সোমবার ● ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » পাবনা » ধর্ষণের পর থানায় বিয়ে : সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি
ধর্ষণের পর থানায় বিয়ে : সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি
পাবনা প্রতিনিধি :: পাবনা সদর থানায় ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর সঙ্গে ধর্ষকের বিয়ের ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি।
গতকাল রবিবার রাতে পাবনার ডিসি কবীর মাহমুদ নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সন্ধ্যায় ডিসির কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন কমিটির প্রধান পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ নেওয়াজ।
ডিসি কবীর মাহমুদ জানান, জেলা সদরের দাপুনিয়ায় এক গৃহবধূকে অপহরণের পর চারজন গণধর্ষণ করে। পরে ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দিতে গেলে মামলা না নিয়ে এক ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ খবরের সত্যতা জানতে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ।
তিন সদস্যের তদন্ত দল বৃহস্পতিবার থেকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের প্রতিটি বিষয় অনুসন্ধান করে পালাক্রমে ধর্ষণ, মামলার আলামত নষ্ট ও ওসির নির্দেশে থানায় বিয়েসহ প্রতিটি ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। রবিবার রাতেই এ তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছেন ডিসি।
ডিসি আরো জানান, তদন্ত প্রতিবেদনে চারটি পর্যবেক্ষণ ও দুটি মতামতের মাধ্যমে পুরো বিষয়টির সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়েছে। তবে, কোনো সুপারিশ দেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।
৯ আগস্ট রাতে পাবনার যশোদল গ্রামের রাসেল আহমেদ চার সহযোগী নিয়ে গৃহবধূকে অপহরণ করে। ওই গৃহবধূকে টানা চার দিন অজ্ঞাত স্থানে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা। ভুক্তভোগী গৃহবধূ কৌশলে পালিয়ে স্বজনদের বিষয়টি জানালে ৫ সেপ্টেম্বর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মেলে। পরে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ রাসেলকে আটক করে। তবে মামলা নথিভুক্ত না করে স্থানীয় চক্রের মাধ্যমে আগের স্বামীকে তালাক ও অভিযুক্ত রাসেলের সঙ্গে ভুক্তভোগীকে বিয়ে দেয়া হয়। এতে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত বলে অভিযোগ উঠে ।
কর্মস্থলে এসে প্রাণ দিলেন ঝাড়ুদার
পাবনা প্রতিনিধি :: পাবনা সদর উপজেলার প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার অফিস থেকে এক ঝাড়ুদার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আজ সোমবার সকালে শহরের লাইব্রেরি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সেলিম রেজা ঈশ্বরদীর চর গড়গরি গ্রামের তুজাম উদ্দিনের ছেলে। তিনি সদর উপজেলার প্রাণি সম্পদ অফিসের চুক্তিভিত্তিক ঝাড়ুদারের চাকরী করতেন।
পাবনা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিনের মত সকালে সেলিম ঝাড়ুদিতে এসে বাইরে থেকে গেটে তালা দিয়ে ভেতরে যান। পরে সকাল ৯টায় অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসে সিঁড়ির রেলিংয়ের সঙ্গে তাকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। তবে তার আত্মহত্যার কারণ এখনো জানা যায়নি।
পাবনা সদর থানার ওসি তদন্ত আসাদুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মরদেহ পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর হয়েছে।