শুক্রবার ● ৯ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » পাবনা » চাটমোহরে দেশী গরুর দাহিদা বেশি
চাটমোহরে দেশী গরুর দাহিদা বেশি
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি :: পাবনার চাটমোহর উপজেলার হাটগুলোতে প্রচুর কোরবানির পশুর আমদানি হয়েছে। চাটমোহর পৌর শহরের মধ্যে নতুন বাজার নতুন হাটে অন্য পশুর চেয়ে দেশী গরুর চাহিদা বেশি। ক্রেতারা দেশি গরু কিনতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গো-খাদ্যের অগ্নিমূল্য হওয়ায় গরু পালনের সাথে জড়িত কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও খামারীরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। বন্যার প্রভাব পড়েছে কোরবানির পশুর হাটগুলোতে। চাটমোহর উপজেলার নিচু এলাকায় বন্যার পানি উঠায় গরু রাখার জায়গা নেই। কষ্টে গরু পালন করে হাটে দাম না পাওয়ায় তারা ক্ষোপ প্রকাশ করেছেন।প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, চলতি বছরে চাটমোহর উপজেলায় সাত হাজার ১২৫টি গবাদি পশু মোটাতাজা করা হয়েছে। তবে বেসরকারি ভাবে এর বেশি হবে বলে জানিয়েছেন গরুর খামারিরা। নিরাপদ ভাবে এবং বৈজ্ঞানীক উপায়ে এই পশু গুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
চাটমোহর উপজেলায় ৩টি বড় পশুর হাট রয়েছে। হাটগুলো হলো- চাটমোহর পৌরসভার নতুন বাজার হাট, অমৃতকুন্ডা (রেলবাজার) হাট, শরৎগঞ্জ হাট। স্থানীয় গৃহস্থের পাশাপাশি কোরবানির পশু ব্যবসায়ীরাও হাটে গরু ছাগল আমদানি করছে। ব্যবসায়ীরা দেশি গরুর পাশাপাশি ভারতীয় গরু আমদানি করছে। তবে এ বছর উপজেলার সব হাটগুলোতেই দেশি জাতের গরুর কদর বেশি। তাছাড়া মহিষ ও ছাগল বিক্রি হচ্ছে।
পৌরসভার নতুন বাজার হাটে আসা ক্রেতা মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, এ বছর কোরবানির পশুর বাজার নরম। গত বছর যে সকল গরু ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। একই ধরনের গরু মিলছে ৯০ থেকে এক লাখ টাকার মধ্যে।
ইজারাদাররা বলেন, জনসাধারণের চাপ বাড়তে শুরু করেছে পশুর হাটগুলোতে। প্রতিটি হাটে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম এর উপস্থিতি। তারা বলেন, অসৎ উপায়ে কোন গরু ছাগল মোটাতাজা করা হয়েছে কি না এবং গরু অসুস্থ আছে কি না, তা দেখার জন্য আমাদের আসা।
চাটমোহর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর কর্মকর্তা মোঃ মহির উদ্দিন বলেন, চলতি বছরে ৭ হাজার ১২৫টি গবাগি পশু মোটাতাজা করা হয়েছে। তবে বেসরকারি ভাবে এ সংখ্যা বেশি হবে বলে কৃষকের দাবি। নিরাপদ ভাবে এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে এই পশু গুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।