শিরোনাম:
●   বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদেরকে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে : মেয়র শাহাদাত হোসেন ●   ফটিকছড়িতে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু ●   রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ডেকোরেশন ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ ●   একুশের প্রথম প্রহরে রাঙ্গুনিয়া প্রেসক্লাবের শ্রদ্ধা নিবেদন ●   মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত সাংবাদিক মকছুদ আহমেদ ●   সাংবাদিক মকছুদ আহমেদের মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলের শোক ●   কুষ্টিয়ায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত ●   কুষ্টিয়ার চরমপন্থী নেতা আতিয়ার খাঁকে হত্যা করল তৃতীয় পক্ষ ফাঁসল ২য় পক্ষ -পর্ব ১ ●   হাটহাজারী উপজেলায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত ●   রাউজানে ভাষা শহীদের প্রতি ছাত্রদলের শ্রদ্ধা নিবেদন ●   নবীগঞ্জ আইডিয়াল উইমেন্স কলেজে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আলোচনা সভা ●   দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাষা শহীদদের প্রতি পিসিসিপি’র শ্রদ্ধাঞ্জলি ●   ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ●   বাঙ্গালহালিয়া পাহাড়িকা পাবলিক স্কুলে একুশে ফেব্রুয়ারি পালন ●   রাবিপ্রবিতে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫ পালিত ●   মিরসরাইয়ে দুই স্থানে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু ●   রাঙামাটিতে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রদ্ধাঞ্জলী ●   পাহাড়ের বর্ষীয়ান সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদ আর নেই ●   রাঙামাটিতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা প্রকাশ চাকমা আটক ●   পানছড়িতে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ ●   ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়ার একুশে পদক লাভ ●   তহিরুন নেছা চৌধুরী একাডেমি’র উদ্যোগে গুণীজন সম্মাননা ●   রাউজানে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যুবককে কুপিয়ে হত্যা ●   ঝালকাঠিতে নিখোঁজ ২২ দিন পর অটোচালকের লাশ উদ্ধার ●   শরীরের জন্য পুষ্টি, তাপ ও শক্তি যোগাতে পুষ্টিকর খাবারে কোনো বিকল্প নেই : মনিরুজ্জামান খান ●   রাঙামাটি জেলায় তারুণ্যের উৎসব আয়োজন ●   পর্যটন শহর রাঙামাটিকে আধুনিকায়ন করতে নতুন প্রকল্প : হাবীব আজম ●   কাউখালীতে জেলা তথ্য অফিসের নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত ●   রাঙামাটিতে তারুন্যের উৎসব মিনি মেরাথন এর চুড়ান্ত ফলাফল ●   ঈশ্বরগঞ্জে তারুণ্যের সমাপনী উৎসব অনুষ্ঠিত
রাঙামাটি, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বুধবার ● ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » লাইফস্টাইল » পারিবারিক পারভীন
প্রথম পাতা » লাইফস্টাইল » পারিবারিক পারভীন
বুধবার ● ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পারিবারিক পারভীন

---

সাদা–কালো তাঁর প্রিয় রং, মেয়ের উপহার দেওয়া শাড়ি, জামদানি শাড়ি তাঁর পছন্দপারভীন মাহমুদ। পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। তিনি ছিলেন দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। বর্তমানে গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। দেশি শাড়ি তাঁর প্রিয়। অবসরে কবিতা পড়েন, লেখালেখি করেন, গান শোনেন।

পরিবারের সবাইকে নিয়ে থাকতে পছন্দ করেন। পুরোনো বন্ধু-আত্মীয়দের খুঁজে বের করতে শরণাপন্ন হন ফেসবুকের। ফলও পান হাতেনাতে। সদা হাস্যোজ্জ্বল এই মানুষ শুধু পরিবার নয়, চারপাশের মানুষদের নিয়েও ভাবেন। ভেবে বসে না থেকে কাজও করেন সামাজিক উন্নয়নের জন্য। এই অনুপ্রেরণা পেয়েছেন তাঁর মা শামসুন্নাহার রহমান পরানের কাছ থেকে। তিনি ছিলেন সামাজিক ও আর্থিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ‘ঘাসফুল’-এর প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর বাড়ি আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতদের কাছে ‘ভরসার আশ্রয়’।
অফিসে যাওয়ার আগে এমন সাজে দেখা যায় পারভীন মাহমুদকে। ছবি: সুমন ইউসুফ১৪ সেপ্টেম্বর শরতের সকালে পারভীন মাহমুদের ঢাকার গুলশানের বাড়িতে হাজির হই আমরা। ঢোকার মুখেই শিউলিগাছের তলায় পড়ে থাকা ফুল যেন অভ্যর্থনা জানাল। দরজা খুলতেই দেখা গেল সেই হাসি মুখ।
আমাদের জন্য নয়, এমনিতেই সকাল সাতটায় ঘুম থেকে ওঠেন পারভীন মাহমুদ। জানালেন, নাশতার টেবিলে বসেই পরিকল্পনা করে ফেলেন সব কাজের। তাঁর মতে, সফল হতে হলে কাজের পরিকল্পনা ও সময় ব্যবস্থাপনা খুব জরুরি। অনেকে চাকরি করেন, পরিবারকে সময় দিতে পারেন না। আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করার অবকাশ পান না। সময় ব্যবস্থাপনা করে চললে সেটি সম্ভব।

