শিরোনাম:
●   রাউজানে হামলার শিকার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ●   হাটহাজারীতে অগ্নিকান্ডে দোকান ও বসতঘর পুড়ে ছাই ●   রাঙামাটিতে ৩ বছরের শিশুকে যৌন নির্যাতনের দায়ে জাগুলুক্কে চাকমাকে পুলিশে দিল গ্রামবাসি ●   হত্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে পুলিশের টাকা আদায় ●   রাঙামাটি জেলা পরিষদকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে অংশীজনদের সাথে সংলাপের প্রস্তাব ●   নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে রাবিপ্রবিতে ছাত্রদলের মানববন্ধন ●   রাঙামাটি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বৃষকেতুসহ ৭২ জনের নামে মামলা ●   ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবিতে রাঙামাটিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ ●   দেশব্যাপী ধর্ষণ ও সহিংসতার প্রতিবাদে মানববন্ধন রাঙামাটি কলেজ ছাত্রদল ●   জিয়া হায়দার বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেস্টা হলেন ●   আত্রাইয়ে আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের উদ্বোধন ●   ফিলিপাইনের রাষ্ট্রীয় খেতাবে ভূষিত অলিউর রহমান ●   ঝালকাঠি স্বর্ণ মার্কেটে বোমা বিস্ফোরন ●   কাউখালীতে জাতীয় দূর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ●   দেশব্যাপী ধর্ষণের প্রতিবাদে মিরসরাই কলেজ ছাত্রদলের মানববন্ধন ●   ঈশ্বরগঞ্জে চেয়ারম্যানসহ ৮৬ জনের গণস্বাক্ষরে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ ●   সন্ত্রাসীদের দমনে বিলাইছড়িতে সেনা অভিযান ●   বাঙ্গালহালিয়াতে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ●   ঝগড়াবিলে বনাঞ্চলে আগুন ●   রাঙামাটিতে জাতীয় ৪ রাজনৈতিক দলের ঐক্য ●   হাটহাজারীতে অগ্নিকান্ডে ৪ পরিবারের বসতঘর পুড়ে ছাই ●   আত্রাইয়ে আমীর-গালিব, সেক্রেটারী-তোজাম্মেল ●   রাউজানে কৃষিজমিতে ঘর তৈরির হিড়িক ●   রাউজানে বসতঘরে আগুন ১ শিশুর মৃত্যু ●   ফটিকছড়িতে দলিল জালিয়াতির অপরাধে প্রতারক কারাগারে ●   খাগড়াছড়িতে শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু ●   ঝালকাঠিতে ডিবির অভিযান ইয়াবাসহ আটক-১ ●   রাঙামাটি জেলা পরিষদ পূর্নগঠন কেন অবৈধ নয় হাইকোটের রুল জারী ●   কাপ্তাইয়ে নারী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ●   ফটিকছড়িতে রক্তছড়ি খাল খননের উদ্বোধন
রাঙামাটি, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
শনিবার ● ১০ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » গুনীজন » আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সম্পাদকের খোঁজ কেউ রাখেনি
প্রথম পাতা » গুনীজন » আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সম্পাদকের খোঁজ কেউ রাখেনি
শনিবার ● ১০ আগস্ট ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সম্পাদকের খোঁজ কেউ রাখেনি

--- আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক চিরনিদ্রায় টাঙ্গাইলের মাটিতে ঘুমিয়ে আছেন। দীর্ঘদিনেও আওয়ামী লীগের এই প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সম্পাদকের খোঁজ কেউ রাখেনি। বর্তমান সময়ে কোন কমিটিতে নেই আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সম্পাদকের কোনো ছেলে সন্তান এমন কি কোনো আত্মীয়স্বজন।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার টিকাটুলীর কেএম দাস লেন রোডের রোজ গার্ডেন প্যালেসে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ প্রতিষ্ঠিত হয়। যার সভাপতি ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং সাধারণ সম্পাদক হন টাঙ্গাইলের শামসুল হক। পরবর্তীকালে ১৯৫৫ সালে মওলানা ভাসানীর উদ্যোগে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগঠনটির নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ করা হয়।
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ইন্তেকাল করেন। তিনি টাঙ্গাইলের সন্তোষে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। তিনি ১৯৪৭ এ সৃষ্ট পাকিস্তান ও ১৯৭১-এ প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষের কাছে মজলুম জননেতা হিসেবে সমধিক পরিচিত ছিলেন। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে মওলানা ভাসানী ছিলেন অন্যতম। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেন। তিনি রাজনৈতিক জীবনের বেশিরভাগ সময় মাওপন্থি কমিউনিস্ট তথা বামধারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার অনুসারীদের অনেকেই এ জন্য তাকে লাল মওলানা নামেও ডাকতেন। ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দের কাগমারী সম্মেলনে তিনি পাকিস্তানকে পশ্চিমা শাসকদের ‘ওয়ালাইকুমুসসালাম’ বলে সর্বপ্রথম পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতার ঐতিহাসিক ঘণ্টা বাজিয়েছিলেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক ১৯১৮ সালে ১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। আর ১৯৬৫ সালের দিকে ইন্তেকাল করেন। তার মৃত্যুর সঠিক তারিখ জানা যায়নি। শামসুল হক একজন বাঙালি রাজনীতিবিদ যার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল বিভাগ-পূর্ব ভারতবর্ষে এবং যিনি পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের পূর্বসূরি আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। তিনি পাকিস্তানের গণপরিষদের সংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৫০ সালে বাংলা ভাষা আন্দোলনের সময় বাংলা ভাষার পক্ষে সংগ্রাম করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রথম এবং তৃতীয় মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পূর্ব পাকিস্তানের সরকারবিরোধী রাজনীতিতে তিনি ছিলেন প্রথম সারির নেতা। তার জনপ্রিয়তা ছিল উল্লেখযোগ্য। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে কারামুক্তির পর ঘরোয়া ষড়যন্ত্রের পরিণতিতে আওয়ামী লীগ তাকে বহিষ্কার করে। যার ফলশ্রুতিতে তিনি চিরকালের জন্য মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। আওয়ামী লীগ থেকে তাকে বহিষ্কার, তার মস্তিষ্ক বিকৃতি, নিখোঁজ হওয়া এবং অকাল মৃত্যুর রহস্য দীর্ঘকাল ধরে উন্মোচিত হয়নি। ১৯৬৪ সালে শামসুল হক হঠাৎ করেই নিখোঁজ হন এবং ১৯৬৫ সালে ইন্তেকাল করেন। শামসুল হক গবেষণা পরিষদ অনেক খুঁজে মৃত্যুর ৪২ বছর পর ২০০৭ সালে কালিহাতি উপজেলার কদিম হামজানিতে মরহুমের কবর আবিষ্কার করেন।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)