মঙ্গলবার ● ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » কৃষি » ধান চুরির দায়ে মহেশপুর কৃষি খামারের ৪ কর্মকর্তা বরখাস্ত
ধান চুরির দায়ে মহেশপুর কৃষি খামারের ৪ কর্মকর্তা বরখাস্ত
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: অসৎ উদ্দেশ্যে প্রায় ৩ কোটি টাকা মুল্যের ১২৯ মেট্রিক টন ধান বীজ ঝিনাইদহের দত্তনগর কৃষি খামার থেকে বিক্রির জন্য যশোর পাঠানোর অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় দত্তনগর কৃষি খামারের ৩ উপ-পরিচালক যথাক্রমে গোকুলনগর খামারের তপন কুমার সাহা, করিঞ্চা’র ইন্দ্রজিৎ চন্দ্র শীল ও পাথিলা কৃষি খামারের আক্তারুজ্জামান তালুকদারকে সামিয়ক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সাথে যশোর বীজ পক্রিয়াজাত কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মোঃ আমিন উল্যাকেও বরখাস্ত করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিএডিসির সচিব আব্দুল লতিফ মোল্লা সোমবার সাক্ষরিত এক চিঠিতে এই আদেশ দেন। বিএডিসির ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সচিব আব্দুল লতিফ মোল্লা সাক্ষরিত ১২.০৬.০০০০.২০৩.২৭.২৮৩.১৯.৭২১/৭২২/৭২৩ ও ৭২৪ নং স্মারকের চিঠিতে বলা হয়েছে বিধি বহির্ভূতভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে স্বীয় স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য গোকুল নগর, পাথিলা ও করিঞ্চা বীজ উৎপাদন খামারে ২০১৮/১৯ উৎপাদন বর্ষে কর্মসুচি বহির্ভুত অতিরিক্ত ১২৯.২২ মেট্রিক টন এসএল-৮এইচ হাইব্রীড জাতের ধান বীজ পক্রিয়াজাত কেন্দ্র যশোরে প্রেরণ করেছেন। আপনি/আপনারা অতিরিক্ত বীজ উৎপাদনের পরিমান নিয়মানুযায়ী মজুদ ও কাল্টিভেশন রেজিষ্ট্রারে লিপিবদ্ধ করেন নি। এমন কি অতিরিক্ত কোন বীজ প্রেরণের কোন চালান বা তথ্য প্রমান খামারে রাখেন নি। আপনার উক্ত ধান বীজ অসৎ উদ্দেশ্যে নিজেরা আত্মসাৎ করার জন্য সংরক্ষন ও উৎপাদন বিষয়ক প্রকৃত তথ্য গোপন করেছেন মমেূ প্রতিয়মান হয়। যেহেতু আপনাদের এহেন কার্যকলাম বিএডিসি কর্মচারী চাকরী প্রবিধানমালা ১৯৯০ এর ৩৯ (ক)(খ)(চ) দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অসদাচারণ, চুরি, আত্মসাত, হতবিল তছরুপ ও প্রতারণার সামিল। ফলে আপনি বা আপনাকে ১৯৯০ এর ৪৫ (১) বিধি মোতাবেক সংস্থার চাকরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে অতিরিক্ত মহা ব্যবস্থাপন (খামার) বিএডিসি ঢাকা দপ্তরে সংযুক্তি করা হলো। এই সময়ে সাময়িক বরখাস্তকালীন বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন এবং কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারেন না। উল্লেখ্য ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর গোকুলনগর, পাথিলা ও করিঞ্চা বীজ উৎপাদন খামার থেকে কৌশলে প্রায় ৩ কোটি টাকার ১২৯.২২ মেট্রিক টন ধান চুরি করে বিক্রির জন্য পাঠানো হলে ধরা পড়ে যান ওই ৩ উপ-পরিচালক। বিষয়টি তদন্ত করতে এসে সত্যতা পান তদন্ত কর্মকর্তারা। প্রতি বছর এ ভাবে কোটি কোটি টাকার ধান বীজ পাচার করা হয় বলে খামারের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি সুত্র জানায়।