শিরোনাম:
●   মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন ●   মানিকছড়িতে ট্রাকের নীচে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু ●   আল ফালাহ ইসলামি একাডেমীর সবক প্রদান অনুষ্ঠান ●   ১১ দফা অবহিতকরণে আত্রাইয়ে আলোচনা সভা ●   পার্বতীপুর রেলওয়ে ইর্য়াডের আম গাছে যুবকের আত্মহত্যা ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ গঠিত ●   কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা ●   পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত ●   বৈরী আবহাওয়ায় ও শীতের তীব্রতায় বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা ●   কোন হটকারিতায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা ●   তরফভাইখাঁ সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   মিরসরাইয়ে শীতার্তের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ●   লংগদু এস এস সি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরন ●   ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৫ এর মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্ভব ●   হালদা থেকে বিপন্ন গাঙ্গেয় প্রজাতির মৃত ডলফিন উদ্ধার ●   খাগড়াছড়ির আলুটিলায় পর্যটকবাহী বাস উল্টে আহত-২০ ●   পানছড়িতে লোগাং জোন এর অনুদান সামগ্রী প্রদান ●   আত্রাইয়ে কুলি-বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ ●   চুয়েটে স্থাপত্য বিভাগের ১ম জাতীয় কনফারেন্স শুরু ●   বিজিবির অভিযানে খাগড়াছড়িতে ১২ অনুপ্রবেশকারী আটক ●   ঈশ্বরগঞ্জে জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত ●   কুষ্টিয়ায় বালুঘাট দখল নিতে তাণ্ডব চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ●   রাউজানে বিকাশ প্রতারকের ফাঁদে নারী উদ্যোক্তা তানিয়া ●   যোবায়ের-সাদপন্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ইজতেমা মাঠ : নিহত ৩ ●   মিরসরাইয়ে মধ্য তালবাড়ীয়া স্পোর্টিং ক্লাবের কমিটি গঠন ●   জিয়া কিংবা শেখ মুজিব নয়; জনগণই মুক্তিযুদ্ধের মূল নায়ক : টিপু ●   নবীগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় কলেজ ছাত্রের প্রাণহানি ●   জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এর নেতৃত্বে থাকবেন ড. ইউনূস ও আলী রীয়াজ ●   রেডব্রিজ কমিউনিটি ট্রাস্ট ইউকে বিজয় দিবস উদযাপন
রাঙামাটি, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
রবিবার ● ১৭ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » কৃষি » পার্বত্য অঞ্চলে সেনা বাহিনীদের দ্বারা সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বাঙ্গালীরা
প্রথম পাতা » কৃষি » পার্বত্য অঞ্চলে সেনা বাহিনীদের দ্বারা সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বাঙ্গালীরা
রবিবার ● ১৭ জানুয়ারী ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পার্বত্য অঞ্চলে সেনা বাহিনীদের দ্বারা সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বাঙ্গালীরা

---

ষ্টাফ রিপোর্টার :: পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর উপস্থিতি দেখা যায় মুলতঃ আশি দশকে শান্তি বাহিনী প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৷ তাহলে এটা তো পরিস্কার যে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা বাহিনীকে ডেকে এনেছেন শান্তি বাহিনীর সদস্যরা৷
পার্বত্য চুক্তির পর পর শান্তি বাহিনীকে কাগজে কলমে বিলুপ্ত করা হয়েছে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা বাহিনীর অপরেশন দাবানল বিলুপ্ত করে নতুন ভাবে অপারেশন উত্তরন নামে কাজ করার দায়িত্ব প্রদান করা হয়৷
দেশের ভুখন্ডের ভিতর সরকারী যে কোন প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করবেন এটা যেমন সত্য তেমনি কেবল মাত্র সেনা সদস্যরা পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থানীদের ভিতর রাজনীতি করলে সেটাও বলা বা দেখিয়ে দেয়া জরুরী৷

---
পার্বত্য অঞ্চলে অপারেশন উত্তরনের আওতায় বাংলাদেশ সেনা বহিনী বিভিন্ন সময়ে পার্বত্য এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে বিপুল পরিমান গোলা বারুদ ও সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন সরঞ্জামসহ সেনা বাহিনীর পোষাক উদ্ধার করেছেন, কিন্তু সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত পোষাকের মধ্যে সেনা বাহিনীর পোষাক কি ভাবে সন্ত্রাসীদের কাছে পাওয়া যায় সে বিষয়ে আজ পর্যন্ত সেনা বাহিনী বা তাদের গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই গণমাধ্যমে কোন ধরনের ব্যাখ্য দেয়নি৷

