মঙ্গলবার ● ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » ঢাকা » শোকাবহ আগষ্টে মাসব্যাপি কর্মসূচী পালন করেছে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ
শোকাবহ আগষ্টে মাসব্যাপি কর্মসূচী পালন করেছে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ
লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল :: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০১৯ উপলক্ষে মাসব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ।
১ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত মাসব্যাপি কর্মসূচীর মধ্যে ছিলো বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন প্রচারাভিযান।
১ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল এর নেতৃত্বে ৩২ ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা শেষে মাসব্যাপি কর্মসূচির উদ্বোধন করেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের মহাসচিব আতা উল্লাহ খান। সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সমমনা বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনা সভায় উদ্বোধক হিসেবে এডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় সম্পদ।
১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধীচক্র বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। যা বাঙালি জাতির জন্যে শোকাবহ ও বেদনার। বঙ্গবন্ধু চিরদিন বেঁচে থাকবেন বাঙালির হৃদয়ে অন্তরে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সর্বস্তরে সঞ্চারিত ও প্রসারিত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হচ্ছে মানবতার জন্যে সততা, দক্ষতা ও দেশপ্রেমের সাথে কাজ করা। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে সকলকে সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের সকল শক্তি ও প্রেরণার উৎস। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মৃত্যুঞ্জয়ী। তিনি নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর চর্চা আরো বাড়াতে হবে।
তিনি সরকারি উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু গবেষণা ইনষ্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করার জন্যে দাবি জানিয়ে বলেন, টেকসই উন্নয়ন ও নিরাপদ সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্যে দেশের সর্বস্তরের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩ আগস্ট বিকেলে ঢাকার সেগুনবাগিচাস্থ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জুম বাংলাদেশ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ও উন্নত জাতি গঠন করতে শিশুদেরকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তুলতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় সম্পদ। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী দেশী ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্তে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তারা হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মৃত্যুঞ্জয়ী। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর আদর্শ চিরদিন বেঁচে থাকবে বাঙালির হৃদয়ে অন্তরে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু চর্চা বা গবেষণা আরো বাড়াতে হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশের সর্বস্তরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, জাতীয় স্বাধীনতা পাটির চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান মিজু, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার যুগ্ম সম্পাদক আনন্দ কুমার সেন, সংগঠনের চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান সউদ, সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেন ও জুম বাংলাদেশ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক এস.টি শাহিন প্রধান।
আলোচনা শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও দেশ-জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের ৭০তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ৫১,৫১/এ পুরানা পল্টন, ঢাকায় এক আলোচনা সভা দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াঙ্গণে উজ্বল নক্ষত্র ছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতি বিকাশের মাধ্যমে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। তিনি আবাহনী ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি একজন দক্ষ সমাজ, সাংস্কৃতি ও ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। তিনি নিরহংকার, নির্লোভ, মেধাবী ও দেশপ্রেমিক একজন তরুণ ছিলেন। কিন্তু জাতির দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালের
১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সপরিবারে তাকে হত্যা করা হয়। তিনি আরো বলেন, বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে শেখ কামালের আদর্শ- গুণাবলী অনুসরণ-অনুকরণ এবং হৃদয়ে ধারণ করা অপরিহার্য। তিনি শেখ কামালের জীবনীমূলক লেখা পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানান। অনুষ্ঠানে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৮ আগস্ট সকালে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে ‘বঙ্গমাতা, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ডাঃ শহীদুল্লাহ সিকদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইল। আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের মহাসচিব আতাউল্লাহ খান, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাত আলী খান জিন্নাহ, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান মিজু, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক হারিছ হাসান সাগর, বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরামের মহাসচিব মোঃ আতাউর রহমান প্রমুখ। আলোচনা শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও দেশ-জাতির শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন, হাফেজ মাহাথির হাসান। অনুষ্ঠানে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সমমনা বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন বঙ্গবন্ধুর প্রেরণা ও শক্তির উৎস। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ধারক ও বাহক ছিলেন। বাঙালি জাতির সুদীর্ঘ স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি বঙ্গবন্ধুকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছিলেন। বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অভিন্ন ও অবিচ্ছেদ্য। নতুন প্রজন্মকে ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের গুণাবলি ও আদর্শ অনুসরণ ও অনুকরণ করতে হবে। তার জীবনীমূলক লেখা পাঠ্যপুস্তকে আরো অধিক লিপিবদ্ধ করতে হবে। ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ত্যাগ ও অবদান বাঙালির ইতিহাসে অম্লান হয়ে থাকবে।
বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ ১৫ আগস্ট দিনব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার ভোরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারন, সকাল ৮ টায় বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল এর নেতৃত্বে ৩২ ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, শ্রদ্ধা নিবেদন ও বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে সমাবেশ ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর আদর্শ বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় সম্পদ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ দেশের সর্বস্তরে বাস্তবায়নে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদমুক্ত নিরাপদ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ ও অনুকরণ করা অপরিহার্য। তিনি আরো বলেন, নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তুলতে হবে। এই লক্ষ্যে পাঠ্যপুস্তকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জীবনীমূলক লেখা আরো অধিক অন্তর্ভূক্ত করা প্রয়োজন। আলোচনা সভায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বিকাল ৪ টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ৫১, ৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকায় ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা ও বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মিছবাহুর রহমান চৌধুরী। আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গণআজাদী লীগের মহাসচিব আতাউল্লাহ খান, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাত আলী খান জিন্নাহ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম.এ জলিল, ন্যাপ-ভাসানীর চেয়ারম্যান এম.এ ভাসানী, জয়বাংলা মঞ্চের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, আওয়ামী প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনউদ্দিন পাঠান, দৈনিক বঙ্গজননী পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক বীরমুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান জিয়া প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সর্বস্তরে বাস্তবায়ন করতে সকলকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু ও তার আদর্শ বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় সম্পদ। কিন্তু পরিতাপের বিষয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যার অপচেষ্টা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মৃত্যুঞ্জয়ী। এই আদর্শকে নতুন প্রজন্মসহ সকলের হৃদয়ে অন্তরে ধারণ করতে হবে। মানবিক ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসরণ ও অনুকরণ করা অপরিহার্য। সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদমুক্ত নিরাপদ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে সর্বস্তরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে হবে। আলোচনা শেষে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও দেশ-জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল।
বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে ২৪ আগস্ট শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব আবদুস সালাম মিলনায়তনে (৩য় তলায়) অনুষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্ববন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর কর্মে আজ বিশ্ববন্ধুতে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি জাতিসংঘ বঙ্গবন্ধুকে বিশ্ববন্ধু উপাধি দেয়াতে বঙ্গবন্ধু আজ বিশ্বব্যাপি স্বীকৃত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাঙালি জাতির পিতা নন, তিনি বিশ্ব মানবতার নেতা। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ জাতিসংঘের ইউনেস্কো পৃথিবীর সকল নির্যাতিত মানুষের মুক্তির সনদ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতি অর্জন করেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ৪৪ মাসের মধ্যে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্বাধীনতা বিরোধী চক্র বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। এই হত্যাকান্ডের সাথে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে যারা সরাসরি জড়িত ছিল তাদের বিচার হয়েছে। কিন্তু এই হত্যাকান্ডের পিছনে জিয়াউর রহমানসহ যারা জড়িত ছিল তাদের বিচার এখনও হয়নি। এই হত্যাকান্ডের পিছনে যারা জড়িত ছিল তাদের অবশ্যই সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর আদর্শ বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় সম্পদ। দেশের সর্বস্তরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দেশের সর্বস্তরে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। তবে বঙ্গবন্ধু গবেষণা বা চর্চা আরো বাড়াতে হবে। নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তুলতে হবে। বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর অন্যতম সদস্য জননেতা মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম শামসুন্নাহার ভূঁইয়া এমপি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইল, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড এর ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর বেপারী। মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু আজীবন মানবতার কল্যাণে কাজ করেছেন। তাঁর রাজনীতি ছিল মেহনতি মানুষের জন্যে। তিনি সর্বদা মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। সভাপতির বক্তব্যে লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন পরিশুদ্ধ মানুষ ছিলেন। মানবিক গুণাবলি বিকশিত ও প্রসারিত করতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বাস্তবায়ন প্রয়োজন। তিনি প্রত্যেককে বঙ্গবন্ধুকে জানতে ও নতুন প্রজন্মকে তা জানানোর জন্যে আহ্বান জানান।
বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান সউদ এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কবি আব্দুল খালেক, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান এম এ ভাসানী, কবি নাহিদ রোখসানা, ডিসিসি দক্ষিণের ৩৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক হারিছ উদ্দিন চৌধুরী সাগর, ঢাকা চিকিৎসা বিজ্ঞান জেলা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ডাঃ শরীফ ইসলাম, ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মঞ্জুরুল আলম টিপু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদেরকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নারীনেত্রী আইভী রহমানসহ শহীদদের ও ১৯৭৫’র ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও দেশ-জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।
বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল এর নেতৃত্বে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি সমাবেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলায় শহীদদের প্রতি ২১ আগস্ট বুধবার সকাল ১০টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ নির্মিত বেদিতে পুস্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল ইসলাম তালুকদার, নির্বাহী সদস্য মোঃ মাসুদ আলম, সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোঃ নুরুল ইসলাম বাবুল, পলাশ চৌধুরী, মোঃ আরিফুজ্জামান, হুমায়ুন কবির হিমু প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূণ্য করতেই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ইতিহাসের জঘন্যতম বর্বরোচিত এই হত্যাকান্ড চালিয়েছিল ৭১’র পরাজিত স্বাধীনতাবিরোধীচক্র। মূলত ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাথা। তিনি আরো বলেন, আগস্টের মতো ট্র্যাজেডি যেন আর কোনদিন না আসে, সেই লক্ষ্যে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে। একুশ আগস্টের খুনীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্যে তিনি দাবি জানান।
বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ৪৩তম প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল এর নেতৃত্বে ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে ঢাকাস্থ কবির সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর কবির সমাধি প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও কবি কাজী নজরুল ইসলাম’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল ইসলাম তালুকদার, প্রচার সম্পাদক এডভোকেট খান চমন-ই-এলাহী, নির্বাহী সদস্য মোঃ মাসুদ আলম, বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রোকন উদ্দিন পাঠান, বাংলাদেশ শিক্ষা পর্যবেক্ষক সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শরীফুল ইসলাম, সংগঠনের সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেন, পলাশ চৌধুরী, মোঃ হুমায়ুন কবির হিমু, আনোয়ার হোসেন আনু প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বলেন, কবি কাজী নজরুল ইসলাম আজীবন শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির জন্যে কাজ করেছেন। মানবতার মুক্তির পাশাপাশি ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার ও সকল অপরাধের বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার ছিলেন। বাঙালি জাতি সকল আন্দোলন-অর্জনে তিনি প্রেরণা যুগিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীসহ নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও জাতীয় কবির অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। জঙ্গী-সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে নজরুল চর্চা বাড়াতে হবে। পাঠ্যপুস্তকে নজরুল বিষয়ক লেখা আরো অধিক অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, কবি কাজী নজরুলের রচনাবলি বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের মাসব্যাপী কর্মসূচির সমাপনী উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ও মানবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ৩১ আগস্ট শনিবার সকাল ১০.৩০ টায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর অন্যতম সদস্য জননেতা মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু। বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা ও বাংলাদেশ ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর বেপারী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্যতম ও বর্বরোচিত। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত দেশী-বিদেশী স্বাধীনতা বিরোধীচক্র এই হত্যাকান্ড সংগঠিত করে। এই হত্যাকান্ডের বিচার বন্ধে তৎকালীন স্বাধীনতাবিরোধী অবৈধ সরকার ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে। যা পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান আইনে পরিণত করে। এই হত্যাকান্ডে জিয়াউর রহমানসহ যারা পরিকল্পনাকারী হিসেবে ছিলেন, তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ পরবর্তী দীর্ঘ সময় এদেশে মানুষের ভোটের অধিকার ও মানবাধিকার ছিল ভূলণ্ঠিত। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে ১৭ই মে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে এবং মানুষের ভোটের অধিকার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করছেন। তার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসার পর ইনডেমনিটি রহিত করায় বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার করা সম্ভব হয়েছে। এ জন্য বাঙালি জাতি জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞ।
প্রধান আলোচক হিসেবে শামসুল হক টুকু এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে কাজ করছেন। সভাপতির বক্তব্যে লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার আদর্শ বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় সম্পদ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সর্বস্তরে সঞ্চারিত ও প্রসারিত করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবশ্যক বলে তিনি মন্তব্য করেন। আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এইচ এম মেহেদী হাসান, বঙ্গবন্ধু একাডেমি মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ।আলোচনা শেষে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও দেশ-জাতির সমৃদ্ধি কামনা করেন বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
লেখক পরিচিতি : লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল
(শিক্ষক, কলাম লেখক, সমাজসেবক ও সংগঠক)
সভাপতি, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি।
ফোন : ০১৫৫২৬৩১১১৮, ০১৮৪২৬৩১১১৮
ই-মেইল :[email protected]
web: www.lionganibabul.org