শনিবার ● ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » শৈলকুপা পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে ব্যাপক গ্রাহক হয়রানি
শৈলকুপা পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে ব্যাপক গ্রাহক হয়রানি
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের শৈলকুপা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান ফটকে ঝুলছে দুর্নীতি ও হয়রানী বিরোধী সাইনবোর্ড। আছে গ্রাহককে প্রলুদ্ধ করা কত বিলবোর্ড আর স্টিকার। অথচ এর আড়ালেই চলছে গ্রাহক হয়রানীর মচ্ছব। গ্রাহক হয়রানি, অনিয়মিত সেবা, অবৈধ জরিমানা আদায়, ভূয়া বিল তৈরি, রাতের আধারে ট্রান্সফরমার সরিয়ে কৃত্রিম জনভোগান্তি সৃষ্টি করে গ্রাহকদের নিকট থেকে অর্থ আদায়সহ অসংখ্য অভিযোগের পাহাড় জমলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না গ্রাহকরা। ফলে তারা নিরুপায় হয়ে দুদক অফিসে অবিযোগ করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাকিমপুর ইউনিয়নের বাদাপাড়া গ্রামের আকবার আলী নিয়মিত বিকাশের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করতেন। মোবাইলে তার ম্যাসেজ রেকর্ড আছে। গত জুলাই মাসে অফিসের লাইনম্যান বিকাশের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করার সিস্টেম নেই এই অজুহাতে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। কাঁচেরকোল ইউনিয়নের উত্তর কচুয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মাসুদ রানার নিকট থেকে ইজিবাইক চার্জ দেওয়ায় মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। কীর্ত্তিনগর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক জানান, তার বাড়িতে পানির মটর গৃহস্থালী কাজে ব্যবহার করা হয়। দুই মাস আগে গরুর গোয়াল পাইপ দিয়ে পরিস্কার করার সময় অফিসের লোকজন এসে সাইড লাইনের অজুহাত দেখিয়ে জরিমানা আদায় করেন। নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের ভান্ডারী পাড়া গ্রামের আব্দুল মতিন নিজের ইজিবাইক চার্জ দেওয়ার কারণে তার মিটারটি আবাসিক থেকে বানিজ্যিক করা হয়। সেই থেকে প্রায় তিন বছর নিয়মিত ইজিবাইক চার্জ ও বাণিজ্যিক হিসাবে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছিল। গত ৩১ জুলাই হঠাৎ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজন এসে মতিনের বাড়ির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটারটি খুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে মৌখিক ভাবে ৯৩ হাজার টাকা জরিমানা দিতে বলেন। গত ২৮ আগস্ট মতিন এ নিয়ে ঝিনাইদহ অফিসে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করায় শৈলকুপা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মোঃ কামরুজ্জামান ক্ষুদ্ধ হয়ে জরিমানা হিসেবে ৬৯ হাজার ৯শ ৪৪ টাকা আদায়ের জন্য নোটিশ দেন। এ ভাবে শৈলকুপার গ্রাহকদের হয়রানী করে শৈলকুপা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কতিপয়কর্মকর্তা ও কর্মচারী তাদের অতিষ্ঠ করে তুলেছেন। বিষয়টি নিয়ে শৈলকুপা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মোঃ কামরুজ্জামান জানান, শৈলকুপায় কোন গ্রাহক হয়রানী হচ্ছে না। প্রতিটি পদক্ষেপ আইন মোতাবেক হচ্ছে। তাছাড়া ভান্ডারীপাড়া গ্রামের আঃ মতিনের মিটার থেকে বাইপাস করে ইজিবাইক চার্জ দেয়া হতো বলে সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ জরিমানা করা হয়েছে। বাণিজ্যিক মিটারে কেনো ইজিবাইক চার্জ দিতে পারবে না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে ফোন রেখে দেন।
