বুধবার ● ২১ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » কৃষি » রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে ধানের চারা রোপনে বাড়ছে কৃষকদের আগ্রহ
রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে ধানের চারা রোপনে বাড়ছে কৃষকদের আগ্রহ
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় পাল্টে যাচ্ছে কৃষির চিত্র। কৃষিতে যন্ত্রপাতি ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা। এতে যেমন সুফল পাওয়া যাচ্ছে, তেমনি চাষাবাদে কমেছে ব্যয়। বিশেষ করে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিন দিয়ে ধানের চারা রোপনে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় রয়েছে ৮টি রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিন। কৃষিতে যন্ত্রপাতি ব্যবহার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরকারি ৭০% ভূর্তকি দিয়ে এই কৃষিযন্ত্র’র সুবিধা ভোগ করছেন কৃষকরা। শুধু তাই নয় অল্প খরচে, স্বল্প সময়ে ও জনবলে চাহিদা মতো জমি চাষ করতে পারায় বীজতলা তৈরী, চারা উৎপাদন, রোপন, ধান কাটা, মাড়াই ও খড় সংগ্রহ’সহ কৃষি কাজের সর্ব ক্ষেত্রেই এখন ব্যবহার করা হচ্ছে প্রযুক্তি।
উপজেলার আলাপুর গ্রামের কৃষক জাবের হোসেন জানান- খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় কৃষি যন্ত্রপাতি টেস্টিং ও ট্রেনিং সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিন দিয়ে গত বোরো মৌসুমে প্রায় ১৫ একর জমিতে ধানের চারা রোপন করি এবং কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটি। এতে অল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে আমি ভাল সুফল পেয়েছি। কৃষকরা প্রশিক্ষণ ও যন্ত্রপাতি পেলে যেমন অনাবাদি জমি হ্রাস পাবে তেমনি কৃষিতে যন্ত্রপাতি ব্যবহারে ব্যাপক চাহিদা বাড়বে।
বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ও রজকপুর গ্রামের চাষী মনোহর হোসেন মুন্না জানান, আমি এই প্রথম বারের মতো রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে ধানের চারা রোপন করছি। গতকাল মঙ্গলবার দেড় একর জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে আমন ধনের চারা রোপন করেছি। এবছর প্রায় ৫ একর জমিতে এই মেশিনের মাধ্যমে আমন ধানের চারা রোপন করবো। আমি আশাবাদি পূর্বের তুলনায় এবার ভালো ফলন হবে।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী জানান, সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২০৩০ সালে খাদ্য উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ করতে হবে। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে কৃষিকে যান্ত্রিকিকরণের বিকল্প নেই। এরই ধারাবাহিকতায় যন্ত্রপাতিতে ভূর্তকি’র মাধ্যমে কৃষকদের সহায়তা দেয়া হচ্ছে।