শুক্রবার ● ২৩ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » ভাঙ্গা রাস্তা নিয়ে রাউজান পৌরবাসীর দুর্ভোগ
ভাঙ্গা রাস্তা নিয়ে রাউজান পৌরবাসীর দুর্ভোগ
রাউজান (উত্তর) প্রতিনিধি :: চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার জানালি হাট এবং দায়েরে ঘাঁটা থেকে তিনতুলা বটতল দুই কিলোমিটারে মতো ভাঙ্গা সড়ক রাউজান পৌরবাসীর সহ এই পথ দিয়ে চলাচলকারীদের জন্য দুঃখের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তাটি পড়ে আছে ভাঙ্গা-চুরা অবস্থায় বর্তমানে সড়কের এ অংশটুকু মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ন হয়ে উঠেছে। আর ঝুঁকি নিয়েই এ সড়ক দিয়ে চলছে ছোট-বড় যানবাহন। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারহীন অবস্থায় পড়ে আছে এই রাস্তাটি । বর্তমানে সড়কের এ অংশটুকুতে সৃষ্টি হয়েছে বড়-বড় গর্ত। বর্ষার সময়ে সড়কের এসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে। দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ন এ সড়ক মেরামত করার কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছেনা। এ সড়কটি রাউজান পৌরসভার অভ্যন্তরে হলেও পৌরসভা বা সড়ক ও জনপথ বিভাগের কেউ সড়কটি সংস্কারে উদ্যোগি হচ্ছে না।
প্রতিদিন দায়েরা ঘাঁটা এবং জানালি হাট হয়ে সুলতানপুরের উপর দিয়ে বিনাজুরী ইউনিয়ন সহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ এ সড়ক দিয়েই যাতায়াত করে থাকেন। অন্যতায় কাগতিয়া হাট বা নোয়াপাড়া কেউ যেতে চাইলে আরো পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে রাউজান সদরের উপর দিয়ে চলাচল করতে হয়, যা অনেক কষ্টসাধ্য এবং সময়ের ব্যাপার। যার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও সময় বাঁচানোর জন্য সাধারণ মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হয় । চট্টগ্রাম শহর থেকে আসলে জানালি হাট বা দায়েরা ঘাঁটা এই দুই স্টেশনে নেমে এক কিলোমিটারের মতো রাস্তা আলাদা ভাবে আসার পর একত্রে মিলিত হয়ে তিনতুলা বটটল হয়ে কাগতিয়া হাট বা নোয়াপাড়া যাওয়া যায়।
এসব এলাকার সাধারণ মানুষ ছাড়া ও সুলতান পুর উচ্চ বিদ্যালয়, সুলতানপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাজিনা চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় সহ রাউজান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই সড়কটি । এই সড়কের গর্তের গভীরতা এমন হয়েছে, একটু বৃষ্টি হলে রাস্তার উপর গর্ত গুলো ছোট-খাটো পুকুরে রুপ নেয়, যার জন্য প্রতিদিন ঘটছে দূর্ঘটনা। নিচু হওয়ার কারনে সামান্য বন্যা হলে সুলতান পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জামাল উদ্দিন বলেন,বাড়ি ঘাঁটা থেকে দাশপাড়া পর্যন্ত দু’তিনশ ফুটের মতো রাস্তা কোমর সমান পরিমান পানি হয়ে যায়, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এই এলাকার মানুষ। সড়কের এ অংশটুকু দীর্ঘদিন ধরে অবহেলা ও সংস্কারহীন অবস্থায় পড়ে থাকায় এই এলাকার মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভও বিরাজ করছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে দুর্ভোগের কারন হয়ে দাঁড়ায় এ সড়কটি। যাতায়াতের সময় শিক্ষার্থীদের পোষাক-পরিচ্ছদ কাদা ও জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে প্রায়ই নষ্ট হয়ে যেতে দেখা গেছে। এতে করে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে শিক্ষার্থীদের অনেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না গিয়ে ফিরতে হচ্ছে বাসায়। বর্তমানে মারাত্মক ঝুকিপূর্ন হয়ে উঠেছে এই সড়কটি।