শুক্রবার ● ৯ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ২০ লাখ টাকর ‘যুবরাজ’ এখন ঢাকার গাবতলীর পশুর হাটে
২০ লাখ টাকর ‘যুবরাজ’ এখন ঢাকার গাবতলীর পশুর হাটে
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: তিন দিন আগে ঝিনাইদহ থেকে গাবতলীতে আনা হয়েছে ‘যুবরাজ’কে। প্রতিদিনই দুই টন ওজনের গরুটিকে দেখতে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। এর দাম চাওয়া হচ্ছে ২০ লাখ টাকা। প্রথমবারের মতো গরু নিয়ে গাবতলী পশুর হাটে এসেছেন মো. শাহে আলম মিয়া। ঝিনাইদহের আব্দুল্লাহ অ্যাগ্রো অ্যান্ড ডেইরি ফার্ম থেকে আনা হয়েছে যুবরাজ, সাহেব, বাদশা, রবিসহ পাঁচটি গরু। ফার্মটির মালিক শাহে আলম বলেন, সাত বছর আগে গরু পালন শুরু করি। এবারই প্রথম গাবতলীর হাটে গরু নিয়ে এসেছি। গতবার গিয়েছিলাম চট্টগ্রামে। তিনি বলেন, আমার সবচেয়ে বড় গরুর নাম যুবরাজ। ঝিনাইদহ থেকে বাছুর অবস্থায় ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় তাকে কিনি। প্রায় সাড়ে তিন বছর লালনপালন করে এবার হাটে এনেছি। এটা ফ্রিজিয়ান জাতের গরু। ‘যুবরাজকে দানাদার খাবার বেশি খাওয়ানো হয়। ধান, গম, ভুট্টা, খেসারি মিশিয়ে প্রতিদিন দুই বেলা করে খাওয়ানো হয়। ১৭ কেজি সকালে ও রাতে ১০ কেজি খাবার খাওয়ানো হয় তাকে। প্রতিদিন ৪২ কেজি করে ঘাসও খায় যুবরাজ। নিয়মিত খৈল-ভুসি ছাড়াও প্রতিদিন আট-নয়শত টাকার পাকা কলা খাওয়ানো হয় তাকে। প্রতিদিন অন্তত ১৬ থেকে ১৭শত টাকা খরচ হচ্ছে যুবরাজের পেছনে।’ শাহে আলম বলেন, খামারে গরু দেখভালের জন্য আমি ছাড়া আরও আট জন আছে। হাটে গরুগুলোকে দেখভালের জন্য আছে সাত জন রাখাল। যুবরাজের জন্য খামারে সারাক্ষণ দু’টি ফ্যান চালু রাখা হতো। গত সাড়ে তিন বছরে এর পেছনে প্রায় ১৭ থেকে ১৮ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। গরুটি বিক্রি করে খুব বেশি লাভ হবে না। শুধু খামারের সুনামের জন্যই এ হাটে আনা।’
ঝিনাইদহে পশু হাটে গরু আছে ক্রেতা নেই, লোকসানের আশংকায় চাষী ও খামারীরা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাঁজা করণের কাজ শেষ হয়েছে। এখন খামারীরা বিভিন্ন বাজারে গরু বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবার গরুর খাদ্যর দাম বেশি হওয়ায় যেমন দু:শ্চিন্তায় রয়েছেন তেমনি শেষ মুহূর্তে বাজারে গরুর আমদানি বেশি হওয়ায় নির্ধারিত মুল্য না পাওয়ায় লোকসানের আশংকা করছেন খামারিরা। আর কয়েকদিন পরই কোরবানীর ঈদ, সে উপলক্ষে জেলার ছয়টি উপজেলার ২৪৭টি খামার ও গৃহস্তরা গরু মোটাতাঁজা করনের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ করেছেন। এক বছর ধরে লালন পালন করে গমের ভূষি, খৈল, খড়, কাচা ঘাস সহ অন্যান্য খাবার খাওয়ায়ে গরুকে দেশীয় পদ্ধতিতে মোটা-তাঁজা করণ করা হয়েছে বাজারে বিক্রী করার জন্য। আবার অন্যদিকে ব্যাপারিরা কমমুল্যে গরু ক্রয় করে ঢাকা, চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশি লাভের আশায় নিয়ে যাচ্ছে। জেলা প্রানী সম্পদের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে গরুর দাম না পাওয়ায় খামারিরা হতাশায় পড়েছেন। প্রতিটা বাজারে গরুর আমদানি বেশি হওয়ায় একদিকে গরুর দাম কমে যাচ্ছে। আবার কৃষক ও ক্রেতাদের হাতে টাকা না থাকায় তারা পছন্দের গরু পাচ্ছে না ক্রয় করতে। শেষ মূহূর্তে বাজারে যদি গরুর দাম বৃদ্ধি পাই তবে খামারিরা লাভের মুখ দেখতে পাবে। প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ১লাখ ২২হাজার গরু। এ দিকে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এ জেলায় ২৭টি পশুর হাটে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটা হাটে পুলিশের কন্ট্রোল রুমের পাশা-পাশি টহল দল ও জাল টাকা প্রতিরোধে সনাক্তকারী মেশিন বসানো হয়েছে। যাতে কোন প্রকার আইন-শৃঙ্খলা বিঘœ বা কেও প্রতারনার স্বীকার না হয়।