বৃহস্পতিবার ● ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ১২ দিন পর সাংবাদিক পুত্র উদ্ধার
১২ দিন পর সাংবাদিক পুত্র উদ্ধার
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: অবশেষে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর থানা পুলিশের সফল অভিযানে দীর্ঘ ১২ দিন পর সাংবাদিক পুত্র উদ্ধার হয়েছে। এ নিয়ে কোটচাঁদপুর এলাকায় ফিরে এসেছে জনমনে স্বস্তি। গত ২২ শে আগষ্ট বৃহস্পতিবার কোটচাঁদপুর উপজেলার জাতীয় পত্রিকা দৈনিক ভোরের দর্পণ এর বিশিষ্ট সাংবাদিক আনোয়ার জাহিদ জামান হোসেন এর ৩য় পুত্র প্রতিবন্ধী মোঃ রনি (০৯) কে অপহরন করে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। অপহরন করার পরে এলাকা জুড়ে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছিল। আতঙ্কে ছিল জেলার সাংবাদিক মহল, সাংবাদিক জামান ও তার পরিবার। এই ঘটনায় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, নিউজ পোর্টাল, ফেসবুক সহ গনমাধ্যমে ব্যাপকহারে সংবাদটি ছড়িয়ে পড়লে কোটচাঁদপুর থানায় গত ২২/০৮/২০১৯ ইং তারিখে একটি সাধারণ ডায়রী হয়। যাহার নং-৯২৫। পরে গত ইং ২২/০৮/২০১৯ তারিখে সাংবাদিক জামান নিজে বাদী হয়ে ঝিনাইদহ জজ কোর্টে ১৫৬ (৩) ধারা মতে একটি অপহরন মামলা দায়ের করেন। কোর্ট পিটিশন নং- ৫৩/১৯। ঝিনাইদহ বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এফ আই আর হিসাবে গ্রহন করে আসামীকে গ্রেফতার করার নির্দেশ প্রদান করে। থানার এফ আই আর নং-০২, তারিখ-০২.০৯.২০১৯। কোর্ট জিআর ১৫৭/২০১৯ ধারা ৩৬৪(ক)/৩৪ দন্ড বিধি মোতাবেক কোটচাঁদপুর থানার ওসি মাহাবুব আলম মামলাটি এজাহার হিসাবে গ্রহন করে থানার এস,আই ওয়াহেদকে নির্দেশ প্রদান করে আসামীকে গ্রেফতারের জন্য। গত ০৩/০৯/২০১৯ ইং তারিখ গভীর রাতে সাংবাদিক জামানের সাবেক স্ত্রী শারমিন আক্তার রুমি (৩৬) এর ছোট ভাই মামুন হোসেন (৩২) কে তার যশোরের শার্শার লক্ষণপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেন। সে সময় সাংবাদিক জামান এর সন্তান রনিকে উক্ত বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। ০২/০৯/২০১৯ ইং তারিখ মঙ্গলবার কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ গ্রেফতারকৃত আসামী মামুন ও ভিকটিম রনিকে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করেন। পরে বিজ্ঞ বিষয়টি পর্যালোচনা করে ভিকটিম রনিকে তার পিতা জামানের জিম্মায় হস্তান্তর করেন ও আসামী মামুনকে জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। সাংবাদিক জামানের বিশিষ্ট আইনজীবি ছিলেন শ্রী গৌতম কুমার বিশ্বাস। আদালত সূত্রে জানা গেছে, কোটচাঁদপুর আদর্শ পাড়ার জামানের বাড়ীর পশ্চিম পাশে জনৈক আতিয়ার ডাক্তারের খোলা জমিতে রনি খেলাধুলা করা অবস্থায় অজ্ঞাতনামা ০৪/০৫ জন আসামী একটি সাদা মাইক্রোবাসে আসিয়া বোরখা পরা ও মুখে মুখোস দেওয়া অবস্থায় বাদী জামানের ছেলের মুখে অজ্ঞান করা জাতীয় পদার্থ ধরিয়া মাইক্রোবাসে উঠাইয়া পশ্চিম পাশ দিয়ে হাই রোডের দিকে চলে যায়। বাদীর বড় কন্যা ফারহানা আক্তার রানী ঘটনা দেখতে পাইয়া চিৎকার দিয়ে বাড়ীতে এসে তার দাদী মোছাঃ আনোয়ারা খাতুন কে বলিলে তারা ঘটনাস্থলে যেতে যেতে আসামী বাদীর নাবালক পুত্র রনিকে অপহরণ করিয়া লইয়া যায়। বাদীর বড় কন্যা তার পিতাকে মোবাইলে সংবাদ দিলে বাদী দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে সাক্ষী ও আশেপাশের লোকদের নিকট ঘটনার বিষয়ে অবগত হইয়া আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করিয়া রনিকে না পাইয়া কোটচাঁদপুর থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেন। গ্রেফতার হওয়া আসামীকে মামলার ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সে মামলার ঘটনার সহিত জড়িত থাকার কথা স্বেচ্ছায় স্বীকার করেছেন বলে এস,আই ওয়াহেদ সাংবাদিকদের জানান। তিনি আরও জানান, উক্ত আসামী অত্র মামলার ঘটনার সহিত জড়িত থাকার জোর প্রমাণ মিলেছে। আসামীর বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত রহিয়াছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামলার তদন্ত কার্যক্রম সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত ধৃত আসামীকে জেল হাজতে আটক রাখার জন্য বিজ্ঞ আদালতে সুপারিশ করেছেন।