বিষয়টি নিয়ে পার্বত্য অঞ্চলে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে৷
১৯৬০ সালে কাপ্তাই হ্রদে ভিটা মাটি হারিয়ে উচু পাহাড়ে বসতি স্থাপন করে স্থানীয় বাঙ্গালীরা৷ পার্বত্য চুক্তির আগে বা পরে পার্বত্য অঞ্চলে সেনা বাহিনীদের দ্বারা সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে স্থায়ী বাঙ্গালীরা, নাম মাত্র ক্ষতিপুরণের কিছু টাকা দিয়ে রাঙামাটি,বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলা গুলিতে বাঙ্গালীদের গ্রামসহ স্বপরিবারে উচ্ছেদ করে তাদের জায়গাতে নির্মান করা হয়েছে সেনা বাহিনীর গেরিসন বা সেনানিবাস৷
এমন কি রাঙামাটিতে বাঙ্গালীদের মসজিদ ও কবরস্থান পর্যন্ত দখল করে নিয়েছে সেনা বাহিনীর সদস্যরা ৷
পার্বত্য অঞ্চলের সেনা বাহিনীকে নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) , ইউপিডিএফ, চাকমা সার্কেল চীফ, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, সৈয়দ আবুল মকছুদ, সুলতানা কামাল, পংকজ ভট্টেচায্য গং, বামপন্থী রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা দেশে এবং বিদেশে অপপ্রচার করে সেনা বাহিনীকে তাদের মুল লক্ষ্য থেকে সরাতে বার বার চেষ্টা করছেন৷
পার্বত্য চুক্তির পর সেনা প্রধান,চট্টগ্রামের জিওসি,রাঙামাটি ৩০৫ বিগ্রেডের বিগ্রেড কমান্ডার, রাঙামাটি জেলা ডিজিএফআই অধিনায়ক ও সদর জোন কমান্ডার প্রায় সময় দেখা যায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক গেরিলা নেতা জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) সাথে সরকারী ভাবে স্বাক্ষাত করতে এবং জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) সেনা নিবাসে উপস্থিত হয়ে সেনা বাহিনীর দ্বারা পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ও সনদপত্র বিতরণ করেন৷ সন্তু লারমা সেনা বাহিনীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পার্বত্য অঞ্চলে সেনা বাহিনীর উন্নয়ন মুলক কার্যক্রমের ভুয়সি প্রশংসা করেন৷

---
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদার একজন ব্যক্তি, তিনি প্রশাসনের সব স্থানে যাবেন এটা সত্য, কিন্তু কয়েক দিন যেতে না যেতে পার্বত্য অঞ্চল থেকে সেনা বাহিনীকে তুলে নেয়ার দাবি জানান গণমাধ্যমে৷ দেশের বিশিষ্টজনরা এটাকে পিসিজেএসএস প্রধান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)’র রাজনৈতিক ষ্টেনবাজি বলে আখ্য দিয়েছেন৷
ইদানিং পিসিজেএসএস প্রধান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) ও সেকেন্ড ইন কমান্ড বলে পরিচিত ২৯৯ আসনের ঊষাতন তালুকদরা এমপি সরকারে থেকে সরকারের বিরুদ্ধে ১ লা জানুয়ারী ২০১৬ থেকে চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলনের ডাক দিয়ে আবার পার্বত্য জনসাধারনের সাথে রাজনৈতিক ষ্টেনবাজি করছেন৷ একজন আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান আরেক জন সংসদ সদস্য হিসাবে সরকারী সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করে কি ভাবে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করবেন ? সাধারন জনগণের প্রশ্ন ।
বর্তমান সরকারের বামপন্থী একজন মন্ত্রী রাজধানীতে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ,পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও বাংলাদেশ সেনা বাহিনী এরা শক্র - শক্র খেলেন আসলে এরা একে অপরের বন্ধু৷
যদি তাই হয় তাহলে পার্বত্য অঞ্চলের বর্তমান মুল সমস্য ; সর্বত্রে চাঁদাবজি, অপহরণ,ভুমি সমস্যা,পর্যটনের উন্নয়নে স্থানীয়দের বাধাঁ প্রদান ও রাজনৈতিক নেতাদের ভিতর ক্ষমতার অপব্যাবহার রোধকল্পে প্রশাসনিক ব্যবস্থা ইত্যাদি কাজে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ পার্বত্য অঞ্চলে সেনা বাহিনীকে কাজে লাগাতে পারেন বলে বিজ্ঞ মহলের ধারনা৷ (ছবি সংগৃহীত)

আপলোড : ১৭ জানুয়ারী ২০১৬ : বাংলাদেশ : সময় : বেলা ১২.০০





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)