বুধবার ● ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিশ্বনাথে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা
বিশ্বনাথে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার গুনিয়া খাল উন্মুক্ত থাকলেও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোকের বাঁধার কারণে মৎস্যজীবীরা খালে মাছ ধরতে পারছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে উপজেলার প্রতাবপুর ও মারখগাঁও গ্রামের লোকজনদের সাথে আমতৈল গ্রামের মৎস্যজীবীদের ধরে বিরোধ চলে আসছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, উপজেলার মদনপুর মৌজায় অবস্থিত লামাকাজী ইউনিয়নের মাখরগাঁও ও খাজাঞ্চী ইউনিয়নের প্রতাবপুর গ্রামের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত গুনিয়া খাল। খালের দু’পাশে রয়েছে দুটি হাওর। স্থানীয় জনসাধারণের পানি নিস্কাশন ও পার্শ্ববর্তি হাওরের কৃষি কাজের প্রয়োজন থাকায় খালটি বড় হলেও বন্দোবস্তের বহির্ভূত হিসেবে রেকর্ড বিদ্যমান। ফলে এই খাল কখনো জলমহালের তালিকাভূক্ত হয়নি। বর্ষা মৌসূমে খালটি পানিতে ভরে গেলে স্থানীয় (মাখরগাঁও ও প্রতাবপুর গ্রামের) লোকজন মৎস্যজীবীর কাছে মৎস্যজীবীর কাছে ভেলজাল বিক্রি করেন এবং শুকনো মৌসূমে খালে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরে বিক্রি করেন। খালটি উন্মুক্ত থাকলেও মাখরগাঁও ও প্রতাবপুর গ্রামের লোকজনদের বাঁধার কারণে পার্শ্ববর্তী আমতৈল গ্রামের প্রকৃত মৎস্যজীবীরা খালে মাছ ধরতে পারেন না। এমন অভিযোগে গত ৩ জুলাই প্রতাবপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য সহিদ মিয়া, মাখরগাঁও গ্রামের দুদু মিয়া, রইছ আলী ও সৈয়দ আলীর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন মৎস্যজীবীরা। অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, উক্ত ব্যক্তিরা সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্ষা না করে দীর্ঘদিন ধরে অমসৎজীবি দ্বারা মাছ আহরণ করে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আত্মসাৎ করছেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর শ্লোগান ‘জাল যার জলা তার’ নীতির আলোকে সরকারি রাজস্ব রাজস্বের বিনিময়ে গুনিয়া খালটি প্রকৃত মৎস্যজীবিদের অনুকুলে বন্দোবস্ত দিতে সরকারের প্রতি জোরদাবি জানান মৎস্যজীবীরা।
তবে অভিযুক্ত জানান, মাখরগাঁও ও প্রতাবপুর সহ পার্শ্ববর্তী অন্যান্য গ্রামের লোকজন হাওওে কৃষি কাজের জন্য শুকনো মৌসুমে খালে বাঁধ দিয়ে পানি জমা করে সেচ কাজে ব্যবহার করেন। বর্ষা মৌসুমে স্থানীয় মৎস্যজীবীর কাছে তারা ভেলজাল বিক্রি করেন এবং বিক্রির টাকা খালে বাঁধ নির্মাণের কাজে ব্যয় করেন।
এদিকে, মৎস্যজীবীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সরজমিন খালটি পরিদর্শন করেন প্রয়াগমহল ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা (তশিলদার) আব্দুস শুকুর। পরিদর্শনকালে খালের উপর একটি ভেলজাল এবং পানিতে বাঁশের খুটি পুতে রাখা অবস্থায় তিনি দেখতে পান বলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর প্রেরণকৃত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন। পরবর্তীতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র কার্যালয়ে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানী শেষে গুনিয়া খালে মাছ ধরতে সবার জন্য উন্মুক্ত রাখতে এবং খালে কোন ব্যক্তি কর্তৃক বাঁধ নির্মাণ না করতে আদেশ প্রদান করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা-তুজ-জোহরা। এই আদেশের পরদিনই সকালে আমতৈল গ্রামের শতাধিক মৎস্যজীবী খালে মাছ ধরতে নামলে তাদের বাঁধা দেন মাখরগাঁও ও প্রতাবপুর গ্রামের লোকজন। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। একপর্যায়ে খাল ত্যাগ করেন মৎস্যজীবীরা। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মৎস্যজীবীরা খালে মাছ ধরতে নামলে অনাকাংখিত ঘটনা ঘটতে পাওে এমনটাই আশংকা করছেন এলাকবাসী।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেন, গুনিয়া খালে সবার জন্য মাছ ধরা উন্মুক্ত ও বাঁধ নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। তবে আইন শৃংখলার অবনতি হয় এমন ধরণের কোন কাজ করা যাবে না। বাঁধ নির্মাণ করলে অথবা মাছ ধরতে কাউকে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বিশ্বনাথে বিস্ফোরক মামলায় জামাল গ্রেপ্তার
