শনিবার ● ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » রাজশাহীতে ডাক বিভাগের কর্মীদের মানববন্ধন
রাজশাহীতে ডাক বিভাগের কর্মীদের মানববন্ধন
রাজশাহী প্রতিনিধি :: চার দফা দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ডাক বিভাগের কর্মচারীরা। আজ শনিবার রাজশাহী কোর্ট শহিদ মিনার চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শহিদ কামারুজ্জামান চিড়িয়াখানার সামনে এসে শেষ হয়।
তাদের চার দফা দাবিগুলো হচ্ছে- কর্মরত অবস্থায় সরকারি কর্মচারীর মৃত্যুজনিত কারণে আট লাখ টাকা, স্থায়ী অক্ষমতার জন্য চার লাখ টাকা এবং দাফন-কাফনের জন্য ৩০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তার সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন; সরকারি কর্মচারীদের গৃহনির্মাণ ঋণ সুবিধা প্রাপ্তির পূর্বশর্ত ইএফটি পদ্ধতিতে বেতন প্রদান নিশ্চিত করা; ১৬-২০ গ্রেডের পোশাকধারী কর্মচারীদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী পোশাকসহ অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ; কর্মচারীদের জমানো ফিডালিটি বন্ডের টাকায় ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট গঠন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পোস্টম্যান ও ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন (উত্তরাঞ্চল) রাজশাহীর সার্কেল সভাপতি আরসাদ আলী, সার্কেল সম্পাদক মাহাবুবুল আলম, রাজশাহী জিপিও ইউনিট কার্যকরী সভাপতি মখলেছুর রহমান, পিএমজি ইউনিট সভাপতি লুৎফর রহমান, কার্যকরী সভাপতি শওকত আলী, রাজশাহী জিপিও ইউনিট সহ-সভাপতি মো. শাহী নূরুল ইসলাম প্রমুখ।
বাঘায় মা-ভাবিকে কুপিয়ে জখম
রাজশাহী :: রাজশাহীর বাঘায় সোয়াবুর রহমানের বিরুদ্ধে তার মা-ভাবিকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সোয়াবুর রহমান তার মা মর্জিনা বেগম ও তার ভাবি দোলেনা বেগমকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে বলে জানা গেছে। তাদের উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শনিবার উপজেলার ঝিনা সরকারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত সাজদার রহমানের দুই ছেলে মিজানুর রহমান ও সোয়াবুর রহমানের মধ্যে বাড়ির জমি নিয়ে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। শনিবার সকালে বাড়ির কাজের জন্য রাজ মিস্ত্রি নিয়ে আসে মিজানুর রহমান। এ সময় সোয়াবুর রহমান তার কাজে বাধা দেয়। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সোয়াবুর রহমান ধারালো হাসুয়া নিয়ে মিজানুর রহমানকে আক্রমন করে। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে ওই হাসুয়ার কোপে আহত হয় মিজানুর রহমানের মা মর্জিনা বেগম ও স্ত্রী দোলেনা বেগম।
মিজানুর রহমান জানান,নিজ অংশের জমিতে কাজ করার জন্য মিস্ত্রীকে কাজে লাগিয়েছিলেন। তাতে বাঁধা দেয় তার ভাই সোয়াবুর রহমান। এর আগেও জমিজমার বিষয় নিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছে। নিরাপত্তা চেয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে বাঘা থানায় একটি সাধারণ জিডি করেছি। সোয়াবুর রহমানের দাবি ভাগ বাটোয়ারা না করে মিন্ত্রী দিয়ে কাজ করাচ্ছিল। সেই কাজে বাঁধা দিতে গিয়ে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া সাধারণ জিডির বিষয়টিও তদন্ত করা হবে বলে জানান ওসি।