রবিবার ● ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » দুর্গা প্রতিমা ভাংচুরের অভিযোগে মিথ্যা মামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রতিকার দাবি
দুর্গা প্রতিমা ভাংচুরের অভিযোগে মিথ্যা মামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রতিকার দাবি
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে আলহাজ্ব মো. আব্দুল আউয়াল, তার পরিবার পরিজন ও নিরাপরাধ এলাকাবাসির নামে দুর্গা প্রতিমা ভাংচুরের অভিযোগে মিথ্যা হয়রানি ও মানহানিরকর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মূলতঃ তার পরিবারের ক্রয়কৃত জমি বেআইনীভাবে জবর দখল এবং তাদের সন্ত্রাসী তৎপরতা ধামাচাপা দিতে দুর্গা প্রতিমা ভাংচুরের এই মিথ্যা নাটক সাজানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তের মাধ্যমে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের নিকট প্রকৃত দায়ী ও দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, এব্যাপারে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করলেও আদালত প্রকৃত ঘটনা অবগত হয়ে আব্দুল আউয়ালসহ অন্যান্যদের জামিন মঞ্জুর করে।
আজ রবিবার গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মো. আব্দুল আউয়াল লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন একই এলাকার রণজিত চন্দ্র কর্মকারের মামা নরো চন্দ্রের নিকট থেকে ৪২ শতক এবং বসন্ত কর্মকারের ২৮ শতক সহ মোট ৭০ শতক জমি ক্রয় করেন। এই বিষয়টি নিয়ে রণজিত কর্মকার বাদি হয়ে আদালতে একটি সিভিল মামলা দায়ের করলে মোট জমির ২৭৩ শতাংশ জমির মধ্যে ৭০ শতাংশ জমি আব্দুল আউয়ালের আর বাকি ২০৩ শতাংশ জমি তাদের ওয়ারিশগণের মধ্যে থাকে মর্মে আদালত রায় ঘোষণা করে।
পরবর্তীতে তারা আদালতে সোলেনামা দেয়া সত্ত্বেও এই জমিতেই গত ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে মো. ফয়জার রহমান কান্দু, মো. ইব্রাহিম, উৎপল কর্মকার, রণজিত চন্দ্র কর্মকার, সনজিত চন্দ্র কর্মকার, উজ্জল কর্মকারসহ ২৫ জন সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুরা লাঠি, ছোড়াসহ বেআইনী জনতাবদ্ধ হয়ে তপশীল জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে। তারা জমিতে সদ্য লাগানো সাইনবোর্ড, আম ও ইউক্লিপটাস গাছ উপড়াইয়া ভাঙ্গিয়া ফেলে। তারা আউয়ালের লোকজনদের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের হাতে থাকা বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে তাদের লোকদের উপর হামলা চালায়। এতে আব্দুল আউয়ালের ৬ জন গুরুতর আহত হয়। তদুপরি তাদের পক্ষের কয়েকজনকে অটোভ্যানে করে হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে অন্যত্র নিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত উল্লে¬খ্য যে, সাহাপাড়া ইউনিয়ন ও ওই গ্রামের ওয়ার্ড মেম্বরের পিতা ফয়জার রহমান কান্দু এবং রণজিত চন্দ্র কর্মকারের সাথে যোগসাজস করে ওই দুর্গা প্রতিমা ভাংচুর করেছে। ওই গ্রামে একাধিক মামলার আসামি ও সাক্ষী ফয়জার রহমান গ্রামের অনেকের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে অর্থদন্ড ও হয়রানী করছে। তিনি ওই গ্রামের অনেক অপকর্মের সাথে জড়িত এবং এই ঘটনায় তার নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ওই দুর্গা প্রতিমা ভাংচুর করে ও তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ করে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মো. বেলাল হোসেন, কাজী মো. মশিউর রহমান, মো. আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
গাইবান্ধা সরকারি কলেজে ছাত্র ইউনিয়নের বিক্ষোভ সমাবেশ
গাইবান্ধা :: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধভাবে ছাত্র ভর্তি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চাঁদাবাজি-উন্নয়ন বরাদ্দের টাকা ভাগবাটয়ারা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে গাইবান্ধা সরকারি কলেজে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্র ইউনিয়ন।
কলেজ ক্যাম্পাস মিছিল শেষে তাহের চত্বরে সমাবেশে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে অবিলম্বে উপাচার্য নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করেছে নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি জহর লাল রায় বলেন প্রশাসনিক স্বৈরতন্ত্রের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আজ জেলখানায় পরিণত হয়েছে। সরকারের দলদাসদের দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চালানোয় ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের নাভিশ্বাস উঠেছে। অবলম্বে দুর্নীতি ও যৌন হয়রানীতে অভিযুক্ত উপাচার্য নাসির উদ্দিন পদত্যাগ না করলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে তিনি হুসিয়ার করেন।
সেই সাথে বক্তারা গাইবান্ধা সরকারি কলেজের পরিবেশ রক্ষার্থে পুরোনো গাছ কাটার যে উদ্যোগ কলেজ প্রশাসন নিয়েছে তা বন্ধের দাবী জানান এবং কলেজ মাঠে মাটি দিয়ে ভারাট, ছাত্র হোস্টেল ও বাস সার্ভিস চালুর দাবি জানান।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা সভাপতি পংকোজ সরকার , জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ সরকার প্রমুখ।