মঙ্গলবার ● ২৭ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » পাবনা » জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি :: পাবনার চাটমোহর উপজেলার নতুন বাজার খেয়াঘাট থেকে অষ্টমনিষা রাস্তার ওপর বিলচলন ইউনিয়নের পৈলানপুর গ্রামে সেতু না থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মানুষসহ যানবহন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে এ এলাকার জনসাধারনের দির্ঘ ৪ বছর কাঁঠের সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলতে হয়েছে কয়েক হাজার মানুষের। কাঁঠের সেতু ভেঙ্গে যাবার পর, মাটি দিয়ে ভরাট করে সরু রাস্তা দিয়ে পার হতে গিয়ে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। প্রতিদিন মানুষ, যানবহনে মির্জাপুর, অষ্টমনিষা থেকে চাটমোহর শহরে এ পথে চলাচল করছে। কিন্তু এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যাথা নেই। এলাকাবাসীর অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে তারা বিভিন্ন দপ্তরে সেতু নির্মাণের জন্য ধরনা দিলেও কোন কাজ হচ্ছে না।
নতুন বাজার খেয়াঘাট পৌরসভার একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার যেখান থেকে সিএনজি, অটভ্যান, অটরিক্্রা, বোরাখ, মটরসাইকেল যানবাহনগুলো জাবরকোল, পৈলানপুর, জালেশ্বর, নুননগর, অষ্টমনিষা, মির্জাপুর, পর্যন্ত পৌছেছে। নুননগর পাবার আগে বড়াল নদী ঘেষে পৈলানপুর কবরস্থান সংলগ্ন পাঁকা ব্রিজটি ৪ বছর আগে ভেঙ্গে স্বাভাবিক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়ে। এলাকাবাসী তৈরি করেন কাঁঠের সেতু বেশ কিছু দিন আগে সেটাও ভেঙ্গে গেলে মাটি দিয়ে ভড়াট করা হয় সেতুটি। কিন্তু বর্ষা ও অতি বৃষ্টির কারণে মাটি ধসে গিয়ে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। ঝুঁকি নিয়ে চলছে জনসাধারণ ও যানবাহন।
অপর দিকে পাবনা পানি উন্নয় বোর্ড অফিস ২০১৬ সালের শুরুর দিকে নদী থেকে বাঁধ অপসারণ করতে আসে। নতুন বাজার খেয়াঘাটের বাঁধ দেখতে। এসময় স্থানীয় জনসাধারন তাদের যোগাযোগের অসুবিধার কথা ভেবে বাঁধ অপসারণে বাধা দেয়। সেসময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তরা সেখানে দ্রুত সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ার কথা বলে জনসাধারনকে আশ্বস্ত করে বাঁধ কেটে নদী অবমুক্ত করেন। তখন এলাকাবাসী নদী পারাপারে জন্য পাবনা-৩ এলাকার সংসদ সদস্যের সহযোগিতায় কাঁঠের সেতু নির্মাণ করে। এদিকে কর্তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতির সাড়ে তিন বছর পার হলেও নদীতে সেতু নির্মাণ হয়নি। ফলে নদীর উত্তর পাড়ের চাটমোহর উপজেলার অন্তত ২০ টি গ্রামের জনসাধারণ প্রতিদিন এই নড়বড়ে কাঠেঁর সেতু দিয়ে যানবাহনে যাতায়াত করছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ।
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কে এম জহুরুল হক জানান, জনসাধারণের অসুবিধার কথা ভেবে ওই স্থানে সেতু নির্মাণের ব্যাপারে তার দপ্তর খুবই আগ্রহী। তিনি আরো বলেন নতুন বাজার খেয়াঘাট বড়ল নদীর ওপর ব্রিজ হবে। কিন্তু এতো বড় সেতু নির্মাণে জাতীয় সিদ্ধান্ত ছাড়া সম্ভব নয়।