শিরোনাম:
●   পার্বতীপুর রেলওয়ে ইর্য়াডের আম গাছে যুবকের আত্মহত্যা ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ গঠিত ●   কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা ●   পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত ●   বৈরী আবহাওয়ায় ও শীতের তীব্রতায় বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা ●   কোন হটকারিতায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা ●   তরফভাইখাঁ সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   মিরসরাইয়ে শীতার্তের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ●   লংগদু এস এস সি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরন ●   ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৫ এর মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্ভব ●   হালদা থেকে বিপন্ন গাঙ্গেয় প্রজাতির মৃত ডলফিন উদ্ধার ●   খাগড়াছড়ির আলুটিলায় পর্যটকবাহী বাস উল্টে আহত-২০ ●   পানছড়িতে লোগাং জোন এর অনুদান সামগ্রী প্রদান ●   আত্রাইয়ে কুলি-বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ ●   চুয়েটে স্থাপত্য বিভাগের ১ম জাতীয় কনফারেন্স শুরু ●   বিজিবির অভিযানে খাগড়াছড়িতে ১২ অনুপ্রবেশকারী আটক ●   ঈশ্বরগঞ্জে জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত ●   কুষ্টিয়ায় বালুঘাট দখল নিতে তাণ্ডব চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ●   রাউজানে বিকাশ প্রতারকের ফাঁদে নারী উদ্যোক্তা তানিয়া ●   যোবায়ের-সাদপন্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ইজতেমা মাঠ : নিহত ৩ ●   মিরসরাইয়ে মধ্য তালবাড়ীয়া স্পোর্টিং ক্লাবের কমিটি গঠন ●   জিয়া কিংবা শেখ মুজিব নয়; জনগণই মুক্তিযুদ্ধের মূল নায়ক : টিপু ●   নবীগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় কলেজ ছাত্রের প্রাণহানি ●   জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এর নেতৃত্বে থাকবেন ড. ইউনূস ও আলী রীয়াজ ●   রেডব্রিজ কমিউনিটি ট্রাস্ট ইউকে বিজয় দিবস উদযাপন ●   ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি আউয়াল, সম্পাদক আতাউর ●   কাউখালীতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন ●   দীপংকর তালুকদার এর অবৈধ সম্পদের তদন্তে নেমেছে দুদক ●   ঈশ্বরগঞ্জে বিজয় দিবস পালিত
রাঙামাটি, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বুধবার ● ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » লাইফস্টাইল » পারিবারিক পারভীন
প্রথম পাতা » লাইফস্টাইল » পারিবারিক পারভীন
বুধবার ● ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পারিবারিক পারভীন

---

সাদা–কালো তাঁর প্রিয় রং, মেয়ের উপহার দেওয়া শাড়ি, জামদানি শাড়ি তাঁর পছন্দপারভীন মাহমুদ। পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। তিনি ছিলেন দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। বর্তমানে গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। দেশি শাড়ি তাঁর প্রিয়। অবসরে কবিতা পড়েন, লেখালেখি করেন, গান শোনেন।

পরিবারের সবাইকে নিয়ে থাকতে পছন্দ করেন। পুরোনো বন্ধু-আত্মীয়দের খুঁজে বের করতে শরণাপন্ন হন ফেসবুকের। ফলও পান হাতেনাতে। সদা হাস্যোজ্জ্বল এই মানুষ শুধু পরিবার নয়, চারপাশের মানুষদের নিয়েও ভাবেন। ভেবে বসে না থেকে কাজও করেন সামাজিক উন্নয়নের জন্য। এই অনুপ্রেরণা পেয়েছেন তাঁর মা শামসুন্নাহার রহমান পরানের কাছ থেকে। তিনি ছিলেন সামাজিক ও আর্থিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ‘ঘাসফুল’-এর প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর বাড়ি আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতদের কাছে ‘ভরসার আশ্রয়’।
অফিসে যাওয়ার আগে এমন সাজে দেখা যায় পারভীন মাহমুদকে। ছবি: সুমন ইউসুফ১৪ সেপ্টেম্বর শরতের সকালে পারভীন মাহমুদের ঢাকার গুলশানের বাড়িতে হাজির হই আমরা। ঢোকার মুখেই শিউলিগাছের তলায় পড়ে থাকা ফুল যেন অভ্যর্থনা জানাল। দরজা খুলতেই দেখা গেল সেই হাসি মুখ।
আমাদের জন্য নয়, এমনিতেই সকাল সাতটায় ঘুম থেকে ওঠেন পারভীন মাহমুদ। জানালেন, নাশতার টেবিলে বসেই পরিকল্পনা করে ফেলেন সব কাজের। তাঁর মতে, সফল হতে হলে কাজের পরিকল্পনা ও সময় ব্যবস্থাপনা খুব জরুরি। অনেকে চাকরি করেন, পরিবারকে সময় দিতে পারেন না। আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করার অবকাশ পান না। সময় ব্যবস্থাপনা করে চললে সেটি সম্ভব।

