মঙ্গলবার ● ২৭ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » জাতীয় » সাম্প্রদায়িক শক্তি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে : বাম চার নেতা
সাম্প্রদায়িক শক্তি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে : বাম চার নেতা
অনলাইন ডেস্ক :: বাম রাজনৈতিক দলগুলোর চার শীর্ষনেতা বলেছেন, দেশের সাম্প্রদায়িক শক্তি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করছে। আন্তর্জাতিক মহল ও দেশীয় শক্তি তাদেরকে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। এ সমস্যার সমাধান এখনই করা দরকার। রোহিঙ্গাদের লোক দেখানো নেয়ার চেষ্টা করছে মিয়ানমার। তাদের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম আমাদের নতুন সময়কে বলেন, ‘দেশের নানা সাম্প্রদায়িক শক্তি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। সরকার রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে যথাযথভাবে সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার বলেছেন, ষোল কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারলে ১০ লাখ রোহিঙ্গকেও খাওয়াতে পারবো। রোহিঙ্গারা আমাদের সামাজিক ক্ষেত্রে নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। জাতীয়ভাবে এ সমস্যার সমাধান এখনই করা দরকার বলে আমি মনে করি। তা না হলে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে দেশে আরো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।’
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, লাখ লাখ রোহিঙ্গা যেভাবে আছে, তা এক সপ্তাহ বা দুই সপ্তাহ থাকতে পারে। তবে তাদের দেশে ফিরে যাওয়া উচিত। তারা এ দেশে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের ৫৫ হাজার থেকে প্রথম দফায় সাড়ে ২৩ হাজার যাবে। তা যে এক বছরেও নিষ্পত্তি হবে না এটা আর বলার অপেক্ষা রাখেন না। আন্তর্জাতিক মহল ও দেশীয় শক্তি তাদেরকে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী থাকার পর অনিশ্চয়তা দেখা দেবে এবং এতে একটা বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের লোক দেখানো নেয়ার চেষ্টা করছে।’
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের সমস্যা গভীর ও অমানবিক। জাতি-গোষ্ঠী উচ্ছেদের লক্ষ্যে তাদের মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। বাংলাদেশ তাদের ব্যাপারে মানবিক দায়িত্ব করলেও ইতোমধ্যে তারা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে। তাদেরকে নাগরিকত্ব দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে স্বদেশে পাঠানোর কোনো বিকল্প নেই।’
‘তবে, সত্য যে এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে কোনো পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিথ্যা, শঠতা ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে চলেছে। যার ফলে বাংলাদেশ সরকার ও মিয়ানমার রাজনৈতিক কূটনৈতিক তৎপরতায় ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে অনির্দিষ্টকাল এ বিপুল জনগোষ্ঠীর দায়িত্ব নেয়া সম্ভব নয়। সরকারের নজরদারির বাইরে রোহিঙ্গারা যেভাবে সমাবেশ করলো- এটাও নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আমরা পুরো বিষয়টির মানবিক ও গণতান্ত্রিক সমাধান চাই।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মানবিক স্বীকৃতিসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে যেন দেশে ফেরত যেতে পারে আমাদের সেই সহযোগিতা করতে হবে। তাদেরকে কেউ ভাড়াটে হিসেবে যেন ব্যবহার করতে না পারে। দেশে যেতে চাওয়া না চাওয়ার ব্যাপারে পরিষ্কার অবস্থান না থাকলে, তারা যাবে কিভাবে? তাদের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। যেন দেশে ফিরে তাদের ঝুঁকির মধ্যে পড়তে না হয়।’ সূত্র :আমাদের সময় ডটকম