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে যুবদল নেতা জামাল আহমদকে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার দেওকলস ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি ও উপজেলার মান্দারুকা গ্রামের মনোহর আলীর ছেলে। সোমবার রাতে তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। (২৪ সেপ্টেবর) মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্বনাথে পুলিশের দায়েরকৃত একটি বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
যুবদল নেতা জামাল আহমদকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার এসআই শফিকুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলা সদরের ৪টি পৃথক স্থানে একই সময়ে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরদিন ৩ সেপ্টেম্বর রাতে বিশ্বনাথ থানার এসআই সবুজ কুমার নাইডু বাদি হয়ে ৬০-৭০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেন।
বিশ্বনাথে পুরানগাঁও গ্রামের রাস্তা বেহাল দশা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের গাছতলা মোড় থেকে পুরানগাওঁ, বিশঘর গ্রামের প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কটি এ অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের প্রধান রাস্তা। দীর্ঘ দেড় যোগ ধরে, দেড় কিলোমিটার সড়কটি সংস্কার না করায় পিচ ঢালাই উঠে বিশাল বিশাল, বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি পূনরায় সংস্কারের দাবি উঠলেও স্থানীয় সংসদ সদস্যরা ঐ রাস্তাটির সংস্কারের কোন আগ্রহ দেখাননি কেউ।
ফলে জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত রয়েছে। অবিলম্বে জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কার ও পুরানগাওঁ থেকে পূর্ব হয়ে মিরেরচর পর্যন্ত আরো প্রায় দেড় কিলোমিটার কাচা রাস্তা পূর্ণ নির্মানের দাবি স্থানীয় এলাকাবাসীর। দীর্ঘ এ রাস্তাগুলো, বর্ষায় হাঁটু কাদা, আর খরায় ধুলোর রাজ্যেও সৃষ্টি হয়। চলতি বর্ষা মৌসুমে স্কুলগামী ও কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার পথচারী চরম দুর্ভোগের মধ্যদিয়ে এই রাস্তায় যাতায়াত করছে।
স্থানীয়রা জানান, ২০০১ সালে গাছতলা মোড় থেকে পুরানগাওঁ খালপার পর্যন্ত ১ কিলোমিটার পাকা করণ করা হয়। এরপর থেকে পুরো এলাকায় কাচা রাস্তা শুরু। পাকা সড়ক থেকে শুরু হয়ে, সদরের মিরেরচর পর্যন্ত পূর্বের রাস্তাটিরও অবস্থা কাদা আর গর্তে বেহাল দশা। ঐ রাস্তায় বর্ষার পানিতে হাঁটু সমান কাদা হয়। কাদার মধ্যে চলতে গিয়ে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীসহ নেস্তেনাবুদ হচ্ছেন এলাকাবাসী।
উপজেলা সদরের সঙ্গে অন্যতম মাধ্যম, এই প্রধান দু’মুখই রাস্তা। প্রতিদিন শত’ শত মানুষ যাতায়াত করছে ওই সড়ক ও রাস্তা দিয়ে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার স্থানীয় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। শতবছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী পুরানগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এবং প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ কলেজ পড়ু–য়া শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে কষ্ট হয় রাস্তা দিয়ে। এছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দারা অসুস্থ হলে, উপজেলা সদরের হাসপাতালে গাড়ী নিয়ে ঐ রাস্তা দিয়ে যেতেও বিপাকে পড়তে হয়! নিয়মিত ঐ সড়ক বা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতেও স্থানীয়দের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়।
স্থানীয় পুরানগাঁও গ্রামের মুরব্বি জয়নাল আবেদিন কুদ্দুছ সাংবাদিকদের বলেন, ভোটের সময় নেতারা প্রতিশ্রুতি দেয় রাস্তা করে দিবো।নির্বাচন পরে আর খবর থাকে না। এলাকাবাসীর পক্ষে কয়েকবার সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহহিয়া চৌধুরী এহিয়ার কাছে মৌখিক ভাবে সড়কটি সংস্কারের জন্য আবেদন করা হলে, তিনি আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ হয়নি। রাস্থাটি সংস্কার অতি জরুরি। রাস্তাটি সংস্কার হলে স্থানীয় এলাকার মানুষজন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য শামীম আহমদ (মেম্বার) বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কার করা অতি জরুরী, ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরই উদ্যোগ গ্রহন করি সড়কটি সংস্কারের। তিনি আশাপ্রকাশ করে বলেন, শীঘ্রই এ রাস্তা ট্রেন্ডার প্রকৃয়ায় এসে সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হবে।
