শনিবার ● ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় মন্দিরে মন্দিরে চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ
গাইবান্ধায় মন্দিরে মন্দিরে চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: কয়েক দিন পরেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। তাই সনাতন ধর্মের মানুষের মাঝে উৎসবের আমেজ লেগেছে। এই উৎসবকে ঘিরে তোড় জোড়ের শেষ নেই প্রতিমা ও আলোকসজ্জা শিল্পী, ডেকোরেটরসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। প্রতিমা তৈরীর পর রঙ এর আচঁড় দেয়ার কাজ চলছে। প্রতিমা শিল্পীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নিপুন হাতে রং তুলির আচঁড়ে প্রায় মাসাধিক সময় ধরে দেবী দূর্গার সর্বোচ্চ সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে। একইভাবে ব্যস্ত ডেকোরেটরসহ আলোকসজ্জা শিল্পীরা। প্রতিটি পূজা মন্ডপে চলবে আলোকসজ্জা প্রতিযোগিতার খেলা। গাইবান্ধা জেলায় এবার ৬শ’ ২১টি মন্দির ও ম-পে পূজার আয়োজন চলছে। গাইবান্ধার পূজা মন্ডপগুলোতে এখন চলছে রং তুলির আচঁড়ে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি।
জেলা পূজা উদযাপন কমিটি সুত্রে জানা যায়, এ বছর জেলার ৭টি উপজেলায় ৬শ’ ২১টি মন্দির ও পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলায ১শ’ টি, সুন্দরগঞ্জে ১শ’ ৪০টি, গোবিন্দগঞ্জে ১শ’ ২৭টি, সাদুল্লাপুরে ১শ’ ১০টি, পলাশবাড়িতে ৬১টি, সাঘাটায় ৬৫টি এবং ফুলছড়িতে ১৮টি মন্ডপ ও মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হবে।
দূর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে পালনের সুবিধার্থে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রতিটি পূজা মন্ডপে কমিউনিটি পুলিশ, আনসার ও পূজা উদযাপন কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরা নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও থাকবে বিশেষ নজরদারি।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুজন প্রসাদ বলেন, আমরা সকল সম্প্রদায়ের মানুষ এক সঙ্গে মিলে জেলায় শারদীয় উৎসবের আনন্দ উপভোগ করব। পুলিশ ও সিভিল প্রশাসন আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করে সর্বোচ্চ তদারকি অব্যাহত রেখেছেন।
গাইবান্ধায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা সড়কের রাইস মিল এলাকায় গতকাল শুক্রবার রাত ১০টায় ট্রাকের ধাক্কায় মিলন মিয়া (৩৭) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ও তার সাথে থাকা উজ্জল নামে একজন আহত হয়। মিলন মিয়া সাদুল্যাপুর উপজেলার পাটানোছা গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মিলন মিয়া একজন রং ব্যবসায়ী। সাদুল্যাপুরে তার একটি রংয়ের দোকান রয়েছে। রাতে পলাশবাড়ী থেকে রং কিনে তিনি মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় তিনি রাইসমিল এলাকায় পৌঁছলে গাইবান্ধা থেকে আসা পলাশবাড়ীগামী একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে মিলন ও উজ্জল ছিটকে পড়ে যায়। স্থানীয়রা মিলন ও উজ্জলকে উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে মিলন মারা যায়।