শনিবার ● ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » শিরোনাম » বিশ্বনাথে চলছে দূর্গোৎসবের প্রস্তুতি
বিশ্বনাথে চলছে দূর্গোৎসবের প্রস্তুতি
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সনাতন ধর্মের সব চেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। আগামী ৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে দূর্গাপূজা। পূজার আর মাত্র কিছু দিন বাকি থাকলে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় র্দূগা পূজার ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। শেষ মূর্হুতে প্রতিটি পাড়া-মহলায় চলছে প্রতিমা তৈরির ধুম। দিন-রাত সমান তালে করে প্রতিমা তৈরি করে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। এখন শুধু বাকি রয়েছে প্রতিমায় রং তুলির কাজ। আগামী সপ্তাহের মধ্যে রং তুলির কাজ শুরু হবে বলে প্রতিমা শিল্পীরা জানান। পূজা সামনে রেখে গত বুধবার রাতে পুলিশ প্রশাসন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিম সভা করেছে। এতে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষও উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়,বিভিন্ন মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। অনেক প্রতিমা শিল্পীরা বাড়িতে চলে গেছেন। দুই একদিন পর প্রতিমা শিল্পীরা এসে রং তুলির কাজ করবেন। উপজেলার আট ইউনিয়নে এবছরে ২৬টি পূজা মন্ডপে পূজা অনুষ্টিত হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ।
এদিকে, উপজেলায় প্রায় ১১টি মন্ডপ ঝুকিপূর্ণ বলে জানাগেছে। গত বছরেও এসব মন্ডপগুলো ঝুকিপূর্ণ ছিল। তবে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এবছরও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা পালন হবে বলে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানান।
প্রতিমা তৈরি শিল্পীরা জানান, এসব পূজা মন্ডপে প্রতিমা সরবারহ করতে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। তাই খাওয়া-দাওয়া শেষে আরাম করার সময়টুকুও তাদের নেই।
তারা জানান, বাঁশ ও খড় দিয়ে প্রতিমা অবকাঠামো তৈরির পর মাটি দিয়ে প্রলেপ দিচ্ছেন শিল্পীরা। বছরের এই সময়টা ব্যস্ততায় কাটলেও অন্য সময় তাদের হাতে থাকেনা কাজ। কিন্তু কঠোর পরিশ্রম করেও তাদের কাটাতে হয় মানববেতর জীবন। তাই অনেকেই বাধ্য হয়ে বাপ-দাদার এই পেশা টিকে রেখেছেন কোনো রকমে। কেহ কেহ এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে।
উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার দাশ জানান, এবছরে ব্যক্তিভাবে ৫টি ও স্বার্বজনীন ২১টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় উৎসব পূজা পালন করার জন্য তিনি আহবান জানান।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, উপজেলার পূজা মন্ডপগুলোতে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পূজা মন্ডপগুলোতে যারা বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টি করা চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।
বিশ্বনাথে বাস খাদে পড়ে শিশুসহ আহত-২০
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে খাদে পড়ে গিয়ে অনন্ত শিশু-নারীসহ ২০জন আহত হয়েছেন। শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে বিশ্বনাথ-রামপাশা সড়কের দশদল নামক স্থানে এঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়। এরই মধ্যে গুরুতর আহত শিশুসহ কয়েকজনকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
এদিকে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে হাসপাতালে আসা আহত রোগীর স্বজনদের সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এসময় ডাক্তার ও রোগীরদের স্বজনদের মধ্যে হাতা-হাতির ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০ মিনিট চিকিৎসা বন্ধ ছিল। পরে খবর পেয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার পর ফের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর গুরুত্বর আহতদের ফায়ার সার্ভিসের এ্যাম্বুল্যান্সে করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা বিশ্বনাথের সিংগেরকাছগামী যাত্রীবাহী বাস বিশ্বনাথ-রামপাশা সড়কের দশদল নামক স্থানের মোড়ে আসামাত্রই বিপরীত থেকে আসা নাম্বারবিহীন অটোরিকসা (সিএনজি) পাশ দিয়ে গিয়েই নিয়ন্ত্রন হারিয়ে বাস খাদে পড়ে দুমড়ে-মুছড়ে যায়। এতে বাস গাড়িতে থাকা অনন্ত শিশুসহ ২০জন আহত হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসার আগেই আহতদের পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. আবদুর রহমান বলেন,এ্যাম্বুল্যান্স গাড়ি চালক অসুস্থ রয়েছেন। তাই গাড়ি চালক না থাকায় হাসপাতালে গাড়ি বন্ধ রাখা হয়েছে। হাসতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসককে লাঞ্চিত করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
সড়ক দূর্ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার ওসি (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে।