বৃহস্পতিবার ● ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সিলেটে বিদ্যুৎ বিভাগের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ স্থানান্তরের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের প্রতিবাদ
সিলেটে বিদ্যুৎ বিভাগের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ স্থানান্তরের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের প্রতিবাদ
সিলেট প্রতিনিধি :: বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর আওতাধীন সিসিকের ৫ ও ১৭ নং ওয়ার্ডের গ্রাহকদের মিরাবাজারস্থ ডিভিশন-২ তে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর নগরীর ৫নং ও ১৭নং ওয়ার্ডের আম্বরখানা, সাপ্লাই, নয়াসড়ক, সুবিদবাজার, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, কাজীটুলা, শাহী ঈদগাহ, কলবাখানী, টিভি গেইট, গোয়াইপাড়া, চৌকিদেখীর সর্বস্তরের জনসাধারণ ৫ ও ১৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদেরকে নিয়ে আম্বরখানা সাপ্লাইস্থ ডিভিশন-১ এর কার্যালয়ে অবস্থান নেন।
এ সময় ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ ও ১৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাশেদ আহমদের নেতৃত্বে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ডিভিশন-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুল করিমের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে কাউন্সিলরদ্বয় নির্বাহী প্রকৌশলীকে এলাকার সমস্যার বিষয়টি বুঝিয়ে বললে তিনি তাদেরকে আশ্বস্ত করে বলেন, এই সিদ্ধান্তটি আমার নয়। এটি আমাদের চিফ ইঞ্জিনিয়ারের সিদ্ধান্ত তিনি বাগবাড়িতে বসে। উনি বর্তমানে সিলেটের বাইরে। আমি না হয় উনার আসার আগ পর্যন্ত আপনাদেরকে ডিভিশন-২ তে স্থানান্তর না করলাম। কিন্তু উনি আসার পর আপনাদেরকে উনার সাথে দেখা করতে হবে। উনি চাইলে আপানাদের এখানে ৩৩ মেগাওয়াটের লাইন দিয়ে ব্রেকার বসিয়ে বিষয়টি সমাধান করা যেতে পারে।
বৈঠক শেষে কাউন্সিলর রেজওয়ান ও রাশেদ অবস্থানরত এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা বলেছি নির্বাহী প্রকৌশলীকে আমাদের এলাকার লোকজন খুবই শান্তিপ্রিয়। আমরা জন্মসূত্র থেকেই এখানে বড় হয়েছি এবং ডিভিশন-১ এর বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছি। এখন যদি আমাদেরকে ডিভিশন-২ তে নেওয়া হয় প্রথমত সেখানে প্রিপেইড মিটার আমাদেরকে ভোগান্তির শিকার হতে হবে। দ্বিতীয়ত আমাদের বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিলে আমাদেরকে মিরাবাজার গিয়ে এই সমস্যার কথা বলতে হবে। সব দিক বিবেচনায় আমাদেরকে ভোগান্তি পোহাতে হবে।
তারা আরো বলেন, উনাদের চিফ ইঞ্জিনিয়ার আসার আগ পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করি। উনি আসার পর আমরা উনার সাথে দেখা করবো। যদি আমাদের কথা না শুনেন তাহলে আমরা রাস্তায় নামবো আন্দোলন করবো। আমাদের ডিভিশন-১ এ ব্রেকার বসানোর জন্য যদি তিনদিন বিদ্যুৎ বন্ধ রেখে কষ্ট করতে হয় আমরা সে সহায়তাও করবো বিদ্যুৎ বিভাগকে। কিন্তু ডিভিশন-২ এ কোনোভাবে যাওয়া যাবে না। অবস্থানরত দুই ওয়ার্ডের কয়েকশ জনসাধারণ কাউন্সিলরদেরকে সম্মান জানিয়ে এবং তাদেরকে সমর্থন দিয়ে অবস্থান থেকে সরে দাড়ান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- বশিরুল হক, আহমদ হোসেন, প্রবীণ রাজনীতিবিদ জুবের খান, আব্দুল মান্নান,সাংবাদিক নাজমুল কবীর পাভেল, যুবনেতা সাদিকুর রহমান সাদিক, ফারুক মেম্বার, কামরুল হাসান শাহিন, সাবেক কমিশনার কামাল মিয়া, এডভোকেট মাশরুর চৌধুরী শওকত, বাবলা, ময়না, আমিনুর রহমান পাপ্পু, আলতাফ হোসেন, হাসান মুরাদ, মনি আহমদ, রায়হান আহমদ, আলমাছ আহমদ, সাহেদ আহমদ, রিয়াদুল হাসান রুহেল,বদরুল ইসলাম, শামীম আহমদ, রেজওয়ান আহমদ রেজু, জুবের আহমদ জুবের, আরমান আহমদ মুন্না প্রমুখ৷
জানা যায়, ডিভিশন-১ এর লোড ভোল্টেজ ৪০ মেগাওয়াট ও কুমারপাড়ায় থেকে আসা বিদ্যুতের লোড ভোল্টেজের ২০ মেগাওয়াট হওয়ায় তুলনামূলক ডিভিশন-১ এর আওতাধীন এলাকায় কোনো ব্রেকার বসানো যাচ্ছে না। যার কারণে বিদ্যুৎ লাইনের উপর চাপ পড়ছে এবং বার বার লোডশেডিং কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্য ৫ ও ১৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মিরাবাজারস্থ ডিভিশন-২ তে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় ডিভিশন-১।