মঙ্গলবার ● ২৭ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » সিলেটে অমরত্ন বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট শীর্ষক সভা অনুষ্টিত
সিলেটে অমরত্ন বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট শীর্ষক সভা অনুষ্টিত
হাফিজুল ইসলাম লস্কর, সিলেট প্রতিনিধি :: বঙ্গবন্ধু লেখক সাংবাদিক ফোরাম সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে “অমরত্ন বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট” শীর্ষক আলোচনা সভা গত ২৪ আগষ্ট শনিবার সন্ধ্যা ৭ টায় সিলেট নগরীর পুরান লেনের ৫৩ নং সমবায় ভবনে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।বঙ্গবন্ধু লেখক সাংবাদিক ফোরাম সিলেট জেলা শাখার সভাপতি রুহুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে ও ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আক্তার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্টিতব্য সেমিনারের শুরুতে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ তেলাওয়াত করেন ফোরামের প্রচার সম্পাদক রেজওয়ান আহমদ। আলোচনা সভায় প্রধান উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদ উদ্দিন আহমদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জনক, স্থপতি ও প্রতিষ্টাতা রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নির্যাতিত, নীপিড়িত ও বঞ্চিত বাঙ্গালী জাতির দুঃখ-দুর্দশায় জাতির ক্রান্তি লগ্নে বঙ্গবন্ধু জাতীর দায়িত্ব নেন। ১৯৬৬ সালের ৬ দফার ঐতিহাসিক মুক্তি সনদের ভিত্তিতে তার ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙ্গালী জাতি রাজপথে নামে। ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান এবং ৭০’র নির্বাচন প্রমাণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হিমালয়সম জনপ্রিয় ছিলেন। ৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জাতি ঝাপিয়ে পড়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে। ৯ মাসে রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয় পূর্ব বাংলা নামক এই বাংলাদেশ। তিনি দ্বার্থ্যহীন ভাবে উচ্চারন করেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা এই স্বাধীন দেশ পেতাম না। বাংলাদেশকে চিনতে হলে বঙ্গবন্ধুকে চিনতে হবে। ৭৫’র ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবার হত্যার মাধ্যমে দেশে আওয়ামীলীগ বিহীন নেতৃত্ব শূণ্য করতে চেয়েছিল ষড়যন্ত্রকারীরা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের পর পরই খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমান অবৈধ পন্থায় ক্ষমতায় আসে। এতেই প্রমাণ হয়, তারা ঘটনার নেপথ্য নায়ক ছিলেন। বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলে তারা বেআইনী পন্থায় মীর জাফরের মতো পিছনের রাস্তা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে পারতেন না।
তিনি আরো বলেন, ২০০৪ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে ২১ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। তিনি সেদিন অল্পের জন্য মৃত্যুর দুয়ার থেকে বেঁচে গেলেও স্পিন্ডারের আঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হন। সেই মাননিয় প্রধানমন্ত্রী আজও বয়ে বাড়াচ্ছেন। এতে ২৫/২৬ জন নেতাকর্মী ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান। অনেকেই আজ পঙ্গু। এটি ছিল তাদের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। আজকে বেগম খালেদা জিয়া জেলে বসে কান্নাকাটি করছেন। তিনি ২১ আগষ্ট ঘটনার দায় এড়াতে পারেন না। তিনি দেশকে সন্ত্রাস উপহার দিলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী সবাইকে পড়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সুখী ও সভ্য দেশ গড়ার কাজে ভূমিকা রাখার আহবান জানান। সভায় প্রধান অতিথি মুক্তিযোদ্ধা সাদ উদ্দিন আহমদ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গল্প পড়ে সবাইকে শুনান।
অমরত্ন বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ইব্রাহিম আহমদ জেসি, ফোরামের সহ-সভাপতি সাংবাদিক নাঈম কোরেশী পলাশ, এস এম জহুরুল ইসলাম, মো: হোসাইন কবির, সাংবাদিক এম ইজাজুল হক ইজাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম লস্কর, সিনিয়র সদস্য আলী ওসমান মজুমদার, প্রচার সম্পাদক রেজওয়ান আহমদ, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক শাহজাহান আহমদ, ডা: এ কে খান, শাহাদাত হোসেন সুমন, শাহরিয়ার খান, গিয়াস উদ্দিন, রুবেল আহমদ ও আব্দুল হামিদ প্রমুখ।