মঙ্গলবার ● ২৭ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিশ্বনাথ উপজেলা কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ প্রকল্পের টেন্ডার বাতিল
বিশ্বনাথ উপজেলা কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ প্রকল্পের টেন্ডার বাতিল
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: কাজ বাস্তবায়নে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ প্রকল্পের ১ম পর্যায়ের টেন্ডার বাতিল করা হয়েছে। নির্দিস্ট মেয়াদে কাজ সম্পন্ন করার পরিবর্তে মাত্র ২৬% কাজ হওয়ায় দীর্ঘ তদন্ত ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার সতর্ক করার পর গত ২৮ জুলাই ১ম পর্যায়ের টেন্ডারটি বাতিল করেন প্রকল্প পরিচালক। আর মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) চূড়ান্ত মেজারমেন্টের পর অবশিস্ট কাজ সম্পন্ন করার জন্য নতুন রেট সিডিউল (২য় পর্যায়ের টেন্ডার) কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
চূড়ান্ত মেজারমেন্টের সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এস এম নুনু মিয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বর্ণালী পাল চৌধুরী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা-তুজ-জোহরা, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, উপজেলা প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ ভূঁইয়া, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাওন, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-প্রকৌশলী সঞ্জিত সরকার, হাজী মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নেহারুন নেছা প্রমুখ।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী প্রায় ৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ‘বিশ্বনাথ উপজেলা সম্প্রসারণ প্রকল্প’ বাস্তবায়নের জন্য ওয়ার্ক অডার পান জামাল আহম্মেদ চৌধুরীর মালিকানাধীন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স আক্তার ট্রেডার্স’। ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপরও একাধিক বার কাজ সম্পন্ন করার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করা হলেও প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সম্পূর্নরুপে ব্যর্থ হওয়ায় তা চলতি বছরের ২৮ জুলাই বাতিল করা হয়।
বিশ্বনাথে গাঁজাসহ আটকের ঘটনায় মামলা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে আধাকেজি গাঁজাসহ বহুল আলোচিত সেই তবারক আলীর স্ত্রী সাবিনা বেগমের মালিকানাধীন সিএনজি চালিত অটোরিক্সা (সুনামগঞ্জ-থ ১১-২০৬৭) জব্দের ঘটনায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেছে থানা পুলিশ। বিশ্বনাথ থানার এসআই দেবাশীষ শর্ম্মা বাদী হয়ে সোমবার মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলা নং ২৪ (তাং ২৬.০৮.১৯ইং)।
মামলায় গাঁজাসহ আটককৃত উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের হাজী আরিছ আলীর পুত্র গাঁজা বিক্রেতা ফয়ছল আহমদ ও মনোহরপুর গ্রামের মৃত আবদুন নূরের পুত্র সিএনজি চালক গফুর আলীসহ সিলেট বিভাগের বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরির মামলা ও জিডির অভিযুক্ত বহুল আলোচিত তবারক আলীকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
তবারক আলীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করেছেন বিশ্বনাথ থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুল লতিফ।
উল্লেখ্য গত ২৬ আগস্ট দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্বনাথ-লামাকাজী সড়কের ‘উত্তর বিশ্বনাথ আমজদ উল্লাহ ডিগ্রি কলেজের সামন থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার এসআই দেবাশীষ শর্ম্মার নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের পাঠাকইন (পাঁচঘরি) গ্রামের তবারক আলীর স্ত্রী সাবিনা বেগমের মালিকানাধীন অটোরিক্সা (সুনামগঞ্জ-থ ১১-২০৬৭) জব্দ করে। এসময় অটোরিক্সা (সিএনজি) গাঁজা বিক্রেতা ফয়ছল আহমদ ও সিএনজি চালক গফুর আলীকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশের জব্দ করে অটোরিক্সার (সুনামগঞ্জ-থ ১১-২০৬৭) মালিক সাবিনা বেগম ও তার স্বামী তবারক আলীর বিরুদ্ধেও মাদ্রক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। পাঠাকইন (পাঁচঘরি) গ্রামের মরহুম আলকাছ আলীর পুত্র তবারক আলীর বিরুদ্ধে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরির মামলা ও জিডি রয়েছে বলেও জানা গেছে। এছাড়া বর্তমানে তবারক আলী এলাকায় একজন দানবীরের খেতাব পেলেও মাদকের জগতে ‘ইয়াবা সুমন’ নামে তার (তবারক) পরিচিতি আছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। তাছাড়া ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে একাধিক চুরির মামলায় বিশ্বনাথ থানায় দুই দিনের রিমান্ডে আসা তবারক আলী ২৫ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে জেলহাজতের তালা খোলা থাকায় পালিয়ে যায়। অবশ্য পালিয়ে যাওয়ার ৭ ঘন্টার পর আবারও পুলিশ তবারককে গ্রেপ্তার করে। তবে সেসময় জেলহাজত থেকে তবারক পালিয়ে যাওয়ার কারণে থানা পুলিশের দুই সদস্য ক্লোজও হয়ে ছিলেন।
বিশ্বনাথের আমতৈল বাজারে ৭ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে ‘রেষ্টুরেন্ট পরিস্কার পরিছন্ন না থাকা, পণ্যের মুল্য তালিকা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য দোকানে রাখা, পাটের বস্তা ব্যবহার না করে প্লাষ্টিকের বস্তা ব্যবহার, অশ্লিল ভিডিও দোকানের কম্পিউটারে সংরক্ষণ’ করার অভিযোগে উপজেলা আমতৈল বাজারের ৭টি ব্যবসা প্রতিষ্টানকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা-তুজ-জোহরার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান অভিযানটি পরিচালিত হয়।
জরিমানা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হল- ভাই ভাই রেষ্টুরেন্ট ২ হাজার টাকা, মিম টেলিকম ২ হাজার টাকা, আহমদ ষ্টোর ৩ হাজার টাকা, রুহান রেষ্টুরেন্ট দেড় হাজার টাকা, আহমদ ভেরাইটিজ ষ্টোর দেড় হাজার টাকা, ছালেহ আহমদ চালের দোকান ২ হাজার টাকা, মুরাদ ষ্টোর ২ হাজার টাকা। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা-তুজ-জোহরার সাথে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর অলিক গোবিন্দ সরকারসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিশ্বনাথ থানার একদল পুলিশ।