শুক্রবার ● ২৩ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ চিনিকলের আখ : লোকসানের আশংকা
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ চিনিকলের আখ : লোকসানের আশংকা
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: গাইবান্ধা জেলার একমাত্র কৃষিভিত্তিক ভারিশিল্প কারখানা মহিমাগঞ্জের রংপুর চিনিকল এবারের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে। শেষ সময়ের বন্যায় উঠতি আখের ব্যপক ক্ষতির আশংকা দেখা দিয়েছে। চিনিকলের আখ ক্ষেত বেশ কিছুদিন পানির নিচে তলিয়ে থাকায় আগামি মাড়াই মৌসুমে কাঙ্খিত আখ না পাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এরফলে চিনিকলটি নতুন করে লোকসানের মুখে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও এলাকার আখচাষীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি আখ উৎপাদন মৌসুমে রংপুর চিনিকলের নিজস্ব বাণিজ্যিক খামার ও আটটি সাবজোনে পাঁচ হাজার পাঁচশ’ ২১ একর জমিতে আখ রোপণ করা হয়। এরমধ্যে সাহেবগঞ্জ বাণিজ্যিক খামারে ৯২০ একর, মিলস গেট-এ সাবজোনে ১০৩৯ একর, বি-সাবজোনে ৪৮৪ দশমিক ৪৪ ্একর, মোকামতল্া সাবজোনে ১১৪ একর, গোবিন্দগঞ্জ সাবজোনে ৪৭৬ একর, সাহেবগঞ্জ সাবজোনে ৭১৪ দশমিক ২৬ একর, পলাশবাড়ি সাবজোনে ২০৩ একর, পীরগঞ্জ সাবজোনে ৯২৬ একর ও নলডাঙ্গা সাবজোনে ৬৪৪ একর জমিতে আখ রোপণ ও পরিচর্যা করে তা প্রায় পরিপক্ক হওয়ার উপযুক্ত হয়ে এসেছিল। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আখ ক্ষেতগুলো থেকে আশাতীত ফসল উৎপাদনের আশা করা হচ্ছিলো। এরই মধ্যে গত মাসের ১৫ তারিখ থেকে বন্যার পানি বাড়ায় মিলস গেট এ ও বি, সাহেবগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ ও নলডাঙ্গা সাবজোনের ৫৯১ দশমিক ১৪ একর জমির আখ সম্পুর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তিন হাজার সাতশ’ ৯২ একর জমির আখ। আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষেতগুলো থেকে কাংক্ষিত ফলনের চেয়ে শতকরা ১৫ থেকে ২০ ভাগ ফলন হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এরফলে আগামি ২০১৯-২০ আখ মাড়াই মৌসুমে আখ সংগ্রহের কাংক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা ৭২ হাজার মেট্রিক টন পূরণ করাও সম্ভব হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। এতে নতুন করে বড় লোকসানের মুখোমুখি হতে হবে চিনিকলটিকে।
রংপুর চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) রেজাউল করিম জানান, প্রকতি সৃষ্ট এ বছরের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হলেও আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আখচাষীরা ইচ্ছে করলে প্রয়োজনীয় পরিচর্যার মাধ্যমে অনেকটাই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেন আখ চাষের ক্ষেত্রে। তবে বন্যার পানি নেমে গেলে মাজরা পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা আছে। এ সময় দ্রুত পোকা দমন ও প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করলে অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্থ জমি থেকে পূর্ণাঙ্গ ফলন পাওয়া সম্ভব।
মা না হয়েও মাতৃত্বকালীন ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে মা না হয়েও মাতৃত্বকালীন ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য মোছা. হানিফা বেগমের (৩৩) বিরুদ্ধে। মোছা. হানিফা বেগম উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও কাঞ্চিবাড়ি গ্রামের পশু চিকিৎসক ছামিউল ইসলামের স্ত্রী। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোছা. হানিফা বেগম আসল তথ্য গোঁপন করে মাতৃত্বকালীন সুবিধাভোগীর তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করান। তার ভাতার ক্রমিক নং ১২ এবং হিসাব নং ১০৮৩৪৩২০২৩৬৮২।
হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, ‘তালিকা তৈরির সময় তার গর্ভে সন্তান ছিলো। কোন কারণে এখন নাও থাকতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (ভারঃ) শাহনাজ আক্তার অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন
গাইবান্ধা :: নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে শহরের আসাদুজ্জামান মার্কেটের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে এক র্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন জেলা বাসদ সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী, মহিলা ফোরাম গাইবান্ধা জেলার আহবায়ক ইসরাত জাহান, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখা সাধারণ সম্পাদক রিক্তু প্রসাদ, বাসদ জেলা ফোরাম সদস্য এ্যাড. আব্দুস সালাম, দৈনিক সমকালের জেলা প্রতিনিধি উজ্জল চক্রবর্তী, মহিলা ফোরামের আফরোজা আক্তার, প্রতীমা রানী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সারা দেশে বর্তমানে নারী ও শিশু নির্যাতন ভয়াবহ মাত্রায় বেড়ে গেছে। প্রতিমাসে দেশে ৩৪জন শিশু খুন হয়। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, আমরা নিজেদের আর সভ্য সমাজের বাসিন্দা দাবি করতে পারিনা। নারী ও শিশুরা আজ কোথাও নিরাপদ নয়। প্রচলিত ভোগবাদি সমাজ নারীকে পণ্য বানিয়েছে। অন্যদিকে দেশে বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি চালু থাকার ফলে নারী-শিশু নির্যাতন অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। তারা বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে অবশ্যই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অপরাধীদের শাস্তি দিতে হবে দৃষ্টান্তমূলক। পাশাপাশি ঘরে-বাইরে নারী নির্যাতন বন্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।