রবিবার ● ১৭ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » নারায়ণগঞ্জে একই পরিবারের ৫ জনকে গলা কেটে হত্যা
নারায়ণগঞ্জে একই পরিবারের ৫ জনকে গলা কেটে হত্যা
নারায়নগঞ্জ প্রতিনিধি :: নারায়ণগঞ্জের বাবুরাইলে একই পরিবারের পাঁচ জনকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। এর মধ্যে পুরুষ ১ জন, ২জন নারীসহ ২ জন শিশু রয়েছে। নিহতরা হলেন শফিকের স্ত্রী তাসলিমা (৩৫), তার ছেলে শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (৫), তাসলিমার ভাই মোর্শেদ (২৫) ও লামীয়া (২৫) নামের এক নারী। ঘটনার পর থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত তসমিলার স্বামীর সন্ধান মেলেনি। সন্ধ্যার পর হতে রাত ৮টা মধ্যে যেকোন সময় এ নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ হতে জানানো হয়।
নিহত তাসলিমার ননদ হাজেরা জানায়, রাত ৮টার সময় বাসার দরজা কড়া নাড়লে কারো কোন সাড়া শব্দ না পেলে আশে পাশের লোকজনকে ডেকে আনে। তারপর দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে তারা। ঘরের ভিতরে ঢুকে একটি ঘরে ২জন এবং অন্য ঘরের ৩জনের মরা দেহ দেখতে পায়। প্রত্যেকের মাথা থেলানের সহ শরীরের আঘাতের চিহ্নসহ রক্ত মাখা দেখতে পায়। এছাড়া ঘরের চারপাশে রক্তের চিহ্ন দেখা যায়। তার ভাই শফিক ঢাকায় ডাইভারি করে বলে জানান তিনি।
এদিকে মোর্শেদের মা জানান, পরিবারটির সাথে কারো কোন লেনদেন বা শত্রুতা ছিলো না। তারা ময়মনসিংয়ের নানদাইল থানার চরবেলাবাড়ি এলাকার।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল ছুটে যান জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম। এছাড়া গোয়েন্দা ও সিআইডির একটি বিেিশষ টিম ঘটনাস্থলে আলামত সংগ্রহে ও ঘটনার নেপথ্যে কারণ অনুসন্ধান করছেন।
এরপর রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান। এবং রাত সোয়া ১১টায় আসেন বাংলাদেশ পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ আলী।
রাত ১২টায় ঘটনাস্থলে আসে ক্রেইম সিনের ৭সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম। টিমটি আলামত সংগ্রহে ও ঘটনার নেপথ্যে কারণ অনুসন্ধান করছেন।
রাত সোয়া ১২টায় প্রাথমিক তদন্ত শেষে বাংলাদেশ পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ আলী ও জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফিং করেন। তারা জানান, পারিবারিক কারণে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিক ভাবে আমাদের ধারণা। বিভিন্ন ইসুতে তদন্ত করে গ্রেফতার পূর্বক আসামীদের বিচারের আওয়তায় আনা হবে। এ ঘটনায় ২জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জানান তারা। তবে তাদের নাম পরিচয় নিশ্চিত করেননি।
ঘটনাস্থলে আসার পরপর পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন নিহতের স্বামী শফিককে মুঠোফোনে খবর দেন বলেও জানান ব্রিফিংয়ে।
বাবুরাইলে ২ শিশুসহ একই পরিবারের ৫জনকে গলা কেটে হত্যা, আটক ২এদিকে পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, নিহত লামীয়ার স্বামী শরিফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এদিকে পাঁচ জনকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় শহর জুরে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত (রাত সাড়ে ১২) বাবুরাইলসহ আসে পাশের এলাকা এবং শহর জুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।