শনিবার ● ২৪ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রাউজানে মাদক সহজলভ্য হওয়ায় বাড়ছে মাদকসেবীর সংখ্যা
রাউজানে মাদক সহজলভ্য হওয়ায় বাড়ছে মাদকসেবীর সংখ্যা
রাউজান (উত্তর) প্রতিনিধি :: রাউজান উপজেলার বিনাজুরী ইউনিয়নের ইদিলপুর গ্রামে মাদক সহজলভ্য হওয়ায় সময়ের সাথে সাথে বাড়ছে মাদকসেবীর সংখ্যা।
রাউজান উপজেলার বিনাজুরী ইউনিয়নের ইদিলপুর গ্রাম যা অন্য গ্রাম থেকে পুরোপুরি ব্যতিক্রম। এখানে মাদক সহজলভ্য হওয়ায় সময়ের সাথে সাথে বাড়ছে মাদকসেবীর সংখ্যা। এর প্রধান কারণ সামাজিক অবক্ষয়। এখানে সন্ধ্যা হলে মাদকের বেচা-কেনার হাট বসে। সন্ধ্যা হলে যেখানে অন্য গ্রামের ছেলেরা পড়তে বসে, ব্যতিক্রম ইদিলপুরের কিছু যুবক বসে মাদক সেবন করতে। বাংলা মদ থেকে শুরু করে গাজা ইয়াবা সব কিছু এখানে সহজলভ্য। এখানে ইদিলপুরকে ভাগ করলে - পূর্ব ইদিলপুর, মধ্যম ইদিলপুর ও পশ্চিম ইদিলপুর। শুধুমাত্র পূর্ব ইদিলপুরে বসে যেভাবে বাঁধাহীন ভাবে মাদক সেবন করতে পারে তা অন্য কোথাও পারে না। যার জন্য বিনাজুরী ইউনিয়নের অন্য গ্রাম থেকেও মাদকসেবিরা পূর্ব ইদিলপুর গ্রামকেই বেঁচে নেয় মাদক সেবন করার জন্য। কারণ এই গ্রামে কেউ বাঁধা দেয় না নিজেদের বিপদের আশংকা করে। দু’একজন বাঁধা দিতে চাইলেও মাদক বিক্রেতা এবং মাদকাসক্তদের বাহুবলের কাছে ওরা অসহায়।
রাউজানের স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা এবং রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কেপায়েত উল্লাহ ও রাউজানের দায়িত্বশীল সবাই এই মাদকের বিরুদ্ধে এক প্রকার যুদ্ধ ঘোষণা করলেও সেই যুদ্ধের আঘাত পূর্ব ইদিলপুর মাদকের আস্তানায় এখনো হানা দিতে পারেনি। যার জন্য সারা রাউজানের অবস্থা একরকম হলেও ইদিলপুরের অবস্থা ভিন্ন। একটা সময় রাউজানের সদরে ও জলিলনগরসহ বেশ কিছু এলাকায় মাদকের রমরমা ব্যবসা ছিল। সেইসব এখন অতীত। এর মূল কারন স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী থেকে মাদকসেবি সবাই একপ্রকার কোনাঠেসা হয়ে পড়লেও বিনাজুরী ইউনিয়নের ইদিলপুর গ্রামটি ব্যতিক্রম। কিছুদিন আগে ইদিলপুর গ্রামে কাগতিয়া পুলিশ ফাঁড়ি থেকে টহল জোরদার করলে গ্রেপ্তারের ফলাফল শূন্য হলেও সাময়িক ভাবে পরিস্থিতি কিছুটা পাল্টায়। মাদক ব্যবসায়ী থেকে মাদকসেবি অনেকে ভয়ে আত্মগোপন করে। পুলিশের টহল বন্ধ হলে সেই আগের অবস্থায় ফিরে আসে। অথচ চিহ্নিত চার’ পাঁচজন মাদক ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় আনা গেলে ইদিলপুর বিনাজুরীর ইউনিয়নের মাদক সাম্রাজ্য অনেকটা পতন হতো। মাদকের বিরুদ্ধে ৬নং বিনাজুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুকুমার বড়ুয়াও সোচ্চার হলেও এদেরকে কোনভাবেই নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছে না এর মূল কারন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদেরকে আইনের আওতায় আনার ব্যর্থতার জন্য। চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদেরকে গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা জন্য পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারির অভাবকে দায়ী করেছেন সচেতন মহল । পুলিশের নজরদারির চেয়ে মাদক বিক্রেতাদের নজরদারি পুলিশের উপর অনেক শক্তিশালী। পুলিশ যখনি এলাকায় প্রবেশ করে মাদক ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে মাদকসেবি সবার কাছে সঙ্গে সঙ্গে সংবাদটি পৌঁছে যায়, যার জন্য পুুলিশকে ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হয়।
এই ব্যপারে উপজেলার কাগতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বললে, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে স্থানীয়দের অসহযোগিতাকে দায়ী করেছেন।