জানতে চাইলে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া বলেন স্থানীয় কয়েকটি রাস্তার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশাকরি আগামি কিছুদিনের মধ্যে ট্রেন্ডার প্রকৃয়ায় নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
ব্রুনেইয়ে নিহত বিশ্বনাথের যুবকের লাশ দেশে আসছে কাল
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ব্রুনেইয়ে নির্মাণাধীন তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে নিহত বাংলাদেশি শ্রমিক কনু মিয়ার লাশ দেশে আসছে আগামী বুধবার। সেদেশে নিহতের এক সপ্তাহ পর দেশে আসছে তাঁর মৃতদেহ। তিনি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের দ্বিপবন্দ বিলপার (গোবিন্দনগর) গ্রামের মৃত ময়নার ছেলে।
লাশ দেশে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করে কনু মিয়ার চাচাত ভাই ও খাজাঞ্চী ইউপি সদস্য সিরাজ মিয়া সোমবার সন্ধ্যায় জানান, সম্প্রতি তার চাচাত ভাই বাংলাদেশ ত্যাগ করে মধ্যপ্রাচ্যের ব্রুনেইয়ে যান। সেখানে তিনতলা ভবন থেকে পড়ে আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। আগামী বুধবার মধ্যরাতে মালেশিয়ার একটি বিমানে দেশে তাঁর লাশ আসবে। আমরা ওসমানী আন্তজার্তিক বিমানবন্দরে লাশ গ্রহন করব। পরদিন বৃহস্পতিবার বাদ যোহর কনু মিয়ার লাশ নিজ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, কনু মিয়া গত ১৭ সেপ্টেবর ব্রুনেইয়ে তিনতলা নির্মাণাধীন ভবনে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন। কাজের সময় অসাবধানতাবশত পা পিছলে তিনতলার ভবনের ছাদ থেকে নিচে পড়ে যান। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ওই দেশের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত অবস্থায় তার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সময় গত ১৮ সেপ্টেবর রাত ২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বিশ্বনাথে জাতীয় পতাকার আদলে বিদ্যালয়
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: ঘনবসতিপূর্ণ গ্রাম আমতৈল। এখানে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। এরা দিন আনে দিন খায়। একটি অজপাড়া গাঁ। বেশীর ভাগ মানুষ মৎস্যজীবী। অবহেলিত ও অনুন্নত গ্রাম। গ্রামটির অবস্থান বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নে। তিনটি ওয়ার্ড নিয়ে আমতৈল গ্রাম। উপজেলা সদর থেকে আমতৈল গ্রামের দূরত্ব প্রায় ৬কিলোমিটার। ভোটার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৭ হাজার। লোকসংখ্যা ২৫ হাজারেরও বেশি। আমতৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দরজা জানালা ও ঘরের রং করা হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা লাল-সবুজের আদলে। জাতীয় পতাকার ন্যায় রং করা বিদ্যালয়টি দূর থেকে দেখতে বেশ চমৎকার লাগে।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা প্রথম ক্লাশ নিচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপকরণ হিসাবে অফিস কক্ষসহ প্রতিটি শ্রেণীকক্ষে অনেক মনীষি ব্যাক্তিদের ছবি, ফুল, ফল, নদী, বাঘ ও হরিণসহ বিভিন্ন কিছুর ছবি আকাঁ আছে। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থী ৫৭৩ জন ও শিক্ষক সংখ্যা ১২ জন। পতাকার আদলে বিদ্যালয়কে সাজানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জাতীয় পতাকার রঙ ও স্বাধীনতা যুদ্ধে রক্তে রঞ্জিত বাংলাদেশের ইতিহাস বোঝানোর উদ্দেশ্যেই বিদ্যালয়টি জাতীয় পতাকার আদলে লাল-সবুজ রঙে সাজানো হয়েছে। দেয়ালে আঁকা হয়েছে জাতীয় পতাকা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক করুণা চন্দ্রনাথ বলেন, সরকারের শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বিদ্যালয় সংস্কারের জন্য অর্থ আসলে আমরা সব শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা আলোচনার মাধ্যমে দরজা জানালা ও ঘরের রং জাতীয় পতাকা লাল-সবুজের মত করার সিদ্ধান্ত হয়। খুদে শিক্ষার্থীদের জাতীয় পতাকার রঙ শেখাতে ও মুক্তিযুদ্ধের সময় রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে এ বিষয়টি বোঝাতে বিদ্যালয়কে জাতীয় পতাকার আদলে সাজানো হয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মহি উদ্দিন আহমদ বলেন, উপজেলায় ১৩৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। প্রতিবছরের মতো এ বছরও বিদ্যালয়ের উন্নয়নে স্লিপ প্রকল্পে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পে রয়েছে বিদ্যালয়ের ভবন রাঙানোর কাজ। এতে বিদ্যালয়ের প্রধানরা কেউ কেউ জাতীয় পতাকার আদলে লাল-সবুজ রঙে বিদ্যালয় ও বিদ্যালয়ের বান্ডারী সাজাচ্ছেন।