শুক্রবার ● ৩০ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » পাবনা » পাবনা বেড়ায় অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান
পাবনা বেড়ায় অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি :: পাবনার বেড়া উপজেলায় অবৈধভাবে যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন ও রাস্তায় বালু ফেলার পাইপ ফেলে মানুষের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার দায়ে পাঁচ জনের জেল জরিমানা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আনাম সিদ্দিকী অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতে জেল ও জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হাটুরিয়া-নাকালিয়া ইউনিয়নের একটি প্রভাবশালী মহল অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের জন্য মালদাহ পাড়া পুরান বাধের উপর বালু বহনের পাইপ রেখে জনসাধারনের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দুই জনকে আটক করা হয়। এছাড়াও যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে আরো তিন জনকে আটক করা হয়। এ সময় বালু উত্তোলনের ড্রেজার জব্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন হাচেন আলী (৫০), জয়নাল শেখ (৫২), রাকিব হোসেন (২০), আনিস আলী (২২), বজলুর রহমান (৫১)। পরে উপজেলা পরিষদে রাত সাড়ে নয়টার দিকে বালু উত্তোলনের দায়ে তিন জনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও দুইজনকে বালুর পাইপ ফেলে যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। এ সময় হাচেন আলী ও আনিস জরিমানার টাকা পরিশোধ করে মুক্তি পান।
এ ব্যাপারে ইউএনও আসিফ আনাম সিদ্দিকী বলেন, মালদাহ পাড়ার রাস্তার পাইব ২৪ ঘন্টার মধ্যে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি। ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকান্ডের সাথে জড়িতের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চাটমোহরে সাপের দংশনে মাদরাসা সুপারের মৃত্যু
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি :: পাবনার চাটমোহর উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের আড়িংগাইল গ্রামে সাপের দংশনে এক মাদরাসা সুপারের মৃত্যু হয়েছে। নিহত মাদরাসা সুপার হলেন ওই গ্রামের আহের আলীর ছেলে মাওঃ শফিউল আলম মুসা (৬০)।
সে উপজেলার মল্লিকবাইন দাখিল মাদরাসার সুপার ছিলেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে নয় টার দিকে নিজ বাড়ির আঙিনায় স্ত্রীর সঙ্গে হাটাহাটি করার সময় তাকে বিধর সাপ দংশন করে। প্রথমে স্থানীয় ওঝা দ্বারা ঝুঁড় ফুঁক দেওয়া হলে অবস্থার অবনতি হয়।
পরে পরিবারের লোকজন চাটমোহর পৌর শহরের বালুচর মহল্লার ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক পৌর কমিশনার মাহাতাবের কাছে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু পাথর লাগানোর আগেই সুপার মুসা মারা যান।