বৃহস্পতিবার ● ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » বিধিমালা প্রণয়ন হলে ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কাজের গতি বাড়বে : কমিশন চেয়ারম্যান
বিধিমালা প্রণয়ন হলে ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কাজের গতি বাড়বে : কমিশন চেয়ারম্যান
ষ্টাফ রিপোর্টার :: পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন আইনের কার্য বিধিমালা প্রণয়ন না করায় পাহাড়ে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কাজে গতি আসছে না বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি (অবঃ) আনোয়ার উল হক।
তিনি বলেন, বিধিমালা প্রণয়ন হলে ভূমি বিরোধ নিস্পত্তির কাজের গতি বাড়বে। আর বিধিমালা প্রণয়ন করতে সরকারের কাছে আঞ্চলিক পরিষদ থেকে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনো বিধিমালাটি প্রণয়ন হয়নি। বিধিমালা প্রণীত হলে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির কাজ শুরু করা হবে।
১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙামাটি সার্কিট হাউজে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের পঞ্চম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিশন চেয়ারম্যান এইসব কথা বলেন।
এর আগে সকাল ১১টায় রাঙামাটি সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আনোয়ার-উল হক।
বৈঠকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, রাঙামাটি চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিষ্টার রাজা দেবাশীষ রায়, খাগড়াছড়ির মং সার্কেল চীফ সাচিং প্রু চৌধুরী, বান্দরবান সার্কেল চীফ উচপ্রু চৌধুরী, ভুমি কমিশনের সচিব মো. আলী মনসুর ও রেজিষ্ট্রার সাহাব উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকের কমিশন চেয়ারম্যান বিচারপতি (অবঃ) আনোয়ার-উল হক আরো বলেন, আগামী মাসেই ভূমি কমিশনের বৈঠকে বিধিমালা প্রনয়নে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। বিধিমালা চুড়ান্ত হলেই ভূমি কমিশনের কাজ অনেকটাই এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, যে মামলা গুলো রয়েছে তা নিস্পত্তির মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের ভূমি সমস্যা সমাধান করা হবে।
কমিশনের সদস্য চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় বলেন, কমিশনের সদস্যদের মাঝে বোঝাপড়া বৃদ্ধি পেয়েছে। আর কমিশনের কাজও আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছে। ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কাজ যেন সবার কাছে গ্রহনযোগ্য পায় তার জন্য কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। বিধিমালা প্রণয়ন হলে শুনানিতে যাওয়া হবে। আশা করি কয়েক মাসের মধ্যে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কাজ দৃশ্যমান হবে।