মঙ্গলবার ● ২০ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » ‘পরীক্ষা চলাকালে বিদ্যালয় ছেড়ে আড্ডা দিয়ে বেড়াচ্ছেন শিক্ষক জয়নব আরা’ সংবাদের প্রতিবাদ
‘পরীক্ষা চলাকালে বিদ্যালয় ছেড়ে আড্ডা দিয়ে বেড়াচ্ছেন শিক্ষক জয়নব আরা’ সংবাদের প্রতিবাদ
বার্তা বিভাগ :: গত ১৮ আগষ্ট-২০১৯ সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম এ প্রকাশিত ‘পরীক্ষা চলাকালে বিদ্যালয় ছেড়ে আড্ডা দিয়ে বেড়াচ্ছেন শিক্ষক জয়নব আরা’ শিরোনামের সংবাদটির প্রতিবাদ জানিয়েছেন আলীকদমের অসতি ত্রিপুরা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নব আরা বেগম ও আলিকদম প্রেস ক্লাবের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমদ।
প্রধান শিক্ষক জয়নব আরা বেগম এর বক্তব্য :
গত ১৮ আগষ্ট-২০১৯ ইং থেকে অন্যান্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো অত্র বিদ্যালয়েও সকাল ১০ টা থেকে ১ম ও ২য় শ্রেণীর পরীক্ষা শুরু হয়। বিকাল বেলায় অনুষ্ঠেয় ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কম থাকায় তা ফটোকপি করার জন্য সকাল আনুমানিক ১০ টার সময় আমি উপজেলা সদরের তুষ্টি কম্পিউটারে যাই। সেখান থেকে আমি বেলা এগারোটার দিকে বিদ্যালয়ে ফিরে আসি। উল্লেখ্য যে, অত্র বিদ্যালয়ে কোন দপ্তরী নেই। তাই সকল ধরণের অফিসিয়াল কাজ বিদ্যালয়ে এবং বাহিরে প্রধান শিক্ষক হিসেবে আমাকেই করতে হয়।
হাসান মাহমুদ ও দিপু তঞ্চঙ্গ্যা নামে দু’ ব্যক্তি আমি এবং অন্য সহকারি শিক্ষকরা অফিসকক্ষে না থাকাবস্থায় বিনাঅনুমতিতে অফিসকক্ষে ঢুকে অফিসের অন্যান্য কাগজপত্র তল্লাশী, ফাইলপত্র তছনছ করে আলমিরা থেকে হাজিরা খাতা বের করে ছবি তুলে নিয়ে যায়।
প্রকাশিত সংবাদে আত্মপক্ষ সমর্থনে প্রতিবেদক আমার কিংবা প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নেননি। সংবাদটি পরিকল্পিতভাবে আমার মানহানি ও সুনাম ক্ষুণ্ণ করার জন্য করা হয়েছে। আমি উপরোক্ত শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রতিবেদকের বক্তব্য :
বর্ণিত শিক্ষকের দেওয়া প্রতিবাদ সম্পুর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রতিবাদ লীপিতে উক্ত শিক্ষক উল্লেখ করেন যে, বর্ণিত তারিখে সকাল ১১ ঘটিকায় তিনি স্কুলে ফেরত আসেন। কিন্তু আমি এবং আমার সংঙ্গীয় সংবাদ কর্মী দীপু তঞ্চঙ্গ্যা সকাল ১১.৩০ মিনিটে উক্ত বিদ্যালয়ে যাই এবং অফিস কক্ষে বসে শিক্ষকদের সাথে আলাপ করি। এসময় বর্ণিত শিক্ষক বাদে চারজন সহকারী শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। আমি শিক্ষকদের কাছ থেকে হাজিরা খাতা চাইলে শিক্ষকরা টেবিলের উপর রক্ষিত হাজিরা খাতা দেখিয়ে দেন। আমি হাজিরা খাতা খুলে দুটি ছবি তুলি এবং ১১:৫৩ মিনিটে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও ১১:৫৪ মিনিটে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বর্ণিত শিক্ষকের অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে জানাই। সুতরাং এই বক্তব্য থেকে প্রমানিত হয় যে, বর্ণিত প্রতিবাদলীপিতে উল্লেখিত সময় ও বিনাঅনুমতিতে অফিসকক্ষে ঢুকে অফিসের অন্যান্য কাগজপত্র তল্লাশী, ফাইলপত্র তছনছ করে আলমিরা থেকে হাজিরা খাতা বের করার কথা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
অপরদিকে একই সময়ে বর্ণিত শিক্ষকেক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক আলীকদম প্রেসক্লাবে দেখতে পায় এবং প্রেসক্লাব থেকে তার বের হয়ে যাওয়ার দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে। যার ভিডিও ডিটেইল্স সহ সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম নিউজ পোর্টালের কার্যালয়ে প্রেরণ করা হল।
