বুধবার ● ২১ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » হিজড়া সম্প্রদায়ের মানববন্ধন
হিজড়া সম্প্রদায়ের মানববন্ধন
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহে হিজড়া সম্প্রদায়ের মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১১টায় ঝিনাইদহ জেলা হিজড়া সম্প্রদায়ের উদ্দ্যেগে শহরের পায়রা চত্ত্বরে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। লিঙ্গ কর্তনকারী মনোয়ারা, আকাশী, আনোয়ারা ও কারিশমা হিজড়াদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, বিভিন্ন অপকর্ম, মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ও তাদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা আছে সেসব মামলায় জামিন বাতিল করে গ্রেফতারের দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারক লিপি প্রদান করে হিজড়া নেতৃবৃন্দ। এসময় বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ জেলা হিজড়া সম্প্রদায়ের সভাপতি বর্ষা মীর ও ঝিনাইদহ জেলা হিজড়া কল্যান ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাদিয়া আক্তার রত্না। তাছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ জেলা হিজড়া সম্প্রদায়ের স্বপ্না, শিউলি, শুকলা, রুপসী, বৃষ্টি, মালা, শাকিলা, সুজন, খালেদা, আসমা ও গোপালপুর কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ফারিয়া সুলতানাসহ জেলা নেতৃবৃন্দ।
স্কুলছাত্রী গণধর্ষন মামলার আসামী গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে ৭ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী বাদশা হোসেন (৩১)কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে সদর উপজেলার খাজুরা জোয়ার্দ্দার পাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার কৃত বাদশা খাজুরা এলাকার মৃত মন্তেজ হোসেনের ছেলে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খান জানান, গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী বাদশা খাজুরা এলাকায় অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাদশা ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুলিশকে আঘাত করার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে। এতে বাদশা পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ঈদের দিন সন্ধ্যায় শহরের মুক্তিযোদ্ধা মসিউর রহমান বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী পাশের বাড়িতে তার মাকে খুজতে বের হয়। এসময় বাদশা, একই এলাকার মন্টু মন্ডলের ছেলে রুহুল আমীন ও জাফরের ছেলে মুন্নু তাকে মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে গনধর্ষন করে। ধর্ষনের পর ক্যাডেট কলেজের সামনের একটি আবাসন এলাকায় ফেলে যায়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় নির্যাততার পালিত পিতা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
ঝিনাইদহে সাপের কামড়ে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে সাপের কামড়ে সাকিব হোসেন (১৪) নামের এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়র তার মৃত্যু হয়। সাকিব হোসেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পৈলানপুর গ্রামের মুকুল মন্ডলের ছেলে। সে হাটগোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। হরিশংকরপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবু সালেক জানান, গরমের কারণে সাকিব প্রতিদিন ঘরের মেঝেতে ঘুমাতো। প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার রাতেও ঘরের মেঝেতে ঘুমাচ্ছিল। মধ্যরাতে সাপ তাকে দংশন করে। রাতে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়ার পর বুধবার সকালে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সাকিবের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্বরণে দোয়া মাহফিল
ঝিনাইদহ :: ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদৎ বার্ষিকী ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্বরণে ঝিনাইদহে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে শহরের জোহান ড্রীম ভ্যালি পার্ক মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হরিণাকুন্ডু ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও সিও সংস্থা। হরিণাকুন্ডু ইসলামিক ফাউন্ডেশন শিক্ষক সমিতির সভাপতি চন্দন মুর্শেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হরিণাকুন্ডু উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হুসাইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ শেখ, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আজিজুল হক, সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খান, সিও সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সামসুল আলম, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এ্যাড খোদা বকস। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাংবাদিক মাহবুব মোর্শেদ শাহীন। এসময় বক্তারা, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার দাবী করেন। আলোচনা সভা শেষে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পরে হামদ, নাত, কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