ঝিনাইদহে পানির অভাবে সোনালী আঁশ এখন কৃষকের গলায় ফাঁস
ঝিনাইদহ :: ধানের লোকসান পোষাতে পাট চাষে ঝুঁকেছিলেন ঝিনাইদহ জেলার কৃষকরা। কিন্তু চলতি বছর এ উপজেলায় তেমন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় অধিকাংশ মাঠ জুড়ে দন্ডায়মান রয়েছে কৃষকের ক্ষেতের পাট। বৃষ্টির পানির অভাবে অধিকাংশ কৃষক পাট জাগ দিতে পারছে না। ফলে অনেক কৃষক ক্ষেতে পাট কেটে ফেলে রেখেছে। আবার অনেকে ক্ষেতের পাট এখনো কাটেনি। যার কারণে ক্ষেতেই কৃষকের দন্ডায়মান ও কেটে রাখা পাট শুকিয়ে যাচ্ছে। পানির অভাবে সোনালী আঁশ এখন কৃষকের গলায় ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ১ হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। উপজেলার ৮৫০ জন কৃষক ১ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করেছেন। ফলে লক্ষমাত্রার চেয়ে এবার ৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ বেশি হয়েছে। উপজেলার বুজরুখমুন্দিয়া গ্রামের কৃষক ইউনুচ আলী জমাদ্দার বলেন, তিনি বৈশাখ মাসে দেড় বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেন। বীজ, সার, কীটনাশক পরিচর্যাসহ তার প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রায় এক থেকে দেড় মাস আগে পাট কাটার মত অবস্থা হয়ে যায়। কিন্তু বৃষ্টির পানির অভাবে পাট কাটতে পারেননি। কারণ বৃষ্টি না হওয়ায় এলাকার পুকুর, খাল বিল, খানা গর্ত কোন স্থানেই পানি নেই। যার কারণে পাট জাগ দিতে পারছে না। তিনি অর্ধেক জমির পাট কেটে ক্ষেতে ফেলে রেখেছে আর অর্ধেক পাট এখনো জমিতে দন্ডায়মান রয়েছে। কৃষক সব্দুল হোসেন জানান, তিনিও ২ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছেন। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় পুকুর খাল বিল খানা গর্তে কোন স্থানে পানি জমেনি। যার কারণে পাট জাগ দিতে পারেনি। বর্তমানে পাট শুকিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো জানান, বাজারে প্রথম দিকে ১৫,শ থেকে ১৮,শ টাকা মণ দরে পাট বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু এখন দাম কমে এসেছে। বর্তমানে ১২শ থেকে ১৩শ টাকা মণ দরে পাট বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য গত বছর পাটের বাজার ভাল ছিল। আমরা আশা করেছিলাম ধানের লোকসান কিছুটা হলেও পাট থেকে তুলে নিব। কিন্তু পানির অভাবে এখন পাটই কাটতে পারছি না। ভালভাবে পাট জাগ দিতে না পারলে তাতে পাটের রং ভাল আসবে না। দামও পাবো না। বর্তমানে পাট নিয়ে আমরা চিন্তায় আছি। বুজিডাঙ্গা গ্রামের পাট চাষী আশাদুল ইসলাম জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর বাজারে পাটের দাম অনেক কম। এবার পাট চাষ করে বিপদে পড়েছি। ধানের দাম পায়নি, এবার পাটের দামও পাবো না। তিনি আরো জানান, ১০ কাঁটা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম। তাতে প্রায় ৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় পুকুর খালে পানি জমেনি। পানির অভাবে স্যালোমেশিন দিয়ে পুকুরে পানি ভর্তি করে পাট জাগ দিবো। ঘন্টা চুক্তিতে পানির দাম দিতে হচ্ছে। ১শ বান্ডিল (১২ থেকে ১৫টিতে একটি বান্ডিল) পাট চিকাতে (ছুলতে) ৩,শ টাকা করে দিতে হবে। সব খরচ খরচা বাদে পাটে লোকসান গুনতে হবে। উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান জানান, এবার লক্ষামাত্রার চেয়ে পাটের আবাদ বেশি হয়েছে। কিন্তু পাট পঁচানোর জন্য গ্রামাঞ্চলে যে পরিমান পানি থাকার কথা সে পরিমান পানিই নেই। এখন কৃষকরা গর্তের মধ্যে স্যালোমেশিনের মাধ্যমে পানি দিয়ে পাট পঁচাচ্ছে। তাতে পাটের মান নিম্ন মানের হচ্ছে। তিনি আরো জানান, ভাল পাট বাজারে ১৮.শ থেকে ১৯,শ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু কোয়ালিটি খারাপ হলে সে পাটের দাম কম পাওয়া যাচ্ছে।
‘আমার জীবন বাঁচাতে প্রয়োজন মাত্র ২লক্ষ টাকা
ঝিনাইদহ :: বয়স যখন পাঁচ তখন বাবা মাকে হারিয়েছেন। এর পর ভাই-বোন আত্বীয় স্বজনদের কাছে বড় হয়েছে। কিন্তু তাদের অবস্থাও স্বচ্ছল না হওয়ায় খুব অল্প বয়সেই একমাত্র বোনকে নিয়ে ধরতে হয়েছে সংসারের হাল। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ধোপাবিলা গ্রামের মৃত মসলেম মিয়ার ছেলে, রিজাউল ইসলাম (৩৪)। পেশায় দিন মজুর। একমাত্র ছোট বোনকে বিয়ে দিয়ে নিজে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। বর্তমানে তার স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে সুখেই চলছিলো সংসার। কিন্তু হঠাৎ করে জুলাই মাসে বুকে তীব্র ব্যাথা অনুভব করেন তিনি। এর পর গ্রামের কবিরাজ দিয়ে ঝাড়ফুক করিয়েও কোনো কাজ না হলে, ঝিনাইদহ ক্রিসেন্ট ডায়াগনস্টিক সেস্টারে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে দেখালে বেশিকিছু টেষ্ট দেয়। এর পর সেখান থেকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানেও অনেক গুল টেষ্ট করিয়েও ডাক্তার কোনো রোগ ধরতে পারেন নি। পরবর্তীতে রিজাউল ইসলাম ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে দেখালে ডাক্তার রিপোর্ট দেখে শণাক্ত করেন হার্টে দুইটি ব্লক আছে তার। দ্রুত অপারেশন করে রিং পরাতে হবে। আর এ অপারেশন করতে প্রয়োজন দুই লক্ষ টাকা। যা দিনমজুর রিজাউল ইসলামের পক্ষে যোগার করা কষ্টসাধ্য। প্রতিবেশী মসলেম মিয়া জানান, সারাজীবন মানুষের ক্ষেতে কাজ করেছেন রেজাউল। জীবনের মাঝ পর্যায়ে এসে এমন অসঙ্গতি সত্যিই মর্মান্তিক। তাছাড়া রেজাউলের ছেলে মেয়ে সবাই এখনো শিশু। রিজাউল ইসলমের খালাত বোন রেহেনা পারভিন বলেন, তিন বছর বয়েসে রেজাইল মাকে হারায় তার দুই বছরের মাথায় বাবাও মারা জায়। এর পর আত্বীয় স্বজনদের কাছে বড় হয়েছে। তিনি জীবনভর অনেক সংগ্রাম করেছেন। তার ভেতরের কষ্টের কাহিনি কেউ জানে না। আর এসব বলাও যায় না। তার চিকিৎসার জন্য সমাজের হৃদয়বান মানুষগুলোর সহযোগিতা চাচ্ছি। যন্ত্রণা দেখে নিজেও কেঁদেছি। আর পারছি না তার যন্ত্রণা দেখতে। রিজাউল ইসলাম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমাকে বাঁচান ভাই আমার কেই নেই ভাই। ডাক্তার বলেছে আমার টার্টে দুইটা ব্লক আছে দ্রুত অপারেশন করতে হবে। একদিন কাজ না করলে পরিবারের খাবার জোটে না। সেখানে দুই লাখ টাক চিকিৎসার জন্য ব্যয় করা আমার পক্ষে অসম্ভব। তিনি নিজের চিকিৎসার জন্য সবার কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি বলেন, কত মানুষ আছেন যাদের কাছে দুই লাখ টাকা কিছুই না। কিন্তু আমাদের কাছে তো কোটি টাকার সমান। সবাই যদি একটু এগিয়ে আসে তা হলে আমি সুস্থ হয়ে সন্তানদের নিয়ে বাঁচতে পারব। রিজাউল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করতে-০১৭৬৭২০০৩৯৯ (বোন), বিকাশে সহায়তার জন্য-০১৭২৪৭০৮৮০৯ (পার্সোনাল)
ঝিনাইদহ উত্তরনারায়নপুর গ্রামের ১৮ বছরের রাজু এখনো শিশু
