শুক্রবার ● ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » দুবাই বিমান বন্দরে বিশ্বনাথের প্রবাসীর মৃত্যু
দুবাই বিমান বন্দরে বিশ্বনাথের প্রবাসীর মৃত্যু
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সৌদি আবর থেকে আমিরাত এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফেরার পথে দুবাই বিমান বন্দরে আকষ্মিকভাবে মৃত্যু হয়েছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রহিমপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মরহুম মন্তাজ আলীর কনিষ্ঠ পুত্র, সৌদি আরবের জেদ্দা কিলোআরবাতাস এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আব্বাস আলী’র। তার মরদেহ বাংলাদেশে নিয়ে আসতে আমিরাত এয়ারলাইন্স কোন দায়িত্ব নেয়নি। পরবর্তীতে আব্বাস আলীর এক চাচাতো ভাইয়ের প্রচেষ্ঠায় ব্যক্তিগত খরচে দুবাইস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় মারা যাওয়ার ১৩দিন পর গত বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দেশে নিয়ে আসা হয় আব্বাস আলীর মরদেহ। এরপর ওই দিন রাত ৮টায় রহিমপুর পূর্ব পাড়া জামে মসজিদে জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ৩ পুত্র ভাই বোনসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। আব্বাস আলী ডায়াবেটিস, কোলেস্টের, নিউমোনিয়া ও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি দেশে ফিরছিলেন বলে জানা যায়।
সৌদি আরব প্রবাসী আলহাজ্ব আব্বাস আলী (৪৫) গত ১৩ সেপ্টেম্বর আমিরাত এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে বাংলাদেশে আসার পথে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বিমানের বিরতির সময় তিনি আকষ্মিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। সাথে সাথে তাকে দুবাই বিমান বন্দর সংলগ্ন একটি হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এসময় সাথে তার কোন পরিচিত আত্মীয়-স্বজন না থাকায় সাথে থাকা অন্য এক যাত্রী আব্বাস আলীর দুবাই বিমান বন্দরে মৃত্যু হয়েছে এবং লাশ দুবাই বিমান বন্দরে রয়েছে বলে সংবাদটি বাড়ীতে টেলিফোনে জানান। পরে তাকে নিয়ে আসা আমিরাত এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি দুবাই থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। পরবর্তীতে দুবাইতে কর্মরত তার এক চাচাতো ভাইয়ের প্রচেষ্ঠায় ব্যক্তিগত খরচে দুবাইস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার দুবাই থেকে এ্যামিরাত এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে আব্বাস আলীর লাশ সকালে ঢাকাস্থ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে এ্যাম্বুলেন্স যোগে নিজ বাড়ী রহিমপুর গ্রামে মরদেহ নিয়ে আসা হয় এবং জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
দুবাই থেকে তার লাশ নিয়ে আসা তার চাচাতো ভাই ইউনুছ আলী জানান, তিনি তার পিতার অসুস্থতার খবর পেয়ে দেশে আসার সময় সংবাদ পান দুবাই বিমান বন্দরে আব্বাস আলী আকষ্মিক মৃত্যু বরণ করেছেন। অভিভাবক হিসেবে তার লাশ নিয়ে আসতে আইনী অনেক প্রক্রিয়া করতে হয়। এ কারণে আসার সময় তার পিতা দেশে ইন্তেকাল করেন। তিনি তার অসুস্থ পিতাকে দেখা বা জানাযার নামাজে অংশ নিতে পারেননি। তিনি জানান, এ্যামিরাত এয়ারলাইন্সের যাত্রী তার চাচাতো ভাই আব্বাস আলীর কোন দায়দায়িত্ব নেয়নি বা আর্থিক সহযোগিতা করেনি। তিনি এ ব্যাপারে প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের সহযোগিতা কামনা করেন।