কালিচরনপুর ইউনিয়নে ডেঙ্গু প্রতিরোধে র্যালী ও লিফলেট বিতরণ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ কালিচরনপুর ইউনিয়নে ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশাল র্যালী ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ আব্দুর রশীদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মী ইসলামের নির্দেশে ইউনিয়নে-ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশাল র্যালী ও বিভিন্ন বাজারে বাসাবাড়িতে লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।এরই অংশ হিসেবে আজ বুধবার সকালে কালিচরনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষন পদ দত্ত ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশাল র্যালী ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। কালিচরনপুর প্রতিবন্ধি স্কুলে,কালিচরনপুর প্রাইমারী ও বালিকা বিদ্যালয়ে ও মধুপুর চৌরাস্থার মাদ্রাসায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।এতে অংশ গ্রহন করেন বে-সরকারী সেচ্ছাসেবী মানব কল্যাণ-সিও এনজিও, দেশ চেতনা, এলাকার মেম্বর ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-শিক্ষকগন। আলোচনা রাখেন সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার, সদর উপজেলার মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আমান উল্লাহ, দেশ চেতনার নির্বাহী পরিচালক রাশেদুল হক,বে-সরকারী সেচ্ছাসেবী মানব কল্যাণ-“সিও এনজিও”র সহকারী নির্বাহী পরিচালক তোফাজ্জেল হোসেন, সিও সংস্থার অর্থ ও প্রশাসন বিভাগের পরিচালক মাফিদুন্নেছা শিলা , সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ফারুক মহলদার,নাসির উদ্দীন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ হোসেন সাহা, শহিদুল ইসলাম, ইউ.পি সচিব আমিনুর রহমান, রহিমা খাতুন শেফালী খাতুন, মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, ইকবাল হোসেন, উজ্জল মিয়া, আঃ বারী বিশ্বাস, মতিউর রহমান, রেজাউল জোয়ারদার, জাহিদুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম। আলোচনা শেষে বিভিন্ন স্কুল, বয়ড়াতলা বাজার সহ বাজার, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্কুল, বাজার, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থান মসজিদ, বাসাবাড়ি, সরকারী ও বেসরকারী অফিস প্রাঙ্গনে ঝোপ-ঝাড় পরিস্কার করা হয় ও ¯েপ্র করে মশা নিধন করা হয়।
শৈলকুপায় পর্নগ্রাফি আইনে মামলা করে বিপাকে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার
ঝিনাইদহ :: নিজের সম্ভ্রম ও জীবন বাঁচাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানায় পর্নগ্রাফি আইনে মামলা করে বিপাকে পড়েছেন মুক্তিযোদ্ধার পড়িবার। মামলার প্রায় তিন মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। লোক দেখানোর জন্য পুলিশ গ্রামে গেলেও আসামীকে গ্রেফতার করছে না বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন ধলরাহচন্দ্র গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা ইজাহার আলী মন্ডলের নাতনি রাবেয়া আক্তার। বুধবার সকালে শৈলকুপা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে রাবেয়া আক্তার লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে আরো বলেন, অতিকষ্টে একই গ্রামের ইয়াকুব মন্ডলের ছেলে ইনছান কবিরের সাথে তার বাবা বিয়ে দিয়েছিলেন। তার স্বামী ইনছান কবির গত দেড় বছর আগে বিদেশে পাড়ি দেয়। ইনছান কবির বিদেশে পাড়ি দেওয়ার পর থেকে রাবেয়ার বাবার অস্বচ্ছল পরিবারের সাথে সম্পর্ক না রাখার জন্য তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন চাঁপ দিতে থাকে। একপর্যায়ে ইনছান কবির ও তার পরিবারের লোকজন রাবেয়াকে বাবার বাড়িতে চলে যেতে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এই সুযোগে রাবেয়ার ভাশুর আব্দুর রশিদের ছেলে ইউনুস তাকে মারধর করে। ইনছান কবির পরিবারের পক্ষ নিলে গত, ২২ মার্চ তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। নিরুপায় হয়ে দরিদ্র বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেই রাবেয়া। শ্বশুর বাড়ী থেকে চিরতরে বিতাড়িত করতে তার স্বামীর যোগসাজসে রাবেয়ার ভাসুরের ছেলে ইউনুস আলী ২৪ এপ্রিল কোন এক মহিলার নগ্নবক্ষের ছবি রাবেয়ার মুখের সাথে কম্পিউটারাইজড করে এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিলি করে ও পোস্টারিং করে। বিষয়টি তার পরিবার ইউনুস আলীর অবিভাবকদের জানিয়ে কোন প্রতিকার পায়নি, বরং তাকে আরও অসম্মানিত করে গ্রাম ছাড়া করার হুমকি দেয়। অসহায় পরিবারের পক্ষ থেকে রাবেয়া নিজেই বাদি হয়ে গত ৯ মে শৈলকুপা থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। মামলা নং- ১১/১৭০, তাং ০৯-০৫-২০১৯ইং। মামলায় তার ভাসুরের ছেলে ইউনুস আলীকে প্রধান আসামী করা হয়। এরই জের ধরে রাবেয়াকে ও তার পরিবারকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ধরণের হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ও জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। শুধু তাই নই, আসামীর পরিবারের হুমকিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ভ্যানচালক রবিউল ইসলামও বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ইউনুস আলীর বাবা প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ও স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য হওয়ায় অর্থ ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে তাদের বাড়িঘর ছাড়া করতে মরিয়া হয়ে উঠে পড়ে লেগেছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন। এমনকি আসামীকে আড়াল করতে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও গুটিকয়েক দালালচক্র নানাবিধ পায়তাড়া চালাচ্ছে। ন্যায় বিচারের স্বার্থে মামলা করলেও অজ্ঞাত কারনে পুলিশি জোর তৎপরতা নেই। আসামী বেপরোয়া প্রকৃতির বখাটে ও লম্পট সে এর আগে অত্র এলাকায় আরো ৩টি মেয়েকে উত্যক্ত করতো। তাদেরও অশালীন ছবি বানিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট করেছিল। যা নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক করে মোটা অংকের টাকা দিয়ে রফাদফা করেছে বলে এলাকাবাসী জানেন। ন্যায় বিচারের আশায় অসহায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।