ঝিনাইদহ :: ১৮ বছরের ইমতিয়াজ হোসেন রাজু এখনো শিশু। যে বয়সে তার কলেজে পড়ার কথা, খেলবে বন্ধুদের সাথে। অথচ সেই বয়সে এখনো মায়ের আঁচলে মুখ লুকায় রাজু। হরমোন জনিত কারণে রাজুর শারীরীর বৃদ্ধি ঘটেনি। রাজু ঝিনাইদহ সদর উপজেলার উত্তরনারায়নপুর গ্রামের মনিরুজ্জামান মিঠুর ছেলে। তা শরীরের উচ্চতা ৪ ফুট। চলা ফেরা কথাবার্তা একেবারেই শিশুর মতো। এদিকে পেশায় দর্জি মনিরুজ্জামান মিঠু ছেলের চিকিৎসার জন্য সাধ্যমতো অনেক কিছুই করেছেন। কিন্তু কোন সাফল্য পান নি। আর এ চিকিৎসা করাতে গিয়ে দার্জি পিতার সবকিছুই শেষ হয়ে গেছে। এখন তার বসত বাড়ির ভিটে ছাড়া কোন জায়গা জমিই নেই। রাজুর মা জানান, ছোট অবস্থায় সে খুব কান্না কাটি করতো। হাটা শিখছে এমন অবস্থায় তার শরীরে মাংস পেশি শক্ত হতে থাকে। এরপর ডাক্তারের কাছে নেওয় হয়, কিছু দিন চিকিৎসা করানো পর অর্থের অভাবে থেমে যায় তার চিকিৎসা। গত বছর ভারতের চিকিৎসক শুভদ্বীপ পরামানিকের কাছে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। ডাক্তার জানিয়েছে তার শরীরের হরমন জনিত কারনে এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আরও আগে থেকে চিকিৎসা করাতে পারলে ভালো হত। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ অলোক কুমার সাহা জানান, সাধারণত জন্মের ১৫ দিন প থেকে এ সব রোগীর চিকিৎসা শুরু করাতে পারলে ভাল হয়। এখন তার বয়স ১৮ বছর। এ অবস্থায় তার শারীরিক বৃদ্ধি ঘটানো প্রায় অসম্ভব। স্থানীয় সাগান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল মামুন জানান, আমি ছেলেটির সম্পর্কে শুনেছি। কাগজপত্র দিলে আমি তাকে প্রতিবন্ধি ভাতা করে দেব।
মধুহাটি ইউনিয়ন এখন নিরাপদ স্থান ছড়িয়ে আছে অপার সৌন্দর্য
ঝিনাইদহ :: গ্রাম হবে শহর। মাননীয় প্রধান মন্ত্রির এ ঘোষনাকে বাস্তবায়ন করতে কাজ করে চলেছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন জুয়েল। জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা থেকে ২৪ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত মধুহাটি ইউনিয়ন। শহরের পাগলা কানাই সড়ক দিয়ে ইউনিয়নে প্রবেশ করতেই দেখা মিলবে ইউনিয়নের সীমানা স্থাপত্য। এখান থেকে মাত্র আড়াই কিলোমিটার দুরেই সদর উপজেলার ২নং মধুহাটি ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়ন পরিষদে প্রবেশ করতেই সামনে পড়বে পানির ফোয়ারা, বন হাঁস, লাভবার্ডসহ নানান ধরনের প্রানীর ভাস্কর্য ও ফুল। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি গ্রামের নামে ইউনিয়ন পরিষদ হলেও এটা বাজার গোপালপুর গ্রামে অবস্থিত। ১৯৮৮ সালে ভুমি জরিপ রেকর্ড থেকে জানা যায়, ১৫ নং মওজাটি গোপালপুর নামে পরিচিত। পরবর্তিতে বাজারটির কারনে বাজার গোপালপুর নামে পরিচিতি পায়। স্থানটি ইউনিয়নের প্রানকেন্দ্র বলেই জানেন এলকাবাসি। বর্তমানে বাজারটিতে আধুনিকথার ছোঁয়া লেগেছে। ২নং মধুহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন জুয়েল বাজারের ব্যবসায়ি, ক্রেতাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলোতে সিসি ক্যামেরা, রাতে বাজারের সৌর আলোর স্থাপন করেছেন। বাজারের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে মেইনস্টান্ডে পায়রা চত্ত্বর, পশ্চিম পাশের প্রবেশ পথে দোয়েল চত্ত্বর এবং দক্ষিণ পাশে ডলফিন নির্মান করা হয়েছে। ইউনিয়নের গ্রামগুলোর গুরুত্ব বিবেচনা করে আগে কৃষকদের জন্য বিশ্রামাগার, টিউবওয়েল এবং নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পুলিশ টুল বক্স নির্মান করা হয়েছে। এবিষয়ে ২নং মধুহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যা ফারুক হোসেন জুয়েল বলেন-তবে ব্যবসায়িদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাজার গোপালপুর ইউনিয়নের দ্বিতীয় হাট। বাজারের প্রতিষ্ঠা কালিন কোন ব্যবসায়ি আজ অবধি বেঁচে নেই। তবে পাকিস্থান আমলে বাজারটির অবস্থান ছিল। বর্তমানে ঝিনাইদহের মধুহাটি ইউনিয়নের বাজার গোপালপুর সৌন্দর্য ও নিরাপদ জায়গা বলে দাবি করেন এলাকাবাসি।