---
পারভীন মাহমুদ বলেন, ‘সারাক্ষণ কাজের মধ্যেই থাকি। এর ফাঁকে চলতে থাকে সামাজিক কাজগুলো। সব সময় আমার ইচ্ছা ছিল স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে কাজ করার। এ ছাড়া তৃণমূলের টেকসই উন্নয়নে কাজ করতে চাই।’
পারভীন মাহমুদ কর্মজীবনের শুরুতে ছিলেন ব্র্যাকে। আরও কিছু প্রতিষ্ঠানে কাজ করে যোগ দেন কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিতে (সিডা)। সেখান থেকে অ্যাকশনএইডের ফিন্যান্সিয়াল কন্ট্রোলার হিসেবে যোগ দেন। একনবিন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টসেও দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। এরপর পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে (পিকেএসএফ) উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে প্রায় এক যুগ কাজ করেছেন তিনি।
অফিস সকাল ১০টা থেকে শুরু হলেও একটু আগেই যান। গাড়িতে বসে ঢুকে যান ফেসবুকে। আত্মীয়স্বজনের কোনো ফোন করার থাকলে তখনই তা সেরে নেন।
একটু আগে অফিসে গিয়ে নিরিবিলিতে কিছুক্ষণ কাজ করেন। দিনের কাজ তখনই এগিয়ে রাখেন কিছুটা। অফিস বা যেকোনো অনুষ্ঠানে তিনি জামদানি শাড়ি, সুতি শাড়ি, তসর, প্রাকৃতিক রঙে রাঙানো শাড়ি পরেন। বাড়িতে ট্রাউজার ও সালোয়ার কামিজ পরা হয়। সাজেও তিনি সাদামাটা। চোখে কাজল ও ঠোঁটে লিপস্টিক। মা ও শাশুড়ির কাছ থেকে পাওয়া সোনার গয়না খুব একটা পরা হয় না তাঁর। নানা রঙের মুক্তার গয়না পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে মিলিয়ে পরেন। যেহেতু সময় মেপে চলেন তাই হাতঘড়ি পরতে ভুল হয় না।
নাতি গ্যাব্রিয়েলের সঙ্গেসন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে চেষ্টা করেন হাঁটতে যেতে। নিজেকে ফিট রাখতে তেল মসলাযুক্ত খাবার খুব একটা খান না। ছোট মাছ খেতে ভালোবাসেন। হাঁটতে না গেলে বা বাইরে কোনো কাজ না থাকলে বই নিয়ে বসেন। সময় পেলেই কিছু না কিছু পড়েন। ‘সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আপডেট থাকার কোনো বিকল্প নেই।’
চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর বিয়ে হয় পারভীন মাহমুদের। স্বামী আনিসুল ইসলাম মাহমুদের (বর্তমান পানিসম্পদমন্ত্রী) সঙ্গে চলে যান যুক্তরাজ্যে। পারভীন বলেন, ‘সেখানে গিয়ে অবশ্য লেখাপড়া থেমে থাকেনি। একটা কথা না বললেই নয়, আজকের এই অবস্থানে আসার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান আমার স্বামীর। সিএ তাঁর আগ্রহেই পড়া হয়েছে। লন্ডনে গিয়ে এ-লেভেল, ও-লেভেল শেষ করি। সিএর প্রথম পার্টও শেষ হয়। আমার স্বামী যুক্তরাজ্যে শিক্ষকতা করতেন। আমার শাশুড়ি অসুস্থ হয়ে পড়লেন। আমি চলে আসি দেশে।’
দুই ছেলেমেয়ে শামা ও শামসের জন্য লেখাপড়ার মাঝখানে সাত বছর বিরতি দিয়েছিলেন। আবার লেখাপড়া শুরু করে সিএ পরীক্ষা দিলেন। পাসও করলেন। ‘আমি পারিবারিক মানুষ। পরিবারের জন্য সব ত্যাগ স্বীকার করতে পারি। সবাইকে নিয়ে থাকব, সবাই ভালো থাকবে—এটাই তো আসল।’ বলেন তিনি।
কাজপাগল এই মানুষ সময় পেলে বাগান করেন। লেখালেখি করেন। তাঁদের পারিবারিক ইতিহাস নিয়ে একটি বই লিখছেন।
জীবনানন্দ দাশের কবিতা তাঁর ভালো লাগে। নিজেও কবিতা লেখেন, ছবি আঁকেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, হুিমায়ূন আহমেদ ও ঝর্ণাদাশ পুরকায়স্থ তাঁর প্রিয় লেখক। রবীন্দ্রসংগীত ও পুরোনো দিনের গান শুনতে ভালোবাসেন।
আজকাল অবশ্য অবসর মানেই গ্যাব্রিয়েলের সঙ্গে সময় কাটানো। গ্যাব্রিয়েল তাঁর মেয়ে শামার ছেলে। নাতি এলে ওর সঙ্গে ছবি আঁকা, ছড়া পড়া, খেলা—এটাই বড় কাজ তাঁর কাছে। এত আনন্দ অন্য কিছুতে পান না তিনি।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)