এছাড়াও উল্লেখিত তারিখে সংবাদ লিখার সময় বর্ণিত শিক্ষকের বক্তব্য নেওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে বারংবার ফোন দিয়েও তার সংযোগ পাওয়া যায় নাই বিধায় তার বক্তব্য ছাপা হয় নাই।
সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমদ এর বক্তব্য :
বান্দরবান পার্বত্য জেলায় র্দীঘ ২১ বছর পূর্বে ‘আলীকদম প্রেসক্লাব’ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বাংলাদেশে উপজেলা পর্যায়ে নিজস্ব জমি নিয়ে পাকা ভবন ও চত্ত্বর সম্বলিত যে ক’টি প্রেসক্লাব আছে তারমধ্যে আলীকদম প্রেসক্লাব অন্যতম। মূলত: প্রেসক্লাবের নিজস্ব জমি, অবকাঠামো ও ঐতিহ্যের প্রতি লোভের বশবর্তী হয়ে হাসান মাহমুদ গং প্রেসক্লাবের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে এর প্রতিষ্ঠাদের বিরুদ্ধে লাগামহীন মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। অচিরেই প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ এ প্রোপাগান্ডর বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিবেন।
১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে পেশাদার কয়েকজন সংবাদকর্মীর নিরলস প্রচেষ্টায় ‘আলীকদম প্রেসক্লাব’ প্রতিষ্ঠার ২০০০ সালে নিজস্ব জমিতে সর্বপ্রথম আলীকদম প্রেসক্লাবের টিনসেট ঘর নির্মিত হয়। ২০০৫, ২০০৭ এবং ২০১৬ সালে পর্যায়ক্রমে ত্রিতল ফাউন্ডেশনে চারকক্ষবিশিষ্ট আলীকদম প্রেসক্লাবের ভবন নির্মাণ হয়। ১৯৯৯ সালে আলীকদম প্রেসক্লাব এর অনুমোদিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ৩ বছর পর পর কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়। কিন্তু হাসান মাহমুদ গং সম্প্রতি সে নিজেকে প্রেসক্লাবের সভাপতি ঘোষণা করে একটি তথাকথিত কমিটি ঘোষণা করেছেন।
প্রকাশিত সংবাদে আত্মপক্ষ সমর্থনে প্রতিবেদক সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকের কিংবা প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নেননি। আমি উপরোক্ত শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রতিবেদকের বক্তব্য :
‘পরীক্ষা চলাকালে বিদ্যালয় ছেড়ে আড্ডা দিয়ে বেড়াচ্ছেন শিক্ষক জয়নব আরা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের স্বপক্ষে আমার কাছে যথেষ্ঠ প্রমানাদি রয়েছে। উক্ত শিরোনামের সংবাদে যেহেতু মমতাজ উদ্দিন আহামদ এর নাম কোন স্থানে উল্লেখ করা হয়নি। সেহেতু উক্ত প্রতিবাদলিপিটি সম্পুর্ণ অমুলক ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। মূলতঃ বর্ণিত ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে আলীকদম প্রেসক্লবকে কুক্ষিগত করে রাখার কারণে ঠিক যখনই আলীকদম উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা একিভুত হয়ে আলীকদম প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন করে এবং আমাকে উক্ত কমিটির সভাপতি করে। ঠিক তখনই বর্ণিত ব্যক্তি বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে হুমকি প্রদর্শন করতে থাকে। এক পর্যায়ে কমিটি গঠনের ঠিক পরদিনই তার আপন বড় ভাই ফরিদুল ইসলামের দ্বারা আমাকে হত্যার হুমকি প্রদর্শন করে। উক্ত বিষয়ে আলীকদম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। যার নম্বর- ৪০২। এমনকি আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার বলে গালাগাল করে। নিউজে উল্লেখিত জয়নব আরা বেগম এর সাথে বর্ণিত ব্যক্তির সম্পর্কের কারণে উক্ত ব্যক্তি উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে উক্ত প্রতিবাদ প্রেরণ করেছে।