শৈলকুপায় গৃহবধু হত্যার অভিযোগ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সামিয়া খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধুর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। শনিবার ভোররাতে ওই উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সামিয়া খাতুন কাজীপাড়া গ্রামের আবু বক্করের ছেলে ইদ্রিস আলীর স্ত্রী ও একই উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের কামান্না গ্রামের মৃত আরব আলীর কন্যা। নিহত সামিয়ার ভাই আয়ুব হোসেন জানান, ৪ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে ইদ্রিসের সাথে সামিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের ৩ বছর পর সামিয়ার গর্ভে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। তার নাম রাখা হয় জিসান। বিয়ের পর থেকে সামিয়ার পরিবারের কাছে যৌতুক দাবি করে প্রায়ই শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে আসছিল ইদ্রিস। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার সন্ধায় স্বামী ইদ্রিস আলী ও তার পরিবারের লোকজন তাকে শারীরিক নির্যাতন করে গলাই রশি দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার চেষ্টা করে। এসময় সামিয়ার আত্ম-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। সামিয়ার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পর স্বামী ও তারপরিবারের লোকজন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, ইদ্রিসের পরিবারের লোকজন সামিয়ার ছেলে জিসানকে আত্মগোপণ করে রাখা হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। শৈলকুপা থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) ফজলুর রহমান জানান, পারিবারিকভাবে যৌতুক দেওয়া নিয়ে দ্বন্দ চলে আসছিল। এমনকি গতকাল সামিয়াকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে সামিয়া খাতুন নির্যাতন সইতে না পেরে গলাই রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্টের পর জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শৈলকুপা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন
ঝিনাইদহ :: শৈলকুপা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল বিকালে প্রেসক্লাবের অস্থায়ি কার্যালয়ে আলোচনার মাধ্যমে এম হাসান মুসা সভাপতি ও শাহীন আক্তার পলাশ কে সাধারণ সম্পাদক করে ২৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে মফিজুল ইসলাম ও শামীম বিন সাত্তার, যুগ্ম সম্পাদক নোমান পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল জাব্বার, অর্থ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক ওয়ালিউল্লাহ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তুহিন জোয়ার্দ্দার, ক্রিড়া সম্পাদক এসএম শাজাহান আলী। নির্বাহী সদস্য পদে আবদুল ওহাব, এম রহমান, তাজনুর রহমান ডাবলু, এছাড়াও সাধারণ সদস্য পদে রয়েছেন আকমল হোসেন, চঞ্চল মাহমুদ, রামীম হাসান, আবিদুল ইসলাম এএসএম আলীমুজ্জামান, আবদুল মান্নান, মিরাজুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, এম আসমত আলী মিশু, আবুল বাশার মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম, পত্রিকার শাহিদুল ইসলাম বিপুল ও সুজন বিশ^াস।