---
পারভীন মাহমুদ বলেন, ‘সারাক্ষণ কাজের মধ্যেই থাকি। এর ফাঁকে চলতে থাকে সামাজিক কাজগুলো। সব সময় আমার ইচ্ছা ছিল স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে কাজ করার। এ ছাড়া তৃণমূলের টেকসই উন্নয়নে কাজ করতে চাই।’
পারভীন মাহমুদ কর্মজীবনের শুরুতে ছিলেন ব্র্যাকে। আরও কিছু প্রতিষ্ঠানে কাজ করে যোগ দেন কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিতে (সিডা)। সেখান থেকে অ্যাকশনএইডের ফিন্যান্সিয়াল কন্ট্রোলার হিসেবে যোগ দেন। একনবিন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টসেও দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। এরপর পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে (পিকেএসএফ) উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে প্রায় এক যুগ কাজ করেছেন তিনি।
অফিস সকাল ১০টা থেকে শুরু হলেও একটু আগেই যান। গাড়িতে বসে ঢুকে যান ফেসবুকে। আত্মীয়স্বজনের কোনো ফোন করার থাকলে তখনই তা সেরে নেন।
একটু আগে অফিসে গিয়ে নিরিবিলিতে কিছুক্ষণ কাজ করেন। দিনের কাজ তখনই এগিয়ে রাখেন কিছুটা। অফিস বা যেকোনো অনুষ্ঠানে তিনি জামদানি শাড়ি, সুতি শাড়ি, তসর, প্রাকৃতিক রঙে রাঙানো শাড়ি পরেন। বাড়িতে ট্রাউজার ও সালোয়ার কামিজ পরা হয়। সাজেও তিনি সাদামাটা। চোখে কাজল ও ঠোঁটে লিপস্টিক। মা ও শাশুড়ির কাছ থেকে পাওয়া সোনার গয়না খুব একটা পরা হয় না তাঁর। নানা রঙের মুক্তার গয়না পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে মিলিয়ে পরেন। যেহেতু সময় মেপে চলেন তাই হাতঘড়ি পরতে ভুল হয় না।
নাতি গ্যাব্রিয়েলের সঙ্গেসন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে চেষ্টা করেন হাঁটতে যেতে। নিজেকে ফিট রাখতে তেল মসলাযুক্ত খাবার খুব একটা খান না। ছোট মাছ খেতে ভালোবাসেন। হাঁটতে না গেলে বা বাইরে কোনো কাজ না থাকলে বই নিয়ে বসেন। সময় পেলেই কিছু না কিছু পড়েন। ‘সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আপডেট থাকার কোনো বিকল্প নেই।’
চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর বিয়ে হয় পারভীন মাহমুদের। স্বামী আনিসুল ইসলাম মাহমুদের (বর্তমান পানিসম্পদমন্ত্রী) সঙ্গে চলে যান যুক্তরাজ্যে। পারভীন বলেন, ‘সেখানে গিয়ে অবশ্য লেখাপড়া থেমে থাকেনি। একটা কথা না বললেই নয়, আজকের এই অবস্থানে আসার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান আমার স্বামীর। সিএ তাঁর আগ্রহেই পড়া হয়েছে। লন্ডনে গিয়ে এ-লেভেল, ও-লেভেল শেষ করি। সিএর প্রথম পার্টও শেষ হয়। আমার স্বামী যুক্তরাজ্যে শিক্ষকতা করতেন। আমার শাশুড়ি অসুস্থ হয়ে পড়লেন। আমি চলে আসি দেশে।’
দুই ছেলেমেয়ে শামা ও শামসের জন্য লেখাপড়ার মাঝখানে সাত বছর বিরতি দিয়েছিলেন। আবার লেখাপড়া শুরু করে সিএ পরীক্ষা দিলেন। পাসও করলেন। ‘আমি পারিবারিক মানুষ। পরিবারের জন্য সব ত্যাগ স্বীকার করতে পারি। সবাইকে নিয়ে থাকব, সবাই ভালো থাকবে—এটাই তো আসল।’ বলেন তিনি।
কাজপাগল এই মানুষ সময় পেলে বাগান করেন। লেখালেখি করেন। তাঁদের পারিবারিক ইতিহাস নিয়ে একটি বই লিখছেন।
জীবনানন্দ দাশের কবিতা তাঁর ভালো লাগে। নিজেও কবিতা লেখেন, ছবি আঁকেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, হুিমায়ূন আহমেদ ও ঝর্ণাদাশ পুরকায়স্থ তাঁর প্রিয় লেখক। রবীন্দ্রসংগীত ও পুরোনো দিনের গান শুনতে ভালোবাসেন।
আজকাল অবশ্য অবসর মানেই গ্যাব্রিয়েলের সঙ্গে সময় কাটানো। গ্যাব্রিয়েল তাঁর মেয়ে শামার ছেলে। নাতি এলে ওর সঙ্গে ছবি আঁকা, ছড়া পড়া, খেলা—এটাই বড় কাজ তাঁর কাছে। এত আনন্দ অন্য কিছুতে পান না তিনি।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)