বৃহস্পতিবার ● ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » সুয়ালক উচ্চ বিদ্যালয়ে বিভিন্ন অজুহাতে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে থেকে চাঁদা আদায়
সুয়ালক উচ্চ বিদ্যালয়ে বিভিন্ন অজুহাতে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে থেকে চাঁদা আদায়
বান্দরবান প্রতিনিধি :: বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকলে লেট ফি’র নামে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে চলছে মাসিক চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ছাত্র-ছাত্রীরা টাকা দিতে ব্যর্থ হলে চলে নানাভাবে শারীরিক নির্যাতন ও বাবা মা ধরে গলাগলি। আজ বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে এমনই অভিযোগ উঠে আসে।
ছাত্র-ছাত্রী সূত্রে জানা যায়, ছাত্রছাত্রীরা অসুস্থ বা কোন কারনে স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে সুয়ালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাওলানা আব্দুল লতিফসহ কয়েক জন শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক নির্যাতনসহ বিভিন্ন মনগড়া কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে। জানা যায়, সুয়ালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলা শিক্ষক মাওলানা আব্দুল লতিফ বিভিন্ন অজুহাতে ছাত্র-ছাত্রীদের মারধর করে ও স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে দৈনিক ২০ টাকা করে অনুপস্থিতির ফ্রি হিসেবে সংগ্রহ করে থাকেন।
এ বিষয়ে নাম গোপন রাখার শর্তে সুয়ালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণি ও সপ্তম শ্রেণীর কয়েকজন ছাত্র বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা কোনো কারণে বাড়ি থেকে স্কুলে না আসতে পারলে আমাদের শ্রেণী শিক্ষকদেরকে দৈনিক ২০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। না দিতে ব্যর্থ হলে আমাদের বাবা মাকে ধরে বিভিন্নভাবে গালাগালিসহ শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
ঘটনা জানতে সুয়ালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল কবিরের মুঠোফোনে বারবার ফোন করা হলেও তার মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যায়নি। তবে এই বিষয়ে জানতে চাইলে সুয়ালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাওলানা আব্দুল লতিফ বলেন, কোন শিক্ষার্থী এভাবে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে আমি জানিনা। আমাদের স্কুলে এরকম টাকা নেওয়ার কোনো বিধান নাই। প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বললে জানতে পারবেন স্কুলে এরকম কিছু চলছে কিনা।
এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা শিক্ষা অফিসার সুমা রানী বড়ুয়া বলেন, সুয়ালক উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে কিভাবে টাকা নিচ্ছে আমরা জানিনা। তবে আমাদের জানামতে কিছু কিছু স্কুলে অনুপুস্থিতির কিছু লেট’ফি নিয়ে থাকে সেগুলো পরে ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য আমি সুয়ালক স্কুলে পরিদর্শক পাঠাবো এবং ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।