরোক্ত পশুর যে সংখ্যা তার চেয়ে আরো বেশকিছু দেশী জাতের ষাঁড় রয়েছে যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকার চাহিদাও মেটাবে।
খামার মালিকরা জানান, তাদের খামারে কোন প্রকার রাসায়নিক প্রক্রিয়া ছাড়াই প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমে কোরবানি বাজারে বিক্রিযোগ্য সকল ধরনের গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া পালনে স্থাণীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা: মো:রুবাইত রেজা বলেন, খামারিদের রাসায়নিক স্ট্রেরয়েড প্রয়োগ ব্যতীত স্বাস্থ্যসম্মত সুস্থ্য সবল গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া পালনে প্রয়োজনীয় সকল ধরণের স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া খামারিদের নিয়ে প্রতি মাসে সচেতনতা সভা করা হয় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে। আবার কোরবানির হাটে যেন অস্বাস্থ্যকর গরু বেচাকেনা না করতে পারে সেজন্য এখন থেকেই প্রতিহাট আমাদের নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। বর্তমানে কোরবানির হাট মনিটরিং এবং প্রাণি স্বাস্থ্যসেবা মনিটরিং কমিটি করা হচ্ছে। এছাড়া কৃত্তিম প্রজনন টেকনিশিয়ানসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী কোরবানির ঈদ পর্যন্ত সার্বক্ষণিক ভাবে প্রাণির স্বাস্থ্যসেবায় নিরলস ভাবে দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং এখাকার দেশী জাতের ষাঁড় অন্য এলাকার চাহিদাও মেটাবে।