বৃহস্পতিবার ● ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ডেঙ্গু কেড়ে নিল কবি তনয়া স্কুলছাত্রী অস্মিতাকে
ডেঙ্গু কেড়ে নিল কবি তনয়া স্কুলছাত্রী অস্মিতাকে
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে সিলেটের বিশ্বনাথের অলংকারি ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের কবি-ছড়াকার হেনা নুরজাহানের মেয়ে অস্মিতা বেগমের (১৩) ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। অসমিতা ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই কিশোরী। সে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কম্পানির ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আমানাত মাওলা ও কবি-ছড়াকার হেনা নুরজাহানের মেয়ে বড় মেয়ে।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় রাজধানীর মিলেনিয়াম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই কিশোরী। টানা ছয়দিন লাইফ সাপোর্টে থেকে অবশেষে মৃত্যুর কাছ হার মানতে হলো অস্মিতাকে।
জানা গেছে, অস্মিতার পৈতৃক বাড়ি ঢাকার আজিমপুরে। সম্প্রতি অস্মিতাসহ তাঁর বাবা-মা ও ছোটবোন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। তাদেরকে ঢাকা ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অস্মিতার অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মিলেনিয়াম হাসপাতালে। সেখানে ছয়দিন লাইফ সাপোর্টে ছিল সে।
অবশেষে তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে অস্মিতার মামা বিশ্বনাথের কামালপুর গ্রামের হিমেল আহমেদ বলেন, ঢাকার আজিমপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে দুই দফা জানাজা শেষে অস্মিতার লাশ সিলেট নিয়ে আসা হবে। এখানে জানাজা শেষে আপার (হেনা নুরজাহান) ইচ্ছা অনুযায়ী হযরত শাহজালাল (র.) দরগাহ কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
অস্মিতার বাবা প্রকৌশলী আমানাত মাওলা বলেন, ডেঙ্গু জ্বরে পরিবারের সবাই আক্রান্ত হই। অস্মিতাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মিলেনিয়াম হাসপাতালে ছয়দিন আগে ভর্তি করি। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় চিকিৎসাধীন সে অবস্থায় মারা যায়।
বিশ্বনাথে আল-হেরা শপিং সিটি মার্কেটে দোকান চুরি
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের পুরান বাজারস্থ আল-হেরা শপিং সিটির নিচতলায় জুয়েল মোবাইল গার্ডেন চুরি সংগঠিত হয়েছে। এতে প্রায় কয়েক লাখ টাকার মোবাইল সেটসহ মালামাল চুরেরদল নিয়ে যায়। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ চুরির ঘটনা ঘটে। মার্কেটে নৈশপ্রহরী থাকার পরও দোকানঘর চুরি হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে নানান কৌতুল সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
জানাগেছে, উপজেলা সদরের পুরান বাজারস্থ আল-হেরা শপি সিটির নিচতলায় অবস্থিত জুয়েল মোবাইল গার্ডেন রয়েছে। প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার রাতে দোকান ঘরের মালিক ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে নিজ বাড়িতে চলে যান। (৪ সেপ্টেবর) বুধবার সকালে তিনি মার্কেটে দোকানঘর খুলে দেখতে পান দোকান ঘরের পিছনের দেয়াল ভাঙ্গা এবং মালামাল এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে। ধারনা করা হচ্ছে দোকান ঘরের পিছনের দেয়াল ভেঙে চুরেরদল ভিতরে প্রবেশ করে। দোকান ঘরে থাকা, নগদ টাকা, দামী মোবাইল সেটসহ মালামাল চুরেরদল নিয়ে যায়। এতে দোকান মালিকের কয়েক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এব্যাপারে জুয়েল মোবাইল গার্ডেনের পরিচালক জুয়েল মিয়া বলেন, মঙ্গলবার রাতে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যাই। কিন্তু বুধবার সকালে দোকানঘর খুলে এসে দেখতে পাই দোকান ঘরের পিছনের দেয়াল কিছুটা ভাঙ্গা এবং মালামাল এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে।
তিনি বলেন, দোকানে থাকা নগদ ১লাখ ৫৩ হাজার টাকা, বিদেশী দুইশত পাউন্ড, বেশ কয়েকটি দামি মোবাইল সেটসহ মালামাল চুরেরদল নিয়ে যায়। এতে ১০-১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মূসা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। তবে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বিশ্বনাথে দৌলতপুর উপ-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র নানান সম্যাসায় জর্জরিত
বিশ্বনাথপ্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসক শুণ্যতাসহ নানান সম্যাসায় জর্জরিত রয়েছে। ফলে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। সপ্তাহে দুই দিন একজন চিকিৎসক কেন্দ্রে আসলেও কিছুক্ষণ থেকে তিনি চলে যান। সপ্তাহের বাকী দিনগুলো স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির পরির্দশিকা চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তাটিও বেহাল। গর্ভবর্তি মহিলা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে তাদের পুহাতে চরম দুর্ভোগ। রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে সুদৃষ্ঠি কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
এদিকে, দৌলতপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে লোকবল সংকট রয়েছে। ৬টি পদের মধ্যে ৪টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শুণ্য। কোয়াটারের বেহাল অবস্থা হওয়ায় কোন স্টাফ কোয়াটারে থাকেন না। কেন্দ্রের পরির্দশিকা জানান এই কেন্দ্রটির আবাসিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হওয়ায় এখানে থাকা সম্ভব নয়।
(৩ সেপ্টেবর) মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে দৌলতপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দশপাইকা বাজারের অদূরে ও ইউনিয়ন পরিষদের কিছুটা সামনে অবস্থিত দৌলতপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি। কেন্দ্রেটি নির্মাণের পর আর কোনো সংস্কার হয়নি। বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে কেন্দ্রটি। উপ-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র প্রবেশের একমাত্র রাস্তাটি ছোট। এ কেন্দ্রে পায়ে হেটে যেতে হয়। যানবাহন নিয়ে যাওয়া খুবই কষ্ঠকর। হাসপাতালে ভিতরে প্রবেশ করতে দেখা যায় ৬-৭ রোগী রয়েছেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি পরির্দশিকার রুমে আরও দুইজন রোগী রয়েছেন। তাদের তিনি চিকিৎসা প্রদান করছেন।
স্থানীয়রা জানান, লোকবল সংকটের কারণে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজন সুফল পাচ্ছেন না। উপজেলার দেওকলস ইউনিয়ন থেকে একজন চিকিৎসক সপ্তাহের মধ্যে এক-দুই দিন আসেন। কিছুসময় থেকে আবার চলে যান। রাস্তাটি ছোট হওয়ায় রোগীরা যানবাহন নিয়ে যেতে পারেন না। যার ফলে অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে অনিহা প্রকাশ করেন।
এব্যাপারে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী আফিয়া বেগম বলেন, চিকিৎসার কিছুটা মানভাল হলেও হাসপাতালের রাস্তা দিয়ে গর্ভবর্তি রোগী নিয়ে আসা খুবই কষ্ট হয়।
দৌলতপুর ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরির্দশিকা সুলতানা বেগম বলেন, প্রতিদিন ৩০-৪০জন রোগী আসেন। তবে কেন্দ্রের রাস্তাটি ছোট ও সংস্কারের কারণে গর্ভবর্তি নারীরা চিকিৎসা নিতে পুহাতে হয় দুর্ভোগ।
দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির আলী বলেন, ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের রাস্তাটি ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্ধ থেকে করা হয়। তবে রাস্তা বড় করার জন্য উপজেলা পরিষদের মাসিক সম্বনয় সভায় উপস্থাপন করব।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাক্তার নজরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের লোকবল সংকট রয়েছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ছয়টি পদের মধ্যে চারটি পদই শূন্য রয়েছে। শুণ্য পদগুলোর মধ্যে একজন মেডিকেল অফিসার, একজন ফার্মাসিষ্ট, একজন অফিস সহায়ক ও পিয়ন পদটি শূন্য। জনবল সংকটের কারণে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন উপজেলার দেওকলস ইউনিয়ন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শিরিন আক্তার। আমরা সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লোকবল সংকটের বিষয়টি জানিয়েছি।
বিশ্বনাথে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় আহত ব্যবসায়ী শরীফুর লাইফ সাপোর্টে
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত তরুণ ব্যবসায়ী শরীফুর রহমান উরফে কালা মিয়া (২৪)’কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্ততি চলছে। বর্তমানে তিনি সিলেট নগরীর ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউ’তে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শরীফুর রহমান (কালা মিয়া) বিশ্বনাথ উপজেলা সদরস্থ আল-হেরা শপিং সিটির রিপা জুয়েলার্সের স্বত্তাধিকারী ও উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের পুরানগাওঁ গ্রামের মৃত রফিজ আলীর পুত্র।
জানা গেছে- শরীফুর রহমান (কালা মিয়া) মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় মোটরসাইকেলে যোগে রশিদপুর থেকে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরে আসার পথে কারিকোনা এলাকায় (পল্লী বিদ্যুতের সাবেক অফিসের সামনে) বালুর টেকির সাথে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল থেকে তিনি ছিটকে পড়েন। এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তামানে তিনি ওই হাসপাতালের আইসিইউ’তে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা আশংকাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় স্থানান্তরের প্রস্ততি চলছে বলে আজ বেলা ২টায় জানিয়েছেন শরীফুর রহমানের বড় ভাই ও আল-হেরা মার্কেটের হ্যাপি জুয়েলার্সে’র স্বত্তাধিকারী মনির মিয়া।
বিশ্বনাথে অবৈধ কারেন্ট জাল-মাছের পোনা বিক্রি করায় জরিমানা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত কারেন্ট জাল ও অবৈধ পোনা মাছ বিক্রির দায়ে ১২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এসময প্রায় ২.২৫ কেজি কারেন্ট জাল জব্দ করে ধংস করা হয় এবং প্রায় ৪৪ কেজি পোনামাছ জব্দ করে ২টি এতিমখানায় দেয়া হয়। আজ বুধবার বিকেলে উপজেলা সদরের পুরান বাজার ও নতুন বাজারে এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা-তুজ-জোহরা। আদালত পরিচালনাকালে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম ভূইয়া ও থানার একদল পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ অনুযায়ী নিষিদ্ধ ঘোষিত কারেন্ট জাল বিক্রি করার কারণে জাহেদ ষ্টোর’কে পাঁচ হাজার টাকা টাকা জরিমানা এবং ২.২৫ কেজি কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। অবৈধভাবে দেশীয় প্রজাতির ৯ ইঞ্চির নিচের কালি বাউস, ঘনিয়া, মৃগেল, রুই ইত্যাদি পোনামাছ বিক্রি করায় মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ অনুযায়ী মৎস্যজীবি সুনু মিয়াকে তিন হাজার টাকা, জমসিদ আলীকে তিন হাজার টাকা, সেলিম উদ্দিন এক হাজার টাকা জরিমানা এবং প্রায় ৪৪ কেজি পোনামাছ জব্দ করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বর্নালী পালের উপস্থিতিতে উপজেলা পরিষদ মাঠে জব্দকৃত কারেন্ট জাল ধংস এবং জব্দকৃত মাছের পোনা এতিমখানায় বিলি করা হয়।