শুক্রবার ● ১৫ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » ‘কীর্তিমান অমর জিয়া’ স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচিত
‘কীর্তিমান অমর জিয়া’ স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচিত
রাজধানীতে ১৫ জানুয়ারী শুক্রবার সকাল ১০.৩০টায়, জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বন্ধু দল এর ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে শহীদ জিয়ার অমর কীর্তি গাঁথার উপর “কীর্তিমান অমর জিয়া” শীর্ষক স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়৷
জাতীয়তাবাদী বন্ধু দল এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শরীফ মোস্তফাজামান লিটু’র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এড. আহমেদ আজম খান৷ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ তথ্য গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এ.বি.এম মোশাররফ, এনডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান তামান্না, বিএনপির সহযোগী সংগঠন ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লায়ন মিয়া মোঃ আনোয়ার, সংগঠনের উপদেষ্টা কাজী মনিরুজ্জামান মনির, সংগঠনের সদস্য সচিব মাহমুদ আহমেদ জিয়া, ইঞ্জি. মোঃ সোহেল রানা স্বপন, এড. আবু জাফর শিকদার, এম. শফিকুল ইসলাম সজীব, হানিফ মজুমদার, ইঞ্জি. এইচ.এম আমিনুর রহমান, মাষ্টার আব্দুস সোবহান, ইসমাইল তালুকদার খোকনসহ প্রমুখ৷
সভার শুরুতেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, প্রবীণ রাজনীতিবিদ, সাবেক মন্ত্রী ড. আর.এ গনির মৃতু্যতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয় এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়৷ সভায় জাতীয়তাবাদী বন্ধু দলের পক্ষ থেকে সংগঠনের ৬ষ্ঠ প্রতিবার্ষিকী উপলক্ষে ‘কীর্তিমান অমর জিয়া’ নামক স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়৷ স্মরণিকাটি উত্সর্গ করা হয় শহীদ জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র মরহুম আরাফাত রহমান কোকো’র প্রতি৷ সম্পাদনা করেন ইঞ্জি. এইচ.এম আমিনুর রহমান আমিন৷ প্রকাশনায় জাহানারা বেগম৷ উপস্থিত নেতৃবৃন্দ স্মরণিকাটি আনুষ্ঠানিকভাবে মোড়ক উন্মোচন করেন৷
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, গণতন্ত্রের গভীর সংকটে জাতীয়তাবাদী বন্ধু দল তার ৬ষ্ঠ বার্ষিকী পালন করছে এবং সেই সাথে যখন শহীদ জিয়া ও তার পরিবারকে নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যাচার করছে বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার ঠিক সেই মুহুর্তে ‘কীর্তিমান অমর জিয়া’ নামক স্মরণিকাটি বের করে প্রশংসার দাবি রাখে৷ তিনি আরো বলেন, জাতীয়তাবাদী বন্ধু দল এখন বেশ এগিয়ে গেছে৷ সাংগঠনিকভাবে সারাদেশে নিজেদের শক্তি সঞ্চয় করে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলন সংগ্রামে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও অবদান রাখার আহ্বান জানান৷ তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য আমরা আগামীতে যে নির্বাচন আসবে সেই নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করবো৷ হয়তো কেউ কেউ ভাবছেন ভোটারবিহীন সরকার আমাদেরকে কোন সিট দেবে না৷ জোর করে হলেও সব সিট দখল করে নেবে৷ সবকিছু জানার পরেও বিএনপি কেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে৷ তাদের উত্তরে বলবো আমরা দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীর কাছে স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে চাই যে, বর্তমান সরকারের অধীনে কোন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না৷ তিনি আরো বলেন, গত ৫ জানুয়ারি জানুয়ারি দেশবাসী দেখেছে কিভাবে একটি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ১৫০ জনের অধিক এমপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন৷ জনগণের সমর্থনহীন একটি সরকার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করেছে৷ সমপ্রতি অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনেও তাদের ভোট ডাকাতির তান্ডব দেশবাসী দেখেছে৷ ভবিষ্যতেও তারা কিভাবে জাতিকে গণতন্ত্র থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে বাকশাল উপহার দিতে চায় জনগণকে বুঝানোর জন্যই আমরা আবারো নির্বাচনে যেতে চাই৷ তবে তাদের পতনের সময় হয়ে গেছে৷ জনগণ বুঝতে পেরেছে এই সরকারের আমলে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক মৃতু্যর কোন গ্যারান্টি নেই৷ শুধু বিরোধীদলের নেতাকর্মীরাই গুম হয়নি বরং সরকারি দলের অনেকেই তাদের স্ব-স্ব আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেও গুম-খুন হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী ২ বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে যে ভাষণ দিয়েছেন তা জনগণ প্রত্যাখান করেছেন৷ কারণ জনগণের ও গণমানুষের কোন বক্তব্য তার ভাষণে ছিল না৷ তার আমলের লুটপাটকে জায়েজ করার জন্যই তিনি তার দলীয় নেতাকর্মীদেরকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ভাষণ দিয়েছিলেন৷ তিনি সকল দেশপ্রেমিক নাগরিককে ঐক্যবদ্ধভাবে এই অবৈধ সরকারে বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানান৷(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)