রবিবার ● ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » একটি সেতুর দাবীতে আন্দোলনে যাচ্ছে সুরমা পাড়ের মানুষ
একটি সেতুর দাবীতে আন্দোলনে যাচ্ছে সুরমা পাড়ের মানুষ
সিলেট প্রতিনিধি : সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার সুরমা নদীতে একটি সেতু নির্মাণের দাবীতে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সুরমাপাড়ের ১নং বাঘা ইউনিয়নবাসী। আন্দোলনে যাবার আগে তারা গণসাক্ষরকৃত একটি স্বারকপিলি স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুল ইসলামের কাছে দিবেন এমনটি জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপির বাসিন্ধা সিলেট জেলা পরিষদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সিলেট জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি স্যায়িদ আহমদ সুহেদ। উপজেলার ১নং বাঘা ইউনিয়ন থেকে উপজেলা সদরের সংযোগাস্থল বাঘা মাদ্রাসা ঘাটস্থ সুরমা নদীতে ব্রিজ নির্মাণের দাবীটি ক্রমে জোরালো হচ্ছে।
বর্তমান সরকারের শাসন আমলে সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও বাঘা ইউপির জনসাধারণের নায্য দাবীটি সব সময় থেকে গেছে উপেক্ষিত। এলাকাবাসী বার-বার স্থানীয় এমপি নুরুল ইসলাম নাহিদসহ এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাছে দীর্ঘদিন থেকে তাদের নায্য দাবীটি বাস্থবায়নের জন্য অনুরোধ জানিয়ে আসছেন। কিন্তু বারবার তাদের বিষয়টি উপক্ষীত থেকে গেছে জনপ্রতনিধিরা গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে। যে কোন নির্বাচন এলেই জনপ্রতিনিধিরা এলাবাসীকে শুনিয়েছেন দ্রুত সেতু নির্মাণের বানী। কিন্তু কবে তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ণ হবে আজও জানে না এলাকার জন সাধারণ।
সরেজমিনে জানা গেছে, গোলাপগঞ্জ উপজেলার সবচেয়ে জনবহুল ১নং বাঘা ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী কানাইঘাট উপজেলার ৯নং রাজাগঞ্জ ইউনিয়ন, শাহপরাণ থানার একাংশ সাধারণ মানুষ উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করতে শহরতলীর মুরাদপুর বাইপাস হয়ে নতুবা খেয়া নৌকা দিয়ে নদী পাড়ি দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এ যেনো একই দেশে দুটি রাজ্যের যোগাযোগ। বিশেষ করে সরকারি সব কয়টি দপ্তর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উপজেলা সদরের হওয়ায় নদীর উত্তরপাড়ের মানুষের যোগাযোগ কিংবা স্কুল কলেজে যেতে একমাত্র খেয়া নৌকাই শেষ ভরষা। বিশেষ করে বর্ষাকালে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে বাড়ে নৌ-দূর্ঘটনা আর সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তি।
বর্তমান সময়ে সরকার সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন করার এলাকাবাসীও সুরমা নদীর উপরে সেতু নির্মাণের দাবীটি জোরদার করেছেন। দাবী আদায় না হলে তারা আন্দোলনের ডাক দিবেন বলেও এলাকার লোকজন জানান।
ইউনিয়নের বাঘা মাদ্রাসা ঘাটের সুরমা নদীর উপরে সেতু নির্মাণের জন্য ইতিপূর্বে একাধিক বার মাপঝুক করা হয়েছে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে সেতুটি আজও নির্মাণ হয়নি। এলাকার লোকজন আরো বলেন, প্রতিটি সরকারী নির্বাচন কিংবা উপজেলা নির্বাচন এলেই জনপ্রতিনিধিরা সাধারণ মানুষকে সেতু নির্মাণের আশ্বাস দেন যে ‘শিগ্রই সুরমা নদীর উপরে আমাদের বহু কাংঙ্খিত সেতুটি নির্মান হবে’ আমরা সেই আশ্বাসে বার-বার আমাদের মুল্যবান ভোটটি তাদের দেই। কিন্তু নির্বাচন গেলে আর সুরমা নদীর উপরে সেতু নির্মাণ হয়না।
এবার আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের নায্যদাবী বাস্তবায়ন করবো। তার আগে আমরা স্থানীয় এমপি নুরুল ইসলাম নাহিদের সাথে দেখা করে স্বারক লিপি দিবো। বাঘা ইউনিয়নসহ আশপাশের ইউনিয়নের জনসাধারণ সেতু নির্মাণের দাবীটি বাস্তবায়নের জন্য একাধিক জনপ্রতিনিধির সাথে সাক্ষাত করেছি। তারাও বলেছেন, এমপি মহোদয়ের কাছে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন। সেতুটি নির্মান হলে উপজেলা সদরের সাথে নদীর উত্তরপাড়ের সাধারণ মানুষের কষ্ট লাগবের পাশাপাশি বাড়বে ব্যবসার ক্ষেত্র, বৃদ্ধি পাবে শিক্ষা প্রসারের সুবিধা।
সেতুটি নির্মানের পাশাপাশি ইউনিয়নবাসীর আরো দুটি নায্য দাবী হচ্ছে ইউনিয়নের প্রতিটি ঘরে-ঘরে রান্নার গ্যাস সংযোগ এবং নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ভাঙ্গন প্রতিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কারণ সুরমার তীরবর্তী ইউনিয়নের গ্রামগুলোর লোকজনের জায়গা-জমি একদিকে সেনাবাহিনী অধিগ্রহণ করে নিচ্ছে আর উত্তর দিকে সুরমা করাল গ্রাসে বিলিন হচ্ছে ইউনিয়নের বাড়ি ঘর এবং মসজিদ-মাদ্রাসাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফলে ইউনিয়নের আয়তন ছোট হয